খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ
ইএম বাইপাসের উপর রাজ্যের শাসক দলের সদর দপ্তর তৃণমূল ভবন অবস্থিত। গত রবিবার জনতা কার্ফুর দিন থেকেই ভবনের স্বাভাবিক কাজকর্মে ছেদ পড়েছে। টোটাল লকডাউনের পর এখন তৃণমূল ভবন বাস্তবিক অর্থেই শুনসান চেহারা নিয়েছে। রাজ্য দপ্তরে নিয়মিত যাওয়া দলের অন্যতম নেতা তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় বুধবার বলেন, করোনার ভয়াবহতার কথা মাথায় রেখে আপাতত আমরা তৃণমূল ভবনে যাওয়া বন্ধ রেখেছি। দপ্তরের কর্মীদেরও এখন আসতে বারণ করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য দপ্তরের দৈনন্দিন কাজকর্ম বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছি আমরা। অন্যতম বিরোধী দল বিজেপি’র রাজ্য দপ্তরের ছবিটাও ঠিক এক। মুরলীধর সেন লেনের রাজ্য দপ্তরে শীর্ষ নেতারা এখন আসছেন না। তবে তাঁরা নিজেদের মধ্যে ফোনের মাধ্যমে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন।
লকডাউনের কবলে পড়ে বিজেপি-তৃণমূলের বিরোধী জোট বাম ও কংগ্রেস শিবিরের অবস্থাটাও থমকে গিয়েছে। রুটিন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি এখন রাজ্য দপ্তরগুলিও তাদের লোকজনহীন। আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে অবস্থিত সিপিএমের সদর দপ্তর মুজাফফর আহমেদ ভবনের প্রধান ফটক প্রায় বন্ধই থাকছে। বুধবার রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর রুটিন বৈঠকও হয়নি। রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র এদিন আলিমুদ্দিনে আসেননি সকালে। মঙ্গলবারও তিনি বেশ কয়েক ঘণ্টা কাটিয়ে গিয়েছিলেন রাজ্য দপ্তরে। মঙ্গলবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের পর তিনি বুধবারের বৈঠক বাতিল করার সিদ্ধান্ত জানান। তবে আলিমুদ্দিনের পার্টি অফিসই তাঁর ঘরবাড়ি বলে আশিতে পড়া বিমান বসু রাজ্য দপ্তরে এদিন যথারীতি ছিলেন। কিছুক্ষণের জন্য রাজ্য দপ্তরে আসা অনাদি সাহু, সুখেন্দু পানিগ্রাহিদের সঙ্গে গল্পগুজবও করেন। তবে পার্টি অফিসের অধিকাংশ সর্বক্ষণের কর্মী লকডাউনের কারণে আলিমুদ্দিন মাড়াননি। আরএসপি, সিপিআই এবং ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য দপ্তরগুলিও আপাতত তালাবন্ধের রাস্তাতেই হেঁটেছে। শীর্ষস্থানীয় নেতারা থেকেছেন যে যাঁর বাড়িতে।
প্রদেশ কংগ্রেসের সদর দপ্তর বিধান ভবনের ঝাঁপও এখন বন্ধ। দলের অন্যতম রাজ্য নেতা অমিতাভ চক্রবর্তীর কথায়, আমরা গোড়াতেই দপ্তরের কর্মীদের ছুটি দিয়েছি। তারপর টোটাল লকডাউন ঘোষণা হওয়ায় নেতারাও বাড়িতে থাকাই শ্রেয় মনে করছেন। প্রদেশ সভাপতি সোমেন মিত্র নিজেও বলেছেন, এবিষয়ে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের নির্দেশ মেনে চলতে হবে সকলকে।