নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: আপাতত দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় করোনা সন্দেহে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শতাধিক মানুষ। পর্যবেক্ষণ এর পর তাঁদের কারও করোনা উপসর্গ পাওয়া যাযনি। জেলাশাসক পি উলগানাথন বুধবার সকালে বলেন, সকলে সুস্থ আছেন। কারও শরীরে করোনা ভাইরাস এর পজিটিভ কিছুই মেলেনি। যা স্বস্তিদায়ক। তা সত্ত্বেও প্রশাসন পুলিশ সক্রিয় রযেছে।
এদিকে, লকডাউনকে উপেক্ষা করে এদিনও রাস্তায় দেখা গিয়েছে উৎসাহী মানুষের ভিড়। মাইকে ঘোষণা করা সত্ত্বেও কাজ না হওয়ায় মহেশতলা এবং বজবজ দুই থানা এলাকাতেই পুলিশ লাঠি চালাতে বাধ্য হয়। এখনো পর্যন্ত বজবজ থানায় ১৭ জন এবং মহেশতলা থানা এলাকা থেকে ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পাশাপাশি, ডায়মন্ডহারাবারেও ছিল একই ছবি। লাঠি উঁচিয়ে এবার আইন না মানা জনতাকে শায়েস্তা করতে রাস্তায় নামলেন ডায়মন্ডহারবার মহকুমা শাসক সুকান্ত সাহা। পুলিসের আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শহর সংলগ্ন নেতরা ও আশপাশের এলাকায় টহলদারি করেন। মহকুমা শাসক বলেন সব মিলিয়ে এই পর্যন্ত শহরে ১৯ জনকে আটক ও ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হযেছে ।
কাকদ্বীপ এর মহকুমা শাসক শৌভিক চট্টোপাধ্যায এদিন মহকুমা শহর ও সংলগ্ন এলাকায় টহল দেন। তারপর সঙ্গে সুন্দরবন পুলিস জেলার আধিকারিকরা ছিলেন।
বারুইপুর মহকুমার ভাঙড় ও কাশীপুর এলাকার পুলিশ ও প্রশাসনের লোকজন রাস্তায় জটলা দেখলেই দমদম দাওয়াই দিযেছে। তাতেই দুপুরের পর লোকজনের জটলা অনেকটা কমে যায়।
বুধবার কাকদ্বীপ মহকুমার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল সরেজমিনে ঘুরে দেখেন মহকুমা পুলিস আধিকারিক অনিল কুমার রায। হাসপাতাল এ ভিড় সামাল দেওয়ার পাশাপাশি রোগীরা যাতে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে চলে তার উপর নজরদারির ব্যাপারে সিভিক ভলান্টিয়ার দের নির্দেশ দেন।