খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ
যেমন বয়স্ক মানুষদের বাড়িতে যাবতীয় দরকারি জিনিসপত্র পৌঁছে দিচ্ছেন নিউ আলিপুরের ৮১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর জুঁই বিশ্বাস। তাঁর কথায়, আমি আমার এলাকার প্রবীণদের বলেছি, আগামী ১৫ দিন বাড়ি থেকে বেরনোর দরকার নেই। যদি কোনও জিনিস কেনার প্রয়োজন হয়, সকাল ৭টা থেকে ৯টার মধ্যে আমাকে এসএমএস অথবা হোয়াটসঅ্যাপ করে দিন। আমাদের দলের ছেলেরাই আপনার বাড়িতে জিনিসপত্র পৌঁছে দেবে। চাল, আটা, তেল, আলু, পেঁয়াজ, দুধ, ওষুধ ইত্যাদি বাজারে যা জিনিস মিলবে, সেটাই আমরা আপনাদের বাড়িতে দিয়ে আসব। আমরা আপনাদের সুখ-দুঃখের সঙ্গী। আমরাই আপনাদের বন্ধু। তাই এটা আমাদের কর্তব্য।
পাটুলির ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত এলাকার মানুষের কাছে ওষুধ পরিষেবা যাতে সঠিকভাবে পৌঁছয়, তার ব্যবস্থা করেছেন। একটি জরুরিকালীন নম্বরও স্থানীয়দের দিয়েছেন তিনি। যাতে কোনও প্রয়োজনে মানুষ সেই নম্বরে ফোন করে সমস্যার কথা জানাতে পারেন। পিছিয়ে নেই ভবানীপুর চক্রবেড়িয়ার ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার অসীম বসু। লকডাউনের প্রথম দিন থেকেই নিজে মাস্ক পড়ে পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে স্যানিটাইজার ও মাস্ক বিলি করছেন। মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী। নিজে এবং তাঁর দলের ছেলেরা বাজার থেকে সামগ্রী এনে প্যাকেট করে ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছেন। তাঁর কথায়, আমরা যদি এই সময়ে পাশে না দাঁড়াই, তাহলে সেই সব অসহায় মানুষের পাশে কে দাঁড়াবে? আগামী ২১ দিন লকডাউন। রাজনীতির কথা না ভেবে জনপ্রতিনিধিদের প্রত্যেক অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার অনিন্দ্য রাউত হোক বা ১১০ নম্বর ওয়ার্ডের অরূপ চক্রবর্তী, এই সময়ে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানোই শ্রেষ্ঠ দায়িত্ব বলে মনে করছেন। প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছেও দিয়েছেন অনেকের ঘরে।
এছাড়াও কাউন্সিলাররা কেউ কেউ বিলি করছেন মাস্ক-স্যানিটাইজার, কেউ আবার চাল-সব্জি। দক্ষিণ থেকে উত্তর, পূর্ব থেকে পশ্চিম, শহরের প্রায় সিংহভাগ কাউন্সিলারের ভূমিকায় রীতিমতো আপ্লুত শহরের বাসিন্দারা। তাঁদের মধ্যে অনেকেই বললেন, এমন পরিষেবা কলকাতার কাউন্সিলারদের থেকেই পাওয়া সম্ভব।