খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ
এবার টানা ২১ দিনের লকডাউনে দিনকয়েক পরে মুদিখানার সামগ্রী ও আনাজপাতি আর মিলবে কি না, দোকান আর খোলা পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে যান সাধারণ মানুষ। যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমস্ত অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রীর জোগান অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তবুও এদিন মালদহের বাজারগুলিতে ভিড় করেন বাসিন্দারা। এদিকে লকডাউন সত্ত্বেও রাস্তায় যাতে বাসিন্দারা বের না হন, সেজন্য কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে মালদহ পুলিস। মঙ্গলবার অভিযান চালিয়ে ইংলিশবাজার শহর থেকে চারজনকে আটকও করা হয়। সেইসঙ্গে টিভি ও সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে বিভিন্ন জায়গায় যে পুলিস নির্দেশ অমান্যকারীদের পিটুনি দিচ্ছে, সেই দৃশ্যও ভাইরাল হয়েছে। সেজন্যই এদিন দুই শহরের অনেক পুরুষ নিজে না বেরিয়ে, বাড়ির মহিলাদের বাজার করতে পাঠিয়েছেন। পুরাতন মালদহের মঙ্গলবাড়ি এলাকার বাসিন্দা প্রতিমা ঘোষ বলেন, টিভিতে দেখেছি, রাস্তায় বের হলেই ছেলেদের পুলিস মারছে। তাই এদিন নিজেই সাহস করে বাজারে গিয়েছিলাম। রাস্তাঘাট ফাঁকাই ছিল। কিন্তু বাজারে অনেক ভিড় ছিল। সকাল সকালই বাজার সেরে বাড়িতে ফিরে গিয়েছি। আর বের হব না।
ইংলিশবাজারের বাসিন্দা জয়িতা মণ্ডলেরও একই কথা। আগামী ২১ দিনের কথা চিন্তা করে তিনিও এদিন বাজার সেরে রেখেছেন। তবে সাধারণত তিনি বাজারে আসেন না। এদিন এসেছেন, কারণ স্বামী বের হতে চাননি পুলিসের ভয়ে।
পুরাতন মালদহের বাসিন্দা কৌশিক বাগচি বলেন, হাতে ফর্দ নিয়ে বেরিয়েছি। বাজারে সব্জির দাম বেড়েছে। যে যেমন পারছে তেমন দাম নিচ্ছে। বাজারে প্রচণ্ড ভিড়। তবে বাচামারির বাসিন্দা ভাস্কর সেনগুপ্ত বলেন, দাম খুব একটা বাড়েনি। পেঁয়াজ ২৫ টাকা কিলো। দুধের দামও স্বাভাবিক আছে। তবে ভিড় আছে। লোকে ভাবছে, পরে গেলে আর জিনিস পাবে না। তবে দোকানে তো সবকিছুই যথেষ্ট রয়েছে দেখলাম। সবাই অল্প অল্প করে জিনিস কিনলে ভালো হয়।
মালদহ মার্চেন্টস চেম্বার অব কমার্সের সম্পাদক জয়ন্ত কুণ্ডু বলেন, প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে এদিন আমি নিজেও বাজারগুলিতে গিয়েছিলেন। দাম বাড়া নিয়ে তেমন কোনও সমস্যা নেই। জিনিসপত্র নিয়েও আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু নেই। সব পণ্য পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে। প্রশাসন এদিন বাজারগুলিতে তিন ফুট দূরত্বে দাগ দিয়ে দূরত্ব বজায় রেখে ক্রেতাদের দাঁড় করিয়েছে।