খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ
ভারতনগরের নবরবি সঙ্ঘ বাসন্তীপুজো কমিটির সম্পাদক কৌশিক বসু বলেন, আমাদের পাড়ার এই পুজোতে প্রতি বছর ব্যাপক ভিড় হয়। ভিড়ের জেরে করোনা ভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। অর্থাৎ এবার পুজো করা মানে মৃত্যুকে ডেকে আনা। মান ভারাক্রান্ত হলেও এলাকাবাসীদের সঙ্গে আলোচনা করে এবার বাসন্তীপুজো আমরা না করার সিদ্ধান্ত নিই। সরকারের নির্দেশ মেনে আমরা সকলে এখন গৃহবন্দি হয়ে রয়েছি। তবে ক্লাবের তহবিল থেকে ডেকরেটারের কর্মী ও মৃৎশিল্পীর মজুরি দেওয়া হবে।
শিলিগুড়ি শহরে বেশকিছু বাসন্তীপুজো হয়। সেগুলির মধ্যে শহরের ভারতনগরের নবরবি সঙ্ঘের পুজো অন্যতম। এখানকার পুজো ৩৬ বছরের পুরনো। কিছু দিন আগে স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে পুজো কমিটি গড়ে পুজোর সবরকম প্রস্তুতি উদ্যোক্তারা নিয়ে নেন। ক্লাবের মাঠে বাঁশ পুঁতে মণ্ডপের কাঠামোও নির্মাণ করা হয়ে যায়। এ অবস্থায় করোনার ছোবল থেকে দেশবাসীকে বাঁচাতে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে লকডাইন কর্মসূচি। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরতে পারছেন না বাসিন্দারা। তাই পুজো বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আয়োজকরা। মঙ্গলবার পুজোর উদ্যোক্তরা বৈঠক করে এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
পুজো কমিটির কয়েকজন বলেন, এবার তাঁদের পুজো ৩৭ তম বর্ষে পা দিত। পুজোর বাজেট ধরা হয়েছিল প্রায় দেড় লক্ষ টাকা। আগামী ৩০ মার্চ ষষ্ঠীপুজো দিয়ে পুজোর সূচনা হতো। ওই দিন থেকে চারদিন ধরে পুজো চলত। এ জন্য কাল্পনিক মন্দিরের আদলে ক্লাবের মাঠে মণ্ডপ নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়েছিল। মণ্ডপের কাঠামো অনেকেটাই হয়ে গিয়েছিল। পুরোহিত ও প্রতিমা নির্মাণের বায়নাও দিয়ে আসা হয়েছিল। এলাকার কিছু বাসিন্দার কাছ থেকে চাঁদা সংগ্রহ করা হয়েছিল। কিন্তু ‘অসুর’ করোনার মোকাবিলায় রাজ্য ও কেন্দ্রের সরকার ঝাঁপিয়ে পড়েছে। তাদের সহযোগিতা করতেই পুজো না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে ঋষি অরবিন্দ রোড নাগরিক সমিতির পুজো কমিটির সম্পাদক বাসুদেব ঘোষ বলেন, এবার আমাদের পুজো ১৬ বছরে। সব কিছু হয়ে গিয়েছিল। বাজেট ছিল দেড় লাখ টাকা। কিন্তু এই অবস্থায় আমরা পুজো করছি না। তেমনই বিমল সিনহা সরণিতে একটি পারিবারিক পুজোও একই কারণে বন্ধ করা হল। গৃহকর্তা সুকুমার ঘোষ বলেন, আমরাও সব প্রস্তুতি নিয়েও পুজো বন্ধ করে দিলাম।