খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ
বালুরঘাট শহরেরই এক প্রবীণ নাগরিক উদয় দাস বলেন, আমি সকালবেলায় বালুরঘাটের অনেক ওষুধের দোকানে আমার হার্টের ওষুধ খুঁজলাম। কিন্তু কোথাও খুঁজে পেলাম না। এখন তো লকডাউন চলছে, এই অবস্থা সব ওষুধের দোকানে যেন সব ওষুধ পাওয়া যায়, এই বিষয়টি প্রশাসনের দেখা উচিত।
শহরের আরও এক বাসিন্দা অপূর্ব রায় বলেন, বাজারে সব ধরনের ওষুধ এখন পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক ডাক্তার বিভিন্ন কোম্পানির ওষুধ লেখেন। সে সমস্ত ওষুধ খুঁজতে আমাদের হয়রানি হচ্ছে।
এবিষয়ে বালুরঘাট শহরের এক ওষুধের দোকানদার অমিত মহন্ত বলেন, লকডাউনের ভয়ে এখন সব ধরনের ওষুধ বেশি পরিমাণে বিক্রি হচ্ছে। আমাদের দোকানে সব রকম ওষুধ রাখার চেষ্টা করছি। আপাতত সব ওষুধ থাকলেও পরে কী হবে বলা মুশকিল। যদি আমরা ওষুধ তুলতেই না পারি, তাহলে বিক্রি করব কীভাবে?
মৃন্ময় সরকার নামে আরও একজন বিক্রেতা বলেন, মানুষ ওষুধ নিতে আসছেন। তাঁরা আতঙ্কিত। প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ওষুধ কিনতে চাইছেন। যতটুকু সম্ভব আমরা দেওয়ার চেষ্টা করছি। তবে কাউকে বেশি ওষুধ দিচ্ছি না। তবে অনেক ওষুধ আমরাও ডিস্ট্রিবিউটরের কাছে পাচ্ছি না। তাই মানুষ ঘুরে যাচ্ছেন।
এবিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক চিন্ময় সরকার বলেন, বাইরে থেকে অনেক ওষুধের গাড়ি শহরে আসছে না। ওষুধ বহন করার কর্মীও পাওয়া যাচ্ছে না। তাই বাজারে অনেক ওষুধ অমিল হচ্ছে। এই ব্যাপারে আমরা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা আশ্বাস দিয়েছেন আমাদের এই সমস্যাগুলি দ্রুত সমাধান করা হবে।