বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
মঙ্গলবারই প্রতিমা বিসর্জন পর্ব শুরু হয়েছে। বুধবার শহরের বেশ কিছু বড় মণ্ডপের প্রতিমা নিয়ে দুপুর থেকে উদ্যোক্তারা বাবুঘাট বা জাজেস ঘাটের দিকে যেতে শুরু করেন। কিন্তু তুমুল বৃষ্টিতে তাঁদের শোভাযাত্রা মাঝপথেই থমকে যায়। কোথাও কোথাও এতটাই জল জমে গিয়েছিল যে, প্রতিমা সহ গাড়ি দাঁড় করিয়ে দিতে বাধ্য হন উদ্যোক্তারা। বিধান সরণী এবং কলেজ স্ট্রিটে এমন দৃশ্যই দেখা গিয়েছে। উদ্যোক্তারা বলেন, বৃষ্টি পুজোর আনন্দ কেড়ে নিতে পারেনি, সেটাই আনন্দের বিষয়। কিন্তু মা দুর্গাকে সপরিবারে শ্বশুরবাড়ি পাঠানোর পথে এভাবে অন্তরায় তৈরি হলে আমাদের তো সমস্যা হবেই। গাড়ি নিয়ে এগনোই যাচ্ছে না। চারপাশ জল থই থই করছে। এদিন বাজে কদমতলা ঘাট ও জাজেস ঘাটে গিয়ে দেখা গেল, বৃষ্টির জেরে সেখানে প্রতিমা নিরঞ্জন প্রক্রিয়া থমকে গিয়েছে। বৃষ্টির দাপট এতটাই ছিল যে, বিসর্জনের সময় প্রতিমা বাহকরা চোখে-মুখে ঝাপসা দেখতে থাকেন। তাঁদের কথায়, গঙ্গা পাড়ের ঢাল বেয়ে প্রতিমা নিয়ে জলে নামার সময়, পা হড়কে যাওয়ার উপক্রম। স্বাভাবিকভাবেই সমস্যা হয়েছে। এদিন দু’টি ঘাটে গিয়েই দেখা যায়, একাধিক প্রতিমা নিরঞ্জনের অপেক্ষায় দাঁড় করানো রয়েছে। উদ্যোক্তারা বললেন, বৃষ্টি একটু কমলে নিরঞ্জন শুরু করা হবে। এদিন বাজে কদমতলা ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, গাড়ির উপরে প্রতিমা রেখে উদ্যোক্তাদের অনেকেই বৃষ্টি থেকে বাঁচতে গাছ বা শেডের তলায় আশ্রয় নিয়েছেন। উত্তর কলকাতার এক পুজো উদ্যোক্তা অনিরুদ্ধ চট্টোপাধ্যায় বললেন, বৃষ্টি হলে প্রতিমা গাড়ি থেকে নামাব কীভাবে? প্রতিমা বাহকরা পড়ে যেতে পারেন। বৃষ্টি কমলে নিরঞ্জন করব।
এদিন কলকাতা পুরসভা থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সি আর অ্যাভিনিউ, বিধান সরণী, কলেজ স্ট্রিট, চাঁদনি চক, চক্রবেড়িয়া, বেহালা, তারাতলা, বন্দর এলাকা, বীরপাড়া, মানিকতলা, আমহার্স্ট স্ট্রিট, রবীন্দ্র সরণী সহ কলকাতার বেশ কিছু অংশ জলমগ্ন হয়ে যায়। পার্কিংয়ে থাকা গাড়িগুলির প্রায় অর্ধেকেরও বেশি অংশ জলে ডুবে গিয়েছিল। নিকাশি বিভাগ সূত্রে খবর, বেশ কিছু এলাকায় অত্যধিক মাত্রায় বৃষ্টি হয়েছে। সকাল ৭টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত মানিকতলা পাম্পিং স্টেশন এলাকায় ৫০ মিমি, বীরপাড়ায় ২৫ মিমি, বেলগাছিয়ায় ৩৬ মিমি, উল্টোডাঙায় ৪০ মিমি, ঠনঠনিয়ায় ৫৭ মিমি, মোমিনপুরে ৩৬ মিমি, জিঞ্জিরাবাজারে ৪৩ মিমি, বেহালা ফ্লাইং ক্লাব এলাকায় ৫৬ মিমি বৃষ্টি হয়েছে। নিকাশি বিভাগের মেয়র পারিষদ তারক সিংয়ের কথায়, তুমুল বৃষ্টি হয়েছে। তবে আমাদের পাম্পিং স্টেশনের সবক’টি পাম্পই চলেছে। জলও নেমেছে। তবে কিছু জায়গা থেকে দীর্ঘক্ষণ জল জমে থাকার খবর এসেছে। তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।