বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
বর্তমানে এই পুজোর আয়োজন করেন ভবেন্দ্রনাথ মল্লিক। ভবেন্দ্রনাথ মল্লিকের দিদি প্রমীলা রায় বসুনিয়া এবং শকুন্তলা বসুনিয়া বলেন, এই পুজো তাঁদের পুর্বপুরুষের হাত ধরেই শুরু হয়েছিল। প্রায় পাঁচশো বছর আগে এই পুজো হতো হলদিবাড়ি এলাকায়। একবার প্রবল বন্যা হয়। তারপর থেকে এই পুজোর আয়োজন ময়নাগুড়িতে করার চল শুরু হয়। তারপর থেকে এই পুজো ময়নাগুড়ি ব্লকের বার্ণিশে হয়ে আসছে।
ভাণ্ডানি দেবীর আরেক নাম বনদুর্গা। এর পেছনেও নানা পৌরাণিক কাহিনী রয়েছে। কথিত আছে, বিসর্জনের পর দেবী দুর্গা যখন কৈলাসে ফিরে যাচ্ছিলেন সে সময় এক জঙ্গলে দেবী কিছু রাখাল বালকদের দেখতে পান। ওই ছেলেদের কাছে তিনি জানতে পারেন যে ওই এলাকায় বাঘের উপদ্রবে তাঁদের টেকা দায় হয়ে পড়েছে। এরপর দেবী ওই রাখাল বালকদের বলেন তাঁর পুজো দিতে। দেবীর পুজো দেওয়ার পর থেকে নাকি ওই এলাকায় আর বাঘ দেখা যায়নি। তাই এই দেবীর আরেক নাম বনদুর্গা।
এছাড়া আরেকটি গল্পও প্রচলিত আছে। সেই কাহিনী অনুযায়ী দেবী দুর্গা হিমালয়ের পাদদেশে একদল বালককে বাঘের ভয় দেখান এবং তাঁদের বলেন দেবীর পুজো দিতে। এর পর থেকে উত্তরবঙ্গের প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে, যেখানে বাঘের ভয় ছিল, সেখানকার লোকজন বাঘের ভয় থেকে রক্ষা পেতে এই পুজো শুরু করেন।
বুধবার একাদশীর দিন বার্ণিশ এলাকায় এই পুজো উপলক্ষে মেলা বসেছিল। এদিন মেলায় লক্ষাধিক ভক্তের সমাগমে মন্দির প্রাঙ্গণ আলোকিত হয়ে ওঠে। ভক্তরা এদিন মন্দিরে পুজো দিতে সকাল থেকে লম্বা লাইন দেন। ভক্তদের মতে এই দেবী খুবই জাগ্রত।