খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ
মঙ্গলবার সকালে অনেকে ছুটির মেজাজে রাস্তায় বেরিয়ে পুলিসের ডান্ডা খেয়েছিলেন। তাই বুধবার রাস্তাঘাটে খুব একটা বেশি লোকজন বের হননি। বাজার করতে কিংবা জরুরি প্রয়োজনে হাতে গোনা কয়েকজন মানুষ বেরিয়েছিলেন। বর্ধমান শহর সহ বিভিন্ন মুদির দোকানে এখনও ক্রেতার ভিড় হচ্ছে। পাশাপাশি এবং গায়ে ঘেঁষে দাঁড়িয়েই অনেকে বাজার করছেন। তাতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ হতে পারে। বুধবার জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের পক্ষ থেকে একটি নির্দেশিকা দিয়ে জানানো হয়েছে, বাজারে এবং মুদির দোকানে গিয়ে যেন নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা হয়। এ ব্যাপারে বর্ধমান পুরসভা, মেমারি পুরসভা এবং রসুলপুরে একাধিক দোকানে প্রচারও করা হয়েছে। এদিকে, ভিড় এড়াতে কাটোয়ার বহু মুদির দোকান হোম ডেলিভারি করার উদ্যোগ নিয়েছে। এদিন যে ক্রেতারা দোকানে গিয়েছেন, তাঁদের সবার মোবাইল নেওয়া হয়েছে। দোকানদাররাও তাঁদের মোবাইল নম্বর দিয়েছেন সকলকে। দোকানদাররা বলে দিয়েছেন, দোকানে আসার প্রয়োজন নেই। কিছু লাগলে ফোন করবেন। বাড়িতে পৌঁছে দেব। কাটোয়ার বিভিন্ন জায়গায় অপ্রয়োজনে একসঙ্গে অনেক লোকজন জড়ো হওয়ায় এদিনও পুলিস সকলকে তাড়া করে ফাঁকা করে দেন।
অপরদিকে, পূর্ব বর্ধমান জেলায় এখনও হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ২৫ হাজার ১১৫ জন মানুষ। তাঁদের মধ্যে বিদেশ থেকে আসা ১৮৯ জন রয়েছেন। বাকি ২৪ হাজার ৯২৬ জন ভিন রাজ্য থেকে এসেছেন। বুধবার পর্যন্ত আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন মোট ১১ জন। করোনা মোকাবিলায় বর্ধমান-দুর্গাপুরের সংসদ সদস্য এসএস আলুওয়ালিয়া সংসদ তহবিল থেকে দেড় কোটি টাকা দেওয়ার জন্য জেলাশাসককে চিঠি দিয়েছেন। তার মধ্যে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকে এক কোটি এবং দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালকে ৫০ লক্ষ টাকা। এদিকে, জরুরি পরিষেবা হিসেবে ব্যাঙ্ক খোলা থাকলেও বর্ধমান শহরে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক এদিন বেশিরভাগ কাজই হয়নি। এমনকী, ভিতর থেকে ব্যাঙ্কের গেটও সবসময় বন্ধ করা থাকছে। কলিংবেল বাজালে নিরাপত্তারক্ষী গেট খুলছে। এক একজন করে ভিতরে ঢোকাচ্ছেন। কেবলমাত্র ওই ব্যাঙ্কের গ্রাহকদেরকেই পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। তাতে হয়রানির শিকার হন বহু মানুষ। মেমারির পারিজাতনগরে এক ব্যক্তি ভিন রাজ্য থেকে এসে এক আত্মীয়ের বাড়িতে উঠেছেন। ভিন রাজ্য থেকে আসা ওই ব্যক্তির বাড়ি কালনায়। এলাকার লোকজন তাঁকে ঢুকতে না দেওয়ায় তিনি আত্মীয়ের বাড়িতে উঠেছেন। এনিয়ে এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়।
দুর্গাপুর ও আসানসোলের বাজারে এদিন সকাল থেকে ভিড় উপচে পড়েছিল। পুলিস গিয়ে প্রত্যেককে দূরে দূরে লাইনে দাঁড় করান। দুপুর পর্যন্ত ভিড় চলতে থাকে। ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণাতেই আতঙ্ক ছড়ায়। পুলিসের পক্ষ থেকে মাইকে করে প্রচারও করা হয়। কালোবাজারি রুখতে চেম্বার অব কর্মাসের পক্ষ থেকেও প্রচার করা হয়েছে।