খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ
আধার দুর্ব্বল হইলে কুণ্ডলিনীর উন্মেষ কিঞ্চিন্মাত্রাতেই হইয়া থাকে। তাহার পর সাধক স্বয়ং নিজকর্ম্মের দ্বারা ঐ উন্মেষের অগ্রগতি সম্পাদন করে। এই প্রকারে ধীরে ধীরে সাধকের অন্তরে এবং বাহিরে উদ্বুদ্ধ চৈতন্যশক্তির বিকাশ ঘটিয়ে থাকে। চৈতন্যশক্তির বিকাশের ফলে অনাত্মাতে আত্মভাবত কাটিয়া যায়ই, বিশেষতঃ আত্মাতে আত্মাভিমানের পূর্ণ অভিব্যক্তির পথও খুলিয়া যায়। প্রকৃতি ও মায়া হইতে আত্মস্বরূপের বিবেকজ্ঞান উদিত হইলেও কর্ম্ম সংস্কার নষ্ট হইয়া যায় এবং জন্ম-মৃত্যুর ঊর্দ্বে নিত্য স্থিতির উপলব্ধি হয়। কিন্তু পশুভাবের বীজ তখনও থাকিয়া যায়। পশুভাব নিবৃত্ত না হইলে ভগবৎস্বরূপে স্থিতি দুর্ঘট। সাধকের আত্মা পরমাত্মা হইতে অভিন্ন অথবা পরমাত্মার সনাতন অংশভূত এবং স্বরূপতঃ নিত্য দিব্য-ভাবাপন্ন-উহা পশু অবস্থার নিম্নস্তরে এই সকল প্রাকৃতিক সূক্ষ্ম সংস্কাররাশির আবেষ্টনে আচ্ছন্ন হইয়া বদ্ধের ন্যায় বিদ্যমান থাকে। দিব্যজ্ঞানের উদয় এবং ক্রমিক বিকাশ হইলে ঐ সকল সংস্কারের নিবৃত্তি ত হয়ই , উপরন্তু মৌলিক পশুবীজও কাটিয়া যায়।
সাধক কর্ম্মদ্বারা গুরু হইতে প্রাপ্ত জ্ঞানাগ্নির স্কুলিঙ্গকে নিজ সত্তায় সম্পূর্ণভাবে বিস্তারিত করে এবং এই বিস্তারের মাত্রা অনুসারে অজ্ঞানজ কর্ম্মসংস্কারগুলি নষ্ট হইতে থাকে। দেহ কর্ম্মসম্ভূত বলিয়া দেহে অবস্থিতি কাল পর্য্যন্ত অজ্ঞান ও কর্ম্ম-সংস্কার সম্পূর্ণভাবে নিবৃত্ত হয় না। কারণ সম্পূর্ণ নিবৃত্তির সঙ্গে সঙ্গে সাধারণতঃ দেহপাত অবশ্যম্ভাবী। এইজন্য সাধকের পূর্ণ সিদ্ধি দেহে অবস্থানকালে হইতে পারে না—লেশমাত্র অবিদ্যা অথবা অজ্ঞান দেহাবস্থায় থাকিবেই থাকিবে।