খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, দেশের এরকম একটি বিপর্যয়ের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার বাধ্য হয়ে যেভাবে গোটা দেশ লকডাউন করেছে, তাতে অনেক মানুষই বিপদে পড়েছেন। আমরা যত রকমভাবে পারছি মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রের কাছে তিনি ১৫০০ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজও চেয়েছেন বলে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযোগ করেন, এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে সেরকম কিছুই পাওয়া যায়নি। এমনকী, করোনা পরীক্ষার কিট পর্যন্ত রাজ্যে এসে পৌঁছয়নি। তার মধ্যেই রাজ্য সরকার চেষ্টা করছে এই ভয়াবহ পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, হোম ডেলিভারির ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পাস ইস্যু করতে চলেছে রাজ্য সরকার। এই পাস নিয়ে গোটা রাজ্যের যেখানে খুশি যাওয়া যাবে। সংবাদপত্রের হকাররাও এই পাস পাবেন। তিনি আরও বলেন, সংবাদপত্র বিলিবণ্টনের ক্ষেত্রে তো কোনও বাধা নেই!
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বারবার বোঝানোর চেষ্টা করেন, বাড়িতে থাকতে হবে। করোনা মোকাবিলার এটাই একমাত্র উপায়। তবে তার মানে এই নয় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাবে। প্রতিদিনের রোজগারে যাঁদের দিন চলে, তাঁদের সম্পূর্ণভাবে বাড়িতে বসে থাকতে বাধ্য করা যায় না। সাতজন একসঙ্গে তাঁরা কাজ করবেন না। মমতা বলেন, যাঁরা মুটে-মজুর বা কৃষিকাজ করে কোনওরকমে দিন গুজরান করেন, তাঁদের একেবারেই বাধা দেওয়া যাবে না। তবে মাথায় রাখতে হবে যাতে সবাই একজায়গায় জটলা না বাঁধেন। পাশাপাশি আবাসনগুলিতে বয়স্ক মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর জন্যও সবার কাছে আবেদন করেছেন তিনি।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বোর্ডে ছবি এঁকে দেখিয়ে দিয়েছেন, দূরত্ব বজায় রেখে কীভাবে সকলে চলাফেরা করবেন। দেশে এই প্রথমবার ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট (ধারা ৫১ থেকে ৬০) চালু করা হয়েছে। যদিও এই ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে রাজ্য সরকারের কাছে কিছু জানতে চাওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
একইসঙ্গে তিনি এদিন জানিয়েছেন, করোনা মোকাবিলায় তৈরি হওয়া তহবিলে যে কেউ অর্থসাহায্য করতে পারেন। সেই সংক্রান্ত একটি অ্যাকাউন্ট নম্বরও দিয়েছেন তিনি (628005501339, আইএফএস কোড ICIC0006280)। ইতিমধ্যেই নবান্নে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। যার টোল ফ্রি নম্বর হল 1070। আর ল্যান্ড লাইন নম্বর, 033221435326। আগামী ৩১ মার্চ পর্যালোচনার পর লকডাউন শিথিল করার আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী।