খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ
কাউন্সিলের মতে, যে হারে প্রযুক্তি এগিয়ে চলেছে এবং ডিজিটাল লেনদেন থেকে শুরু করে অনলাইন পড়াশোনা, কেনাকাটা ইত্যাদি চলছে— তাতে সাইবার ক্রাইমের মাত্রাও বাড়ছে। দেশে এই ধরনের অপরাধ রুখতে বা তার মোকাবিলা করার জন্য যে বিশেষজ্ঞ প্রয়োজন, তার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। তাই এই উৎকর্ষ কেন্দ্র তৈরি করে পর্যাপ্ত সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞ তৈরি করতে চাইছে কেন্দ্র। এক কর্তার কথায়, সাইবার ক্রাইমের দাপটে বহু সংস্থা নতুন প্রযুক্তি কার্যকর করতে সংশয় প্রকাশ করছে। অনলাইনে কোনও কাজ করলেও, তা নিয়ে বেশ চিন্তায় থাকে তারা। আই টি সেক্টরে অনলাইন কাজই প্রধান ভরসা। সেখানেই কিন্তু সাইবার ক্রাইমের প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। যে কোনও স্মার্ট শহরে এই অপরাধ তথ্যপ্রযুক্তি তালুককে ধ্বংস করে দিতে পারে। তাই দক্ষ বিশেষজ্ঞ এবং রিসোর্স পার্সন তৈরি করে এই অপরাধ ঠেকাতে তৎপর কেন্দ্র।
এই উৎকর্ষ কেন্দ্র তৈরি করার জন্য যে খরচ হবে তা সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীর সংস্থা ও এআইসিটিই যৌথভাবে বহন করবে। একটি এমন কেন্দ্র গড়তে প্রায় দু’কোটি টাকা খরত হবে বলে অনুমান এআইসিটিই’র। যেসব সংস্থাকে বাছাই করা হবে, তাদের একটি কেন্দ্র গড়তে ১৫০ দিন বা পাঁচ মাস সময় দেওয়া হবে। পরিসংখ্যান বলছে, গত তিন বছরে সাইবার সিকিউরিটি সংক্রান্ত অপরাধ লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। ২০১৬ সালে এই অপরাধের সংখ্যা ছিল ৫০ হাজার ৩৬২। ২০১৯ সালের অক্টোবর পর্যন্ত সেই সংখ্যা তিন লক্ষের বেশি ছাড়িয়ে গিয়েছে। এর থেকেই এখন প্রায় প্রত্যেক সংস্থাই চায় তাদের কাছে একজন সাইবর সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞ থাকুক। কারণ যখন তখন হ্যাকিং থেকে শুরু করে তথ্য জালিয়াতি ইত্যাদি হতে পারে। আর তাই এমন অপরাধ নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন কেন্দ্র। এই উৎকর্ষ কেন্দ্রে সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার—দু’টি বিভাগই থাকবে। প্রার্থীদের এগুলির উপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।