নয়াদিল্লি, ২৫ মার্চ (পিটিআই): মারণ করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এমপি কোটার টাকা এককালীনভাবে ব্যবহার করতে পারবেন সাংসদরা। একাধিক সাংসদের আর্জিতে সাড়া দিয়ে নয়া আইনে এই অনুমতি দেওয়া হয়েছে। করোনা সংক্রমণ শনাক্ত করতে এবং এই রোগের প্রকোপের হাত থেকে রক্ষা পেতে স্থানীয় স্তরে মাস্ক, গ্লাভস, স্যানিটাইজার, থার্মাল স্ক্যানার, টেস্টিং কিট প্রভৃতি কেনার ক্ষেত্রে সাংসদরা স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে এই টাকা খরচ করতে পারবেন। সাধারণত স্থায়ী কোনও প্রকল্পের ক্ষেত্রেই এমপি কোটার টাকা ব্যবহার করা যায়। কিন্তু দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে এই টাকা করোনা মোকাবিলায় ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে রাজ্যসভায় সরব হন কংগ্রেসের মধ্যপ্রদেশের সাংসদ বিবেক তঙ্খা সহ অনেকে। মঙ্গলবার এসংক্রান্ত অনুমতি মেলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তঙ্খা। তিনি বলেন, ‘করোনার মোকাবিলায় আমাদের এই আবেদনে সাড়া দেওয়ার জন্য আমি প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। কারণ, এই লড়াই সকলের। দেশকে করোনা-মুক্ত করতে সবাইকে একজোট হয়ে, সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে লড়তে হবে।’ তিনি বলেন, ‘শুধু মাস্ক, স্যানিটাইজারই নয়, এমন অনেকে রয়েছেন, যাঁদের কাছে দু’বেলা খাবারের প্যাকেট পৌঁছে দেওয়া জরুরি। এই নির্দেশের পর এমপি কোটার টাকা তাঁদের প্রয়োজনে ব্যবহারের ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা থাকল না। এমপি কোটার টাকা এককালীন ব্যবহার করে হাসপাতাল, স্টেশন, বিমানবন্দর প্রভৃতি জায়গার জন্য টেস্টিং কিট, থার্মাল স্ক্যানার, মাস্ক, স্যানিটাইজার কেনা সম্ভব হবে। তাতে সংশ্লিষ্ট সকলেই উপকৃত হবেন।’ প্রত্যেক এমপি যদি নিজের নির্বাচনী এলাকা তথা রাজ্যের পাশে দাঁড়াতে পারেন, তাহলে আখেরে এই লড়াইয়ে দেশের হাতই শক্তিশালী হবে বলে মনে করছেন তঙ্খা।