বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
যাত্রীরা বলেন, এই রুটে কয়েক মিনিট পরপর বাস, ম্যাক্সি, ট্রেকার সহ অসংখ্য যানবাহন চলাচল করে। সাধারণত এরা যাত্রী তোলার জন্য বিভিন্ন স্টপেজে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে। তারপর গাড়ি উপচানো যাত্রী হয়ে গেলেই ছুট লাগায়। প্রায়ই এখানে ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটে। কিন্তু হুঁশ ফেরে না কারও।
ভুক্তভোগীরা জানান, রেষারেষিতে কোনও গাড়ি এগিয়ে গেলে সেই গাড়ির চালক ও কন্ডাক্টরেরা বিজয়ের আনন্দে পিছিয়ে পড়া গাড়ির কর্মীদের অট্টহাস, উপহাস করতেও ছাড়ে না। এতে আরও রেষারেষি বেড়ে যায়। সারাদিন তো বটেই বিশেষ করে অফিস টাইমে আর বিকেলের পর সন্ধ্যা লাগার মুখে গাড়িগুলি আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। এনিয়ে যাত্রীরা চিৎকার, রাগারাগি করলেও কেউ কথা শোনে না। অনেক সময় গাড়ির স্টাফরা মুখ ঝামটাও দেয়। চালকেরা নিজেদের ইচ্ছে মতো গাড়ি চালায়। যাত্রীদের প্রাণের তো বটেই নিজেদের জীবনের পরোয়াও তারা করে না।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ মার্চ নালাগোলা রাজ্য সড়কের বুলবুলচণ্ডীতে একটি বেসরকারি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ধারের গাছে সজোরে ধাক্কা মারে। তাতে সাতজন আহত হন। ৩১ মে এই রাস্তার উপরই বেগুনবাড়িতেও দুর্ঘটনা ঘটে। এই বাসটিও গাছে ধাক্কা মারে। এতে জখম হন ৩০ জন। সেপ্টেম্বর মাসেই এরকম এক বাস দুর্ঘটনায় ৩০ জন জখম হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রতিটি ক্ষেত্রেই গাড়িগুলি রেষারেষিতে লাগামহীন গতিতে ছুটছিল।
আইহোর বাসিন্দা প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক সমর দাস বলেন, মূল বাজার এলাকাগুলি পেরিয়েই যানবাহনগুলি বেপরোয়া গতিতে ছুটে চলে। আমি লক্ষ্য করে দেখেছি, বাসের কর্মীরা অপর প্রান্ত থেকে আসা বাসের কর্মীদের সঙ্গে ফোনাফুনি করে জেনে নেয় আগের বাস কোথায় আছে, কত যাত্রী আছে— এসব। সেইমতো গাড়ি ছুট লাগায়। এনিয়ে প্রতিবাদ করেও কোনও লাভ হয় না। ওদের কাছে প্যাসেঞ্জার তোলাটাই লক্ষ্য, জীবনের কোনও দাম নেই। পুলিস প্রসাশনের বিষয়টি দেখা উচিত। পাশাপাশি যানবাহনের কর্মী ও মালিকদেরও বিষয়টি ভেবে দেখা উচিত।
এনিয়ে মালদহ বাস মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোশিয়েশনের সম্পাদক শোভন জোয়ারদার বলেন, ওই রুটে অনেক যানবাহন হয়ে গিয়েছে। সেগুলি রেষারেষি করে ছোটে। এর সত্যতা আমি স্বীকার করছি। আমরা খুব দ্রুত বাস মালিক ও ট্রেড ইউনিয়নগুলি এবিষয়ে আলোচনা করব। সেখানে গাড়ি চালানোর সময় সুরক্ষার ব্যাপারে কিছু পদক্ষেপ নেব।
হবিবপুর থানার আইসি ত্রিদীপ প্রামাণিক বলেন, এই ঘটনা নিয়ে আমরা খুব দ্রুত বিডিও, বাস সংগঠন, কর্মী ইউনিয়ন সকলের সঙ্গে আলোচনায় বসব। জরুরি কিছু পদক্ষেপও নেওয়া হবে। মালদহ-নালাগোলা রাজ্য সড়কে যানবাহনের রেষারেষি নতুন কিছু নয়। মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। আমরা চাইছি, যাত্রী তোলার প্রতিযোগিতায় এই জীবন নিয়ে খেলা বন্ধ হোক। না হলে অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে।