Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

পাহাড়প্রমাণ চ্যালেঞ্জ, অস্ত্র নাগরিক সচেতনতা
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ডাঃ সুশীলা কাটারিয়া। জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যাঁদের জন্য পাঁচটা মিনিট সময় বের করার আর্জি জানিয়েছিলেন, ডাঃ কাটারিয়া তাঁদেরই মধ্যে একজন। গুরুগ্রামে একটি হাসপাতালের ইন্টারনাল মেডিসিনের ডিরেক্টর তিনি। বয়স ৪২ বছর। গত ৪ মার্চ যখন তাঁকে বলা হয়েছিল, আপনার দায়িত্বে ১৪ জন ইতালীয় পর্যটককে ভর্তি করা হচ্ছে, তখনও তিনি রোগের নাড়িনক্ষত্র ভালোভাবে জানেন না। করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের জন্য আইসোলেশন ওয়ার্ড কীভাবে হয়... এই রোগের অভিঘাতই বা কতটা... জানা নেই তাও! শুধু ডাঃ কাটারিয়া নন, হাসপাতালের কারওরই বিষয়টা নিয়ে অভিজ্ঞতা ছিল না। তাও যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে যাবতীয় ব্যবস্থা করেছিল তাঁর টিম। সন্ধ্যা ছ’টায় এসে পৌঁছেছিলেন সেই ইতালীয়রা। প্রত্যেকের বয়স ৬৫ বছরের বেশি। মাত্র দু’জন ইংরেজি বলতে পারেন। তাও ভাঙা ভাঙা। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার অবশ্য কোনও ভাষা হয় না। যে শব্দটা সবার আগে তাঁরা ভারতীয় চিকিৎসকদের বোঝাতে পেরেছিলেন, সেটি হল ‘ছোঁয়াচ’। কানেক্টিভিটি। সেই থেকে লড়াই চলছে ডাঃ কাটারিয়ার। বাড়িতে ১৬ বছরের ছেলে, আর ১৪ বছরের মেয়ে। দু’জনেরই ঘর সেদিন থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। গত ১৭ দিন একবারের জন্যও সেই দুই ঘরের দরজায় হাত দেননি ডাঃ কাটারিয়া। একসঙ্গে খাওয়াও বন্ধ। জানেন... এক মুহূর্তের ভুল তাঁর দুই সন্তানকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে পারে। তাই দরকার সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। দরকার হলে সবচেয়ে প্রিয় মানুষটার সঙ্গেও। করোনা ভাইরাস ঠেকানোর এটাই একমাত্র উপায়। নিমন্ত্রণ করে ঘরে ডেকে না আনলে এই ভাইরাস আসতেও চায় না। প্রধানমন্ত্রী সেটাই বোঝাতে চেয়েছেন ভারতবাসীকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাই বলে এসেছেন... গত বেশ কয়েকদিন ধরে। খুব দরকার না হলে বাড়ি থেকে দয়া করে বেরবেন না। নিছক একটা আবেদন... প্রত্যেক ভারতবাসী যা দিতেই পারেন। এর জন্য আলাদা করে টাকা খরচ হবে না। কিন্তু দেশের মানুষ কি এই আর্জিতে সাড়া দেবেন? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই একটা ট্রায়াল দিতে চেয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। জনতা কার্ফু। জবাব তিনি পেয়েও গিয়েছেন। পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত।
শুনশান রাস্তাঘাট, ট্রেন নেই, বাস কার্যত বন্ধ, অটোরিকশর দেখা নেই... গত রবিবারের দিনটা বাম জমানার বন্‌঩ধের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। তবে কর্মনাশা নয়, এই ‘কার্ফু’ বেঁচে থাকার তাগিদে। একে অপরের স্বার্থে। ভারত যে এই সংক্রমণের স্টেজ-২তে রয়েছে! এর পরের স্তর হল কমিউনিটি ট্রান্সমিশন। মানে, আমার থেকে আমার বন্ধু, আপনার থেকে আপনার সহকর্মীর মধ্যে ছড়িয়ে যাওয়া। আমার আপনার বাড়িতে যিনি পরিষেবা দেন, ভাইরাস যেতে পারে তাঁর শরীরেও। যা বালিগঞ্জ, অর্থাৎ পণ্ডিতিয়া রোডের সেই যুবকের বাড়িতে হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে দক্ষিণ দমদমের সেই প্রৌঢ়ের। ট্রেনযাত্রা যাঁর শরীরে ঢুকিয়ে দিয়েছিল মারণ ভাইরাস।
এখন লকডাউন না হলে বাসে কোনও আক্রান্ত সহযাত্রীর একটি হাঁচিতে এই অবস্থায় আক্রান্ত হতে পারতেন আরও দশ জন। আর লোকাল ট্রেন হলে সংখ্যাটা শতাধিক। আমরা সচেতন না হলে ১৩০ কোটির দেশে আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লক্ষে পৌঁছতে কিন্তু মাত্র কয়েক ঘণ্টা সময় লাগবে। আর তাই লকডাউন আবশ্যক। মাত্র ১৪ ঘণ্টার ‘জনতা কার্ফু’ কখনওই এর প্রতিষেধক নয়। হতে পারে না। সাম্প্রতিক বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি তথ্য বলছে, করোনা ভাইরাস বাতাসেও ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত সক্রিয় থাকতে পারে। এমনকী, প্লাস্টিক, স্টিল, গ্লাভস... সর্বত্র এ ওঁত পেতে বসে থাকবে। সুযোগের অপেক্ষায়। গুণোত্তর প্রগতির এই চেন ভাঙারই চ্যালেঞ্জ আজ দেশবাসীর কাছে। আপামর দেশবাসীর আজ একটাই প্রার্থনা হওয়া উচিত... ইতালি যে ভুল করেছে, তা আমরা করব না। নিজেদের স্বার্থে। সোমবার থেকে ট্রেন, মেট্রোরেল বন্ধ। দেশজুড়ে ৭৫টি জেলায় শাটডাউন। পশ্চিমবঙ্গ সরকার শুক্রবার পর্যন্ত লকডাউনের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। কেন্দ্রীয় সরকার বলছে ৩১ মার্চের কথা। এখন প্রশ্ন হল, ৩১ তারিখ কেন? কোন সমীক্ষা বা গবেষণা বলছে, এই ন’দিনে সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে? উত্তর জানা নেই। সবটাই আন্দাজে ঢিল ছোঁড়ার মতো। আশার উপর ভর করে মরিয়া চেষ্টা। অর্থবর্ষের অন্তিম লগ্নে এসেও।
ভারি সতর্কভাবে পা ফেলতে হচ্ছে সরকারকে। তা সে কেন্দ্র হোক বা রাজ্য। ‘ইয়ার এন্ডিং’ ভারতের অর্থনীতির ক্ষেত্রে এক বিষম বস্তু। ছোট ব্যবসার ক্ষেত্রে এই সময়টা যদি হাজারের গুণিতকে প্রভাব ফেলে, বড় সংস্থায় সেটাই পৌঁছে যায় কয়েক কোটিতে। রিলায়েন্স বা টাটার মতো সংস্থায় কয়েকশো কোটি টাকার লেনদেন হয় অর্থবর্ষের শেষে। এমনই এক মহীরূহ সংস্থার উচ্চপদস্থ আধিকারিকের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। স্পষ্ট বললেন, ‘গোটা দেশে এই মুহূর্তে ৫০টার মতো প্রজেক্টে আমার টিম কাজ করছে। আর পেমেন্ট বাকি সব মিলিয়ে প্রায় ৩০ শতাংশ। যা আমাকে ১ এপ্রিলের আগে তুলতেই হবে। কিন্তু যাকেই ফোন করছি, সে বলছে এখন হবে না। কেউ বলছে, আমাদের এখন ওয়ার্ক ফ্রম হোম চলছে... কী করে দেব! আর একজন বলছে, সব তো লকডাউন! লোক কোথায়? ব্যবসা কোথায়? এর উত্তর কী দেব আমি? আবার যার পেমেন্ট করার মতো ব্যবস্থা আছে, সে বলছে তুমি কাজ তুলতে পারছ না... টাকা দেব না। আমাকে সেটাও হজম করতে হচ্ছে। তাঁর যুক্তিও তো ফেলে দেওয়ার মতো নয়! যেখানে কাজ চলছিল, লকডাউনের জন্য সব বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ট্রেন বন্ধ। বাস নেই। যে লোকগুলো পেয়িং গেস্ট বা মেসে থেকে কাজ করছিল, তাদের বের করে দেওয়া হয়েছে। বলছে, নিজের রাজ্যে চলে যাও। সেটাও তারা করতে পারছে না। তাই হেড অফিসের নীচে এসে বসে আছে। এ তো আর একটা মাথাব্যথা! একবার এক মন্ত্রী ট্যুইট করলেন, সব বন্ধ। তারপর আবার জানালেন অত্যবশ্যকীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবায় ছাড় আছে। এসেনশিয়াল না হয় বুঝলাম। কিন্তু কোন পরিষেবা গুরুত্বপূর্ণ, আর কোনটা নয়... সেটা কে ঠিক করবে? তার কোনও ব্যাখ্যা কিন্তু নেই। লকডাউন করতেই হবে। জানি। তবে দেশ বাঁচবে। কিন্তু আমাদের জন্যও তো সরকারকে কিছু ভাবতে হবে? কোম্পানিগুলোর জন্য... আমাদের মতো করদাতাদের জন্য। আমরাও কিন্তু এই দেশেরই নাগরিক। ২ এপ্রিল যদি চাকরি না থাকে, খাব কী? কিছু কি ভাবছে সরকার?’
এর উত্তর সোমবার বিকেল পর্যন্ত মেলেনি। শোনা গিয়েছে, কিছু একটা প্যাকেজ নাকি কেন্দ্র ঘোষণা করতে চলেছে। কিন্তু অর্থবর্ষ? বছরের যাবতীয় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড গুটিয়ে ফেলার শেষ তারিখ ৩১ মার্চ। সরকার তো একবারও বলছে না যে, ১৫ এপ্রিল, বা ৫ মে পর্যন্ত সময় দেওয়া হল! কিংবা এই সময়ে কোম্পানিগুলি যে বিপুল আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, সমস্যা কেটে গেলে সেদিকে আমরা নজর দেব?
থাক, ব্যবসাপত্র না হয় ছেড়েই দিলাম। দেশজুড়ে যে মানুষগুলো করোনা মোকাবিলায় সরাসরি দিনরাত পরিশ্রম করে চলেছেন... সেই ডাক্তার, নার্স, সাফাইকর্মী, পুলিসকর্মী, সেনা, আধাসেনাদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার কি আলাদা করে কিছু ভেবেছেন? পশ্চিমবঙ্গে কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ‘সৈনিক’দের জন্য আলাদা ৫ লক্ষ টাকার বিমা ঘোষণা করেছেন। ভাবনাটাকে এই স্তরে নিয়ে যেতে হবে। শুধু মাইকের সামনে দাঁড়িয়ে বাণীবর্ষণ করলেই হবে না। যথাযথ পদক্ষেপ আজ সবচেয়ে জরুরি। এই মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামনে থেকে দাঁড়িয়ে যাঁরা নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাঁদের জন্য... আক্রান্তদের জন্য। আর হ্যাঁ, আর যাঁরা বাড়ির বাইরে না বেরিয়ে নিঃশব্দে এই মহামারীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন, ভাবতে হবে তাঁদের কথাও। চ্যালেঞ্জ প্রচুর। অস্ত্র একটাই... মানুষ। নাগরিক সচেতনতা।
আজ কিন্তু ‘ঘুসপেটিয়ো’ বাছাইয়ের সময় নয়! 
24th  March, 2020
মন্বন্তরে মরিনি আমরা, মারী নিয়ে ঘর করি
 সন্দীপন বিশ্বাস

পৃথিবীর গভীর গভীরতর অসুখ এখন। আর এই ‘অসুখ’ থেকে বারবার মানুষ লড়াই করে ফিরে এসেছে। প্রতিবার অস্তিত্বের সঙ্কটের মুখে দাঁড়িয়ে একযোগে লড়াই করে মানুষ এগিয়ে গিয়েছে উত্তরণের পথে। প্রকৃতির কোনও মারণ আক্রমণেই সে পিছিয়ে পড়েনি। তাই মানুষ বারবার ঋণী মানুষেরই কাছে।  
বিশদ

23rd  March, 2020
কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে লড়াই এবং তারপর
পি চিদম্বরম

আপনি এই লেখা যখন পড়ছেন, ততক্ষণে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) মোকাবিলায় ভারত এগতে পারল না কি পিছনে পড়ে গেল। সরকার ব্যস্ত ভিডিও কনফারেন্সে, আক্রান্ত দেশগুলি থেকে ভারতীয়দের দেশে ফিরিয়ে আনতে এবং করোনা থেকে বাঁচার জন্য নির্দেশিকা (হাত জীবাণুমুক্ত করা, নাক-মুখ ঢেকে রাখা এবং মাস্ক পরা) জারিতে।  
বিশদ

23rd  March, 2020
ভয় পাবেন না, গুজব ছড়াবেন না, জনতা কার্ফুতে ঘরে থাকুন, বিশ্বযুদ্ধে ভাইরাস পরাজিত হবেই
হিমাংশু সিংহ

 এক মারণ ভাইরাসের ভয়ঙ্কর সংক্রমণের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী মহাযুদ্ধ চলছে। এই যুদ্ধের একদিকে করোনা আর অন্যদিকে গোটা মানবজাতির অস্তিত্ব। প্রবীণ মানুষরা বহু স্মৃতি ঘেঁটেও এমন নজির মনে করতে পারছেন না যেখানে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া একটা রোগ ঘিরে এমন ত্রাস, আতঙ্ক দানা বেঁধেছে মানুষের মনে।
বিশদ

22nd  March, 2020
লড়াই
তন্ময় মল্লিক

 করোনা ভাইরাস। এই দু’টি শব্দই গোটা বিশ্বকে কাঁপিয়ে দিচ্ছে। করোনা আতঙ্কে থরহরি কম্প গোটা পৃথিবী। চীন, জার্মানি, ইতালি, আমেরিকা, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স সহ বিশ্বের প্রথম সারির দেশগুলিকে ক্ষতবিক্ষত করে করোনা এবার থাবা বসাতে শুরু করেছে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিতে।
বিশদ

21st  March, 2020
সময় এসেছে সিরিয়াস কিছু প্রশ্নের
সমৃদ্ধ দত্ত

তাহলে কিছুটা নিশ্চয়ই বোঝা গেল নিজের পাড়ায় দাঙ্গা এলে কী হবে? অতএব এটাও আশা করি আন্দাজ করা গেল যে, এনআরসি, সিএএ, এনপিআর, কংগ্রেস, বিজেপি, সিপিএম, হিন্দু মুসলমান সবই হল নেহাত সাধারণ টাইমপাস।  বিশদ

20th  March, 2020
যুদ্ধপরিস্থিতি
মেরুনীল দাশগুপ্ত

 এ সবকিছুর জন্য দায়ী ওই চীন, বুঝলেন। চীনেরাই ওই করোনা তৈরি করেছে। করে সামলাতে পারেনি। কোনওভাবে সেটা ফাঁক গলে বেরিয়ে পড়েছে। এখন নিজেরাও মরছে, আমাদেরও বিপদে ফেলে দিয়েছে। কাগজে পড়ছি ফ্রান্স, ইতালি, ইরান, ইরাক, আমেরিকা সব নাকি ওই ভাইরাসের দাপটে একেবারে নাজেহাল। বিশদ

19th  March, 2020
করোনায় আতঙ্কে অর্থনীতি
শান্তনু দত্তগুপ্ত

অমিতাভ রায় এখনও লন্ডনে। সঙ্গে স্ত্রী, আর সাড়ে পাঁচ বছরের ছেলে। নামজাদা তথ্য-প্রযুক্তি কোম্পানির কর্মী অমিতাভ। পেশার চাপে দেশে আগে দেশে ফিরতে পারেননি। এই দফায় আর হলও না...। একবুক আতঙ্ক নিয়ে বিদেশের মাটিতে কাটছে প্রত্যেকটা মুহূর্ত। কিন্তু সেটাও কতদিন! জানেন না তিনি। হাড়ে হাড়ে বুঝছেন, বাজারটা খালি হয়ে যাচ্ছে।
বিশদ

17th  March, 2020
একে একে শুখাইছে ফুল, নিবিছে দেউটি
সন্দীপন বিশ্বাস

কয়েকদিন আগে মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘মেঘনাদ বধ কাব্য’ আবার পড়ছিলাম। আমাদের আধুনিক মহাকাব্য। রেনেসাঁসের আলোয় নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে মাইকেল রামায়ণকে দেখেছিলেন। পড়তে পড়তে আমার দিব্যচক্ষু যেন খুলে গেল।   বিশদ

16th  March, 2020
ব্যাঙ্কিং নয়, বরং দস্যুবৃত্তি
পি চিদম্বরম

একটি ব্যাঙ্কের তহবিল গড়ে ওঠে কারেন্ট অ্যাকাউন্ট, সেভিংস অ্যাকাউন্ট এবং স্থায়ী আমানতে (ফিক্সড ডিপোজিট) অর্থ সংগ্রহের মাধ্যমে। এরপর তার উপর ব্যাঙ্ক সুদ দেয় । সংগৃহীত জমার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ‘রিজার্ভ’ হিসেবে রেখে দিতে হয়, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের শর্ত মেনে। 
বিশদ

16th  March, 2020
একের পর এক ব্যাঙ্ক বিপর্যয়ের দায়
মোদি সরকার এড়াতে পারে না
হিমাংশু সিংহ

একের পর এক ব্যাঙ্ক বিপর্যয়ের লম্বা তালিকায় নবতম সংযোজন ‘ইয়েস ব্যাঙ্ক’। এর আগে মহারাষ্ট্র বিধানসভা ভোটের ঠিক আগে লাটে উঠেছিল পাঞ্জাব ও মহারাষ্ট্র সমবায় ব্যাঙ্ক। তা নিয়ে উত্তেজনাও কম হয়নি। এরও আগে একাধিক দুর্বল লোকসানে চলা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সংযুক্তি নিয়েও কম প্রশ্ন ওঠেনি। মোদি জমানায় ব্যাঙ্ক-সংযুক্তির সবক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক হস্তক্ষেপ করতে হয় অনেক বিলম্ব করেছে কিংবা সব দেখেও কোনও এক রহস্যজনক কারণে না দেখার ভান করেছে। নিঃসন্দেহে রাজনৈতিক চাপও দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্কের উদাসীন থাকার আর একটা বড় কারণ।
বিশদ

15th  March, 2020
চীন, কমিউনিজম, জীবাণু ও সভ্যতার সঙ্কট
জিষ্ণু বসু

মানবসভ্যতার ইতিহাসে এক-একটি রোগ মহামারী হিসাবে এসেছে। পবিত্র বাইবেলের দ্বিতীয় অধ্যায় এক্সোডাস বা গণপ্রস্থান। এখানে মিশরের সভ্যতা, ফারাওয়ের সাম্রাজ্য মহামারীতে ধ্বংসের কথা আছে। ১৩৪৭ সাল থেকে ১৩৫১ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে ইউরোপের জনসংখ্যার অন্তত ৫০ শতাংশ মানুষের প্রাণ নিয়েছিল এক ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগ—প্লেগ।
বিশদ

14th  March, 2020
আর্থিক উদারীকরণনীতির বাস্তবায়নের জন্যই ভারতের অর্থনীতির বহর বিশ্বে এখন পঞ্চম
দেবনারায়ণ সরকার

 শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তাঁর ‘স্মৃতিকথা’য় লিখেছিলেন, ‘দীপের যে অংশটা শিখা হইয়া লোকের চোখে পড়ে, তাহার জ্বলার ব্যাপারে কেবল সেইটুকুই তাহার সমস্ত ইতিহাস নহে।’ ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে স্বনামধন্য মার্কিন ভিত্তিক স্বাধীন সংস্থা ‘ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ’ তার প্রকাশিত রিপোর্টে জানাল যে, ২০১৯ সালে ব্রিটেন ও ফ্রান্সকে পিছনে ফেলে ভারত পৃথিবীর মধ্যে সপ্তম থেকে পঞ্চম অর্থনৈতিকভাবে বৃহত্তম শক্তিশালী দেশ হিসেবে উঠে এসেছে। বিশদ

14th  March, 2020
একনজরে
 বিএনএ, বর্ধমান ও সংবাদদাতা: করোনার সংক্রমণ রুখতে সোমবার বিকেল ৫টা থেকে শুরু হয়েছে লকডাউন। বাজারে এবং মুদির দোকানে গিয়ে ভিড় এড়ানোর জন্য নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর। ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: করোনা ভাইরাসের জেরে দেশবাসী গৃহবন্দি। মঙ্গলবারই আরও ২১ দিনের জন্য গোটা দেশে লক ডাউন করে রাখার ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাই ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: লকডাউনের জেরে চরম সঙ্কটে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির গবেষণা। ক্যাম্পাস সম্পূর্ণ বন্ধ থাকার কারণে নষ্ট হয়েছে বেশ কিছু দামি রাসায়নিক পদার্থ। বেশ কিছু প্রাণী রয়েছে, যাদের ওপর গবেষণা করার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলেন অধ্যাপকরা, সেগুলিকে বাঁচিয়ে রাখা এখন চ্যালেঞ্জের মুখে। ...

ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে যেসব সংস্থার শেয়ার গতকাল লেনদেন হয়েছে শুধু সেগুলির বাজার বন্ধকালীন দরই নীচে দেওয়া হল। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮১৪: গিলেটিনের আবিষ্কর্তা জোসেফ ইগনেস গিলেটিনের মৃত্যু
১৮২৭: জার্মান সুরকার এবং পিয়ানো বাদক লুডউইগ ভ্যান বেইটোভেনের মৃত্যু
১৯৯৩: চিত্র পরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৭১: স্বাধীনতা ঘোষণা করল বাংলাদেশ, শুরু হল মুক্তিযুদ্ধ
১৯৭৪: চিপকো আন্দোলনের সূচনা
১৯৯৯: সুরকার আনন্দশঙ্করের মৃত্যু
২০০৬: রাজনীতিবিদ অনিল বিশ্বাসের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৫.১৯ টাকা ৭৬.৯১ টাকা
পাউন্ড ৮৬.৮১ টাকা ৮৯.৯৫ টাকা
ইউরো ৮০.৬৪ টাকা ৮৩.৬৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
25th  March, 2020
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪১,৮৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৯,৭৩০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪০,৩৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৮,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৮,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
22nd  March, 2020

দিন পঞ্জিকা

১১ চৈত্র ১৪২৬, ২৫ মার্চ ২০২০, বুধবার, (চৈত্র শুক্লপক্ষ) প্রতিপদ ২৯/২৯ অপঃ ৫/২৭। রেবতী অহোরাত্র সূ উ ৫/৩৯/৪১, অ ৫/৪৫/৪৫, অমৃতযোগ দিবা ৭/১৬ মধ্যে পুনঃ ১/৪১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৪২ গতে ১০/১৩ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৩ গতে ১/১৩ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪২ গতে ৪/১১ মধ্যে।
১১ চৈত্র ১৪২৬, ২৫ মার্চ ২০২০, বুধবার, প্রতিপদ ২৬/১০/২১ অপরাহ্ন ৪/৯/৪৯। রেবতী ৬০/০/০ অহোরাত্র সূ উ ৫/৪১/৪১, অ ৫/৪৫/৪৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/১২ মধ্যে ও ৯/৩২ গতে ১১/১২ মধ্যে ও ৩/২২ গতে ৫/১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৭ গতে ৮/৫৫ গতে ১০/২৭ মধ্যে। কালবেলা ৮/৪২/৪৩ গতে ১০/১৩/১৪ মধ্যে।
২৯ রজব

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ:খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৮১৪: গিলোর্টিনের আবিষ্কর্তা জোসেফ ইগনেস গিলেটিনের মৃত্যু১৮২৭: জার্মান সুরকার এবং ...বিশদ

07:03:20 PM

তামিলনাড়ুতে আরও ৩ জনের শরীরে মিলল করোনা ভাইরাস 

11:52:00 PM

আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে প্রথম করোনা আক্রান্তের খোঁজ 

09:02:11 PM

দেশে একদিনে ৮৮ জনের শরীরে মিলল করোনা ভাইরাস, মোট আক্রান্ত ৬৯৪: কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক

08:55:45 PM

কৃষ্ণনগরে করোনা আতঙ্কে আত্মহত্যা! 
হোম আইসোলেশনে থাকার নির্দেশ পাওয়ার পর গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী ...বিশদ

08:34:13 PM