খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ
এদিন দুপুরে জেলা প্রশাসনিক ভবনে রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মালদহের করোনা প্রতিরোধ সংক্রান্ত সর্বশেষ পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেন জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্তারা। ছিলেন জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র, দুই অতিরিক্ত জেলাশাসক অশোক মোদক ও অর্ণব চট্টোপাধ্যায়, মালদহের মুখ্য স্বাস্থ্যআধিকারিক ডাঃ ভূষণ চক্রবর্তী, মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার তথা উপাধ্যক্ষ প্রমূখ।
মুখ্য স্বাস্থ্যআধিকারিক বলেন, মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত চারজন ব্যক্তিকে করোনার জন্য তৈরি করা আইসোলেশন ওয়ার্ডে কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজন পুরুষ ও তিনজন মহিলা রয়েছেন। এছাড়াও বাড়িতে আরও বেশ কয়েকজনকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে বলে মালদহের স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে।
জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের এক বিবৃতি অনুযায়ী, ২৪ মার্চ পর্যন্ত মালদহে করোনা সন্দেহে কোয়ারান্টাইনে রাখা ব্যক্তির সংখ্যা ৪৮৭ জন। সম্প্রতি ভিন রাজ্য থেকে ফিরে আসা ১১৭ জনকে নতুন করে মঙ্গলবার তাঁদের বাড়িতেই কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইনে থাকা সাতজনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
এদিকে প্রশাসনিক ও পুলিসের আবেদন উড়িয়ে মালদহে করোনায় আক্রান্ত হওয়া নিয়ে দাবানলের মত গুজব ছড়ানো হচ্ছে। হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুকের মত মাধ্যম ব্যবহার করে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। মঙ্গলবার মালদহের দুর্গাবাড়ি এলাকার এক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। বাধ্য হয়ে ওই মহিলা তাঁর নিজের সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বিবৃতি দিয়ে জানান তিনি করোনায় আক্রান্ত নন। সম্প্রতি আন্দামান থেকে ফিরে তাঁর জ্বর সহ কিছু উপসর্গ দেখা দেয়। তিনি মেডিক্যাল কলেজে গিয়ে ডাক্তার দেখিয়ে চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী আপাতত নিজের বাড়িতেই কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন।
এদিকে লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পরে সোমবার সন্ধ্যা থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত মালদহের বিভিন্ন রাস্তা ও এলাকায় দেখা যায় বেশ কিছু মানুষকে। বারবার আবেদনের পরেও লোকজন বিনা কারণে রাস্তায় বেরনোয় বাধ্য হয়ে কড়া পদক্ষেপ করেন জেলা পুলিস ও প্রশাসনের কর্তারা। অভিযান চালিয়ে শুধু ইংলিশবাজার শহর থেকেই পুলিস চারজনকে আটক করে। পুলিস কিছু ক্ষেত্রে মৃদু লাঠিচার্জও করে। দুপুরের পর থেকে ময়দানে নামেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) অশোক মোদক ও সদর মহকুমা শাসক সুরেশ রানো। এদিন দুপুরের পর থেকে অবশ্য ইংলিশবাজার শহরের রাস্তাঘাট প্রায় ফাঁকা হয়ে যায়।