খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ
দেশজোড়া লকডাউনে শিলিগুড়ি শহর বুধবার কার্যত শুনশান ছিল। জাতীয় সড়ক থেকে পাড়ার অলিগলি ছিল ফাঁকা। প্রশাসনের নির্দেশ মেনে এ দিন টিকিয়াপাড়ায় হাট না বসলেও বিক্ষিপ্তভাবে কয়েকটি সব্জির দোকান বসেছিল। আতঙ্কে জিনিস মজুত করতে কেউ কেউ কেনাকেটা করতে বেরন। তবে রবিবার প্রথম লকডাউনের দিনে যেমন মানুষ কিছুটা উদাসীন ছিল এ দিন সেরকম ছিল না। যারা হিলকার্ট রোড, বিধান মার্কেট, সেভক রোডে মোটর বাইক নিয়ে বেরিয়েছে তাদের র্যা ফ, পুলিস কর্মীরা দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। অলিগলিতে পুলিসভ্যান টহল দেয়। জমায়েত দেখলেই ভিড় খালি করে দিয়েছে পুলিস।
শিলিগুড়ির ডেপুটি পুলিস কমিশনার (পূর্ব) নিমা নরবু ভুটিয়া বলেন, চাল, ডাল, ওষুধ সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দোকান খোলা রয়েছে। ভিড় এড়াতে আমরা অভিযান করছি। ফোসিনের সম্পাদক বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকেও ভিড় এড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। মানুষ যেন অযথা আতঙ্কিত না হয় সেটাও আমরা সকলকে বলছি। গেটবাজার ওয়েলফেয়ার ব্যবসায়ী সমিতি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে সকাল ৭টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত ওই বাজার খোলা থাকবে।
জলপাইগুড়ি শহরে এ দিন কিছুটা ভিন্ন চিত্র ধরা পড়েছে। সকাল থেকে বিভিন্ন রাস্তায় প্রচুর মানুষ কেনাকাটা করতে বাইরে বেরিয়ে পড়েন। কার্যত লকডাউন উপেক্ষা করেই মুদিখানা থেকে সবজি বাজারে ভিড় জমে যায়। টানা ২১ দিন লকডাউন থাকবে, তাই কিছু বিক্রেতা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ। এদিকে পুরসভার জঞ্জাল বালাপাড়ার ডাম্পিং গ্রাউন্ডে ফেলা নিয়ে মঙ্গলবার যে জটিলতা তৈরি হয়েছিল তা এ দিন কাটে। স্বাস্থ্য বিভাগ বারে বারে বলছে, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন। এমন অবস্থায় বার্জ্য অপসারণ ব্যবস্থায় প্রভাব পড়ায় পুর কর্তৃপক্ষ বিপাকে পড়ে। যদিও এ দিন আলোচনার মাধ্যমে স্থানীয়দের কিছু প্রস্তাব মেনে নিয়ে বর্জ্য সেখানেই ফেলা হয়। রান্নার গ্যাস সংগ্রহ করতে এলপিজি ডিস্ট্রিবিউটরের গোডাউনে লাইন দিতে দেখা যায়। সেখানে সকলেই কাছাকাছি লাইনে দাঁড়িয়ে সিলিন্ডার সংগ্রহ করেন। অনেক জায়গাতেই পুলিসকে ভিড় সরিয়ে দিতে দেখা যায়। যদিও বেলা গড়াতেই শহরের কদমতলা, দিনবাজার, ডিবিসি রোড, মার্চেন্ট রোড জনমানবশূন্য হয়ে যায়।
কোচবিহার শহরের অন্যতম বড় ভবানীগঞ্জ বাজারে এ দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে সকালের দিকে ভিড় হয়। পাড়ার মুদিখানা দোকানগুলিতেও ভিড় ছিল। কিছু দোকানদারই ক্রেতাদের দাঁড়ানোর জন্য নির্দিষ্ট দূরত্ব অন্তর চক দিয়ে চিহ্ন দিয়ে দেন। তবে অধিকাংশ জায়গায় সেই ছবি ছিল না। এটাই সচেতন নাগরিকদের উদ্বেগ বাড়িতে তোলে। কোতোয়ালি থানার পুলিসকে অনেক জায়গা থেকে ভিড় সরিয়ে দিতে দেখা যায়। শহরের হরিশ পাল চৌপথি, রেল ঘুমটি, নতুন বাজার সহ বিভিন্ন এলাকায় অপ্রয়োজনে মানুষকে রাস্তায় ঘুরতে দেখা যায়। তবে আলিপুরদুয়ার-২ ব্লকের অধিকাংশ বাড়ির গেটের সামনে অনুমতি না নিয়ে প্রবেশ নিষেধ সংক্রান্ত ছাপানো পোস্টার সাঁটা হয়।