খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ
ওরা মানে অবধেশ কুমার, রাজমলের মতো জনা কুড়ি। বছর মেরেকেটে ২০-২২। প্রত্যেকেই শ্রমিক। আরও একটু নির্দিষ্ট করে বললে পরিযায়ী শ্রমিক। উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ের একটা স্টিল ফ্যাব্রিকেশন কারখানার। করোনা মোকাবিলায় দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণার পরও খুব একটা বিচলিত হননি তাঁরা। কারণ, প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছিলেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। তাঁরা যেখানে আছেন, সেখানেই থাকবেন। খাবারদাবারের কোনও সমস্যা হবে না।
ভুলটা ভাঙল রাতে। সংস্থার মালিক এসে বলে রীতিমতো হুমকি দিয়ে গেলেন, ‘এখানে থাকা চলবে না।’ অগত্যা রাতেই বাড়ির রাস্তা ধরার সিদ্ধান্ত নেন ওই ২০ জন। কিন্তু বাস-ট্রেন-অটো সবই যে বন্ধ! তাই ৮০ কিলোমিটার দূরে বরাবাঁকির গ্রামে পৌঁছতে পথচলাই ছিল তাঁদের একমাত্র উপায়। অন্তত ৩৬ ঘণ্টা...। পুলিস না আটকালে বৃহস্পতিবার সকালে গ্রামে পৌঁছে যাওয়ার কথা এই ২০ তরুণের।
‘কিন্তু সেখানে পৌঁছেও কি সব ঠিকঠাক থাকবে!‘ উদ্বিগ্ন অবধেশের গলা। পাশ থেকে রাজমল বলে ওঠে, ‘শুনছি গ্রামে বাইরের কাউকে ঢুকতে দিচ্ছে না। আমি বাড়ি ঢুকতে না পারলে বাকিরা খাবে কী! সরকার থেকে নাকি হাজার টাকা করে সাহায্য করা হবে বলা হয়েছে। কিন্তু আমার বাবা-মা বা পরিবারের কাছে কেউ সেই সাহায্য এনে দেবে না। আমাকেই সেই ব্যবস্থা করতে হবে।’ হাঁটার গতিবেগ বাড়ায় ওই পরিযায়ী শ্রমিকের দল। খেটে খাওয়া সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি ওরা। যাদের কাছে লকডাউনের প্রতি মুহূর্ত একটা গোটা দিনের সমান।