খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ
লক ডাউন ঘোষণা সত্ত্বেও হুজুগে লোকজনের রাস্তায় বেরনোর খামতি ছিল না। গত দু’দিনের মতো এদিনও পুলিস সতর্ক ছিল। যাঁরা প্রয়োজনে রাস্তায় বেরিয়েছেন তাঁদের পুলিস ছাড় দিলেও বিনা কারণে রাস্তায় বেরলেই ধরপাকড় চলছে। এদিন বিনা কারণে শহর দেখতে বেরিয়ে পড়ে অনেকে। তখনই অনেককে ধরে পুলিস কান ধরে ওঠবস করায়। তবে এদিন রাস্তাঘাট মঙ্গলবারের তুলনায় ফাঁকা ছিল। বাজারগুলিতে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে কোথায় ক্রেতারা দাঁড়াবেন তা নির্ধারণ করে দেয় পুলিস। সকালের দিকে বাজার ও মুদির দোকানে ভিড় হলেও পরে তা আস্তে আস্তে কমে যায়। পুরাতন মালদহের চিত্রটাও ছিল অনেকটা একইরকমের। তবে পুলিসের টহল থাকলেও নির্দিষ্ট দূরত্বে দাঁড়ানোর নিয়ম সেভাবে সেখানে মানা হয়নি বলে অভিযোগ।
এদিন ৩৯ জন সরকারি আধিকারিক তাঁদের একদিনের বেতন প্রায় দু’ লক্ষ টাকা মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দান করেন। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে চিকিৎসকের সঙ্কটে ভুগছে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। লকডাউনের ফলে বাইরে নানা জায়গায় আটকে পড়েছেন মেডিক্যালের চিকিৎসকরা। তাঁদের বিশেষ কোনও ব্যবস্থা করে ফিরিয়ে নিয়ে আসা যায় কিনা, তা দেখছে প্রশাসন।
এদিকে লকডাউনের মধ্যে বাড়িতে সব্জি ও মুদিখানার সামগ্রী মজুদ করতে ভিড় বাড়ছে বাজারগুলিতে। করোনার সংক্রমণ রুখতে যে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং বা সামাজিক দূরত্বের কথা বলা হচ্ছে, তা মানা সম্ভব হচ্ছে না। সেজন্য মালদহ জেলা প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে জেলা সদর ইংলিশবাজারের বড় বড় বাজারগুলিতে ভিড় এড়াতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যে বাজারগুলি ঘিঞ্জি ভবনের মধ্যে বসে, সেগুলিকে খোলা জায়গায় নিয়ে আসা হবে যাতে ক্রেতারা বাজারে এসেও নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে কেনাকাটা করতে পারেন। কারও কোনও সমস্যা না হয়।
মালদহের জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র বলেন, শহরের বড় বড় বাজার যেমন নেতাজি বাজার বা মকদমপুরের বাজারগুলিকে কোনও খোলা জায়গায় নিয়ে যাওয়া হবে। জায়গা বেশি পেলে ক্রেতাদের গায়ে গায়ে দাঁড়াতে হবে না। সেক্ষত্রে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হবে।
জানা গিয়েছে, আপাতত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে নেতাজি মার্কেট বা রথবাড়ি বাজারটিকে নিয়ে যাওয়া হবে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে, সার্ভিস রোডের উপরে। মকদমপুরের বাজারটিকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হবে সেবিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে সেটিকে বাঁধের উপরে নিয়ে যাওয়া হতে পারে।