খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ
লকডাউন উপেক্ষা করে বুধবার জেলার বিভিন্ন প্রান্তের বাজারে ও রাস্তাঘাটে বের হন সাধারণ মানুষ। এদিনও চলেছে হুড়োহুড়ি করে কেনাকাটা। পুলিশকে কোনও কোনও ক্ষেত্রে কঠোর হতে হয়। লাঠিচার্জের পাশাপাশি লকডাউন অমান্যকারীরদের কান ধরে ওঠবোসও করানো হয়। নিয়মভাঙায় বসিরহাটে পুলিশ পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তাঘাট ফাঁকা হতে থাকে।
দেগঙ্গার বেড়াচাঁপা এলাকায় রাস্তায় বের হওয়া যুবকদের আটকে পুলিস কানধরে ওঠবোস করায়। বনগাঁতেও লকডাউন অমান্যকারীদের রাস্তার উপরেই বেশ কিছুক্ষণ পুলিস কান ধরে দাঁড় করিয়ে রাখে। বুধবার দত্তপুকুর পাইকারি হাটে কয়েকশো ক্রেতা বিক্রেতা ভিড় জমান। সেখানে এদিন সকাল থেকেই রাস্তার ধারে রীতিমতো ঘেঁষাঘেষি করে সব্জি কেনাকাটা করতে জড়ো হন ক্রেতা বিক্রেতারা। ভিড় দেখে লকডাউন নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
বারাসত ১ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ইছা হক সর্দার বলেন, স্থানীয় চাষিদের কাছে প্রচুর সব্জি ছিল। সেগুলি হাটে বিক্রি না করলে চাষিরা ক্ষতির মুখে পড়তেন। স্থানীয় বাজারগুলিতে জোগানও কমে যেত। সেজন্যই হাট হয়েছিল সকালে। প্রচুর ক্রেতা বিক্রেতারাও এসেছিলেন হাটে। বেলা ১০টার সময় অবশ্য হাট বন্ধ করে দেওয়া হয়।
অন্যদিকে বারাকপুর থেকে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের কালোবাজারির বিরুদ্ধে অভিযানে নামে নৈহাটি ও বীজপুর থানার পুলিস। বুধবার নৈহাটি ও কাঁচড়াপাড়া শহরের বিভিন্ন বাজার থেকে ক্রেতারা ফোন করে আলু ও অন্যান্য শাক সব্জির চড়া দাম নেওয়ার অভিযোগ ফোনে জানায় পুলিসকে। অভিযোগ পেয়েই বাজারগুলিতে হানা দেয় পুলিস। বিভিন্ন বাজারে ঘুরে পুলিস ও প্রশাসন অসাধু ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে দিয়ে যায়।
এদিকে, লকডাউন উপেক্ষা করে এদিনও টিটগড়, বারাকপুর, খড়দহ, পানিহাটি, বেলঘরিয়া, বরানগর সর্বত্র পাড়ার মোড়ে মোড়ে জটলা দেখা যায়। প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে অনেকে বের হয়েছিলেন। তাদের লাঠিপেটা করেছে পুলিস। উল্লেখ্য, লকডাউন অমান্যকারীদের উপর পুলিসের এই লাঠিচার্জকে সাধারণ মানুষ সমর্থনই করছে। পুলিসকে বাহবা দিচ্ছেন সকলেই। পুলিসও অত্যন্ত কঠোরভাবে সর্বত্র নজরদারি চালাচ্ছে।