খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ
অন্যদিকে, লকডাউনের মধ্যে দেশের সমস্ত রাজ্যে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ সংক্রান্ত ইউনিট সচল রাখার উপর জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। এ ব্যাপারে রাজ্য সরকারগুলিকে চিঠি দিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রকের অন্তর্গত ডিপার্টমেন্ট অব প্রোমোশন অব ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড ইন্টারনাল ট্রেডের সচিব গুরুপ্রসাদ মহাপাত্র। সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়ে বলেছেন, বাজারে কোনওভাবেই যাতে প্যাকেজড ফুড তথা খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের খাদ্যবস্তুর অভাব না হয়, সে কথা মাথায় রেখে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ সংক্রান্ত যাবতীয় কারখানা খোলা রাখতে হবে। কর্মীদের যাতায়াত এবং কাজের ক্ষেত্রে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তা রাজ্যকে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এক্ষেত্রে ওই কর্মীদের উপর ১৪৪ ধারার বিধিনিষেধ কার্যকর হবে না।
মন্ত্রকের সচিব বলেছেন, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের যাবতীয় কাঁচামাল তথা তৈরি খাদ্য (রেডি ফুড) রাজ্যের মধ্যে তো বটেই, ভিনরাজ্যে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রেও যেন বাধা না পায়। দেশের এই বিপর্যয়ের সময়ে পাইকারি এবং খুচরো ব্যবসায়ীদের যাতে কাজে বাধা না দেওয়া হয়, জাতীয় স্বার্থের কথা উল্লেখ করে রাজ্যকে তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব দিয়েছে কেন্দ্র। রাজ্যকে দেওয়া চিঠিতে মন্ত্রকের সচিব বলেছেন, লকডাউনের এই সময়ে সাধারণ মানুষের মনে যাতে কোনওভাবেই আতঙ্ক না ছড়ায়, তারই উদ্দেশ্যে এই ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
করোনা মোকাবিলায় গৃহবন্দি দেশবাসীর জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় এবং অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের সরবরাহ বজায় রাখাটাই সরকারের কাছে অন্যতম চ্যালেঞ্জ। তাই কোনওভাবেই যাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় এবং অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের অপ্রতুলতা না সৃষ্টি হয়, তা নিশ্চিত করতে চাইছে মোদি সরকার। সেই মতো রাজ্যগুলিকে ন্যূনতম পরিষেবা বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র। এ ব্যাপারে রাজ্যকে ২৪ ঘণ্টার একটি বিশেষ হেল্পলাইন ঠিক করার পাশাপাশি একজন নোডাল অফিসার নিয়োগ করতে বলা হয়েছে। যাতে ওই নির্দিষ্ট অফিসারই এ ব্যাপারে প্রয়োজন মতো পদক্ষেপ নিয়ে মানুষকে আতঙ্কিত হওয়ার হাত থেকে রেহাই দিতে পারেন।