খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ
করোনার চিকিৎসা করতে গিয়ে রাজধানী দিল্লি সহ বিভিন্ন জায়গায় সামাজিক রোষে পড়ছেন চিকিৎসকরা। কোথাও ভাড়াবাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে বলা হচ্ছে, কোথাও বা টিপ্পনি শুনতে হচ্ছে তাঁদের। এদিন এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী সে বিষয়ে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে ডাক্তারদের ঈশ্বরের সঙ্গেও তুলনা করেছেন তিনি। ভিডিও বার্তায় মোদি আরও বলেন, ‘কিছু জায়গা থেকে এমন খবর পেয়েছি। যা শুনে কষ্ট পেয়েছি। এই সঙ্কটের সময়ে সাদা কোট পরে যাঁরা দৌড়ে বেড়াচ্ছেন, তাঁরা ঈশ্বরের প্রতিমূর্তি। আমার অনুরোধ, যদি কোথাও কোনও ডাক্তার-নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীর সঙ্গে কেউ খারাপ ব্যবহার করে, তাহলে আপনারা সেখানে এগিয়ে যান। যারা এই কাজ করছে, তাদের বোঝান যে তারা ভুল। আজ ওঁরা নিজেদের জীবন বাজি রেখে মানুষকে বাঁচাচ্ছেন।’ আইনি ব্যবস্থার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি।
স্বাস্থ্যকর্মীদের হেনস্তা নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং রাজ্যের ডিজিপিদের সঙ্গে কথাও বলেছেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি আরও বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং সব রাজ্যের ডিজিপিদের সঙ্গে কথা হয়েছে। এই বিপদের দিনে যে ডাক্তার-নার্স এবং জরুরি পরিষেবা প্রদানকারীরা যেভাবে মানুষের সেবা করে চলেছেন, তাঁদের সঙ্গে সহযোগিতা না করলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছি।’ মোদি আরও বলেন, ‘বর্তমানে হাসপাতালের কর্মীরা দিনে ১৮ ঘণ্টা কাজ করছেন। ২-৩ ঘণ্টার বেশি ঘুমোতেও পারছেন না। তাঁদের প্রত্যেককে স্যালুট করা উচিত আমাদের।’
এদিন বারাণসীর বাসিন্দাদের পাশাপাশি দেশবাসীকে এই ২১ দিনে গরিব পরিবারদের যত্ন নেওয়ার আর্জিও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘প্র্রত্যেককে বলছি, এই তিন সপ্তাহের প্রতিদিন ৯টি গরিব পরিবারের দেখাশোনা করুন।’
করোনার প্রতিষেধক নিয়ে নানা মহলে গুজব ছড়িয়েছে। এদিন তাও নস্যাৎ করে দিয়েছেন মোদি। তিনি বলেন, ‘আজ পর্যন্ত করোনার কোনও প্রতিষেধক আবিষ্কার করা যায়নি। তাই নিজে থেকে চিকিৎসা করতে যাবেন না। বাড়িতে থাকুন। ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলুন।’ প্রসঙ্গত, গতকালই মোদি দেশজুড়ে তিন সপ্তাহ লকডাউনের কথা ঘোষণা করেছেন। জানিয়েছেন, এই ২১ দিন ঘরে না থাকলে দেশ দু’বছর পিছিয়ে যেতে হবে।