Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

যুদ্ধপরিস্থিতি
মেরুনীল দাশগুপ্ত

এ সবকিছুর জন্য দায়ী ওই চীন, বুঝলেন। চীনেরাই ওই করোনা তৈরি করেছে। করে সামলাতে পারেনি। কোনওভাবে সেটা ফাঁক গলে বেরিয়ে পড়েছে। এখন নিজেরাও মরছে, আমাদেরও বিপদে ফেলে দিয়েছে। কাগজে পড়ছি ফ্রান্স, ইতালি, ইরান, ইরাক, আমেরিকা সব নাকি ওই ভাইরাসের দাপটে একেবারে নাজেহাল। শয়ে শয়ে লোক মরে যাচ্ছে। কাজকর্ম বন্ধ করে লোকজনকে ঘরবন্দি হয়ে থাকতে হচ্ছে! কী মারাত্মক কাণ্ড ভাবুন! তবে, আমেরিকা ছাড়বে না। বদলা একটা নেবেই। ওই কোন জ্যোতিষী বলেছে না বিশ সালে যুদ্ধ বাধবে। বিশ্বযুদ্ধ। পৃথিবী শেষ হয়ে যাবে। এখন তো মনে হচ্ছে পরিস্থিতি সেদিকেই এগচ্ছে! ঝাঁকড়া চুলে কাঁচি চালাতে চালাতে প্রায় এক নিঃশ্বাসে ক্ষোভ উগরে দিলেন উত্তর কলকাতার সেলুনকর্মী সুভাষদা। চীনের ওপর এখন তাঁর প্রবল রাগ। এ রাজ্যে এখনও করোনার প্রকোপ ঘটেনি তো কী—ব্যবসার তো সাড়ে তেরোটা। যে সেলুনে ভিড় সামলাতে চারজন হিমশিম খাই, সেখানে এখন দিনে ছ-দশটার বেশি লোকের দেখা মিলছে না! কী বুঝলেন? এমন চললে করোনা আসার আগেই আমাদের সংসারের দফারফা হয়ে যাবে। কিন্তু উপায়ও নেই—বলছে একবার ছড়াতে শুরু করলে নাকি বাঁচাই মুশকিল হবে! মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, কাশ্মীর, লাদাখ আরও কোথায় কোথায় এর মধ্যেই যথেষ্ট ছড়িয়েছে। কয়েকজন মরেওছে। কলকাতাতেও ঢুকে পড়েছে। তার ওপর বিজ্ঞানীরা বলছেন, আগামী দু’সপ্তাহ নাকি আমাদের জন্য ডেঞ্জার টাইম! কী হবে বলুন তো—এবার ক্ষোভ কেটে দুশ্চিন্তার ছায়া পড়ল প্রবীণ সুভাষচন্দ্রের মুখে।
বলতে কী, শেষপর্যন্ত কী হবে কেউ জানেন না। বুকে হাত দিয়ে কেউ বলতে পারছেন না, এ যাত্রায় করোনার প্রাণঘাতী দৌড় কোথায় গিয়ে থামবে। এই ভাইরাসের থাবায় স্পেনের তরুণ প্রতিভাবান ফুটবল কোচ ফ্রান্সিসকো গার্সিয়ার মতো আরও কত প্রাণ বলি হবে! কত ঘর-পরিবার হারাবে তাদের প্রিয়জন? কেউ জানেন না। কারণ, এখনও পর্যন্ত এই কালান্তক করোনার কোনও জুতসই প্রতিষেধক নেই গোটা পৃথিবীতে। শোনা যাচ্ছে বিজ্ঞানীরা নাকি একটা প্রতিষেধকের সন্ধান পেয়েছেন এবং সেই সন্ধানীদলে আছেন এক ভারতীয়ও। কিন্তু সে প্রতিষেধক এখনও চূড়ান্ত পরীক্ষিত নয়। আমেরিকার সিয়াটেলও মানবদেহের ওপর কোভিড-১৯ ভাইরাসের প্রতিষেধকের পরীক্ষা হয়েছে। ফল নাকি মন্দ নয়। অবশ্য এইসব অ্যান্টিডোট যদি বা পরীক্ষায় শেষ অবধি পাশও করে তবেও তা মহাজনী কারবারের স্রোত বেয়ে জনসাধারণের নাগালে আসতে বছর ঘুরে যাবে বলেই মনে করছেন তথ্যভিজ্ঞজন!
অতএব, আপাতত আমরা বিশ্বমানুষ বর্মহীন, শস্ত্রহীন নিধিরাম হয়েই করোনার আক্রমণের মুখে। প্লেগ, ম্যালেরিয়া, সার্স, ক্যান্সার, ইবোলা, টিবির মতো মারণরোগের মুখে একটা সময় অবধি আমরা যেমন অসহায় ছিলাম, তাদের নিষ্ঠুর আক্রমণে হারিয়েছি অজস্র প্রিয়জন-স্বজন-বান্ধব—আজ করোনার আগ্রাসনের মুখে ঠিক তেমনই অবস্থা আমাদের, তেমনই মর্মান্তিক। অথচ, আজ একুশ শতকীয় বিজ্ঞান আমাদের করায়ত্ত, চাঁদ-মঙ্গলে বসতির চিন্তা এখন আর রূপকথা বলে মনে হয় না, সর্বাধুনিক গবেষণাগার প্রগাঢ়মেধা বিজ্ঞানী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অত্যাধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম—সব আমাদের হাতে—অজস্র অঢেল। তবু, কী আশ্চর্য দেখুন এক অদৃশ্য আণুবীক্ষণিক শত্রুর আতঙ্কে আজ পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিধর রাষ্ট্রনেতা থেকে মহাপ্রভাবশালী মহাপণ্ডিত, হাজার হাজার কোটির শাহেনশা বাদশাহ থেকে হতদরিদ্র জীবনসম্বল—সকলে বিকলবিহ্বল বিপন্নতার শিকার! করোনার ভয়াবহতা, প্রাণঘাতী আক্রমণের মোকাবিলায় রাজনীতি, অর্থনীতি দম্ভ-দ্বেষ সব ভুলে এক সারিতে, একমত। সেলুনকর্মী সুভাষদার ভাবনা মতো চীন আমেরিকার যুদ্ধ লাগুক না লাগুক আমরা কিন্তু ইতিমধ্যেই এক অসম যুদ্ধে নেমে পড়েছি, পড়তে বাধ্য হয়েছি। এবং সে যুদ্ধপরিস্থিতি যে আজ রীতিমতো উদ্বেগজনক—তাতেই বা সন্দেহ কী?
এই উদ্বেগ এমন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে যে, পুণ্যভূমি দেবস্থান পর্যন্ত বন্ধ করে দিতে হয়েছে! বন্ধ হয়েছে বিনোদন কেন্দ্র, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান থেকে ইউরো কাপের মতো আনন্দযজ্ঞ। এমনকী আসন্ন টোকিও ওলিম্পিকের ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্নচিহ্ন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে! সৌজন্যে সেই করোনা! কেবল হাসপাতালে হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডগুলো এখন পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত দিনরাত সেবায় মগ্ন থেকে প্রমাণ করে চলেছে—ঈশ্বর বিশ্বাসীর এই পৃথিবীতেও ঈশ্বরের প্রতিনিধি ডাক্তারেরা ছাড়া এখন মানুষ জনতার আর কোনও পরিত্রাতা নেই। কৌশলী যুদ্ধবাজ করোনার সঙ্গে প্রাণ বিপন্ন করে আত্মজন ভুলে আসল লড়াইটা লড়ছেন তাঁরাই। এবং সে লড়াইয়ের ভয়াবহতা কত সেটা চীন, ইতালি, ফ্রান্স, ইরাক, ইরান, আমেরিকা, সিঙ্গাপুর সমেত গোটা বিশ্বের ভুক্তভোগী মাত্রেই এখন হাড়ে হাড়ে অনুভব করছেন। আমাদের দেশও তার ব্যতিক্রম নয়। এর মধ্যেই মহারাষ্ট্র, কর্ণাটকের মতো বেশ কিছু জায়গায় মারণ ভাইরাসের হামলার খবর মিলেছে। কর্ণাটকের কালবুর্গি জেলায় করোনার প্রথম বলি হয়েছেন এক বৃদ্ধ। তার চেয়েও বড় কথা, আমাদের কলকাতাতেও এসে পড়েছে কালান্তক করোনা-সেনা, তাদের আক্রমণে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে আপাতত বন্দি একজনা। আর সেই সংবাদনিহিত বিপদশঙ্কা
রক্তচাপ বাড়িয়ে দিচ্ছে মহানগরবাসীর। জেলা মফস্‌সল গ্রামগ্রামান্তের মানুষের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ছে দুশ্চিন্তা উদ্বেগ।
উদ্বেগের কারণ, বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আগামী দু’সপ্তাহ ভারতের পক্ষে অতীব বিপজ্জনক। এই সময়ের মধ্যে মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে করোনা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনার হামলা পরিসংখ্যান থেকেই এই আশঙ্কা উঠে এসেছে। দেখা যাচ্ছে, প্রথম দু’সপ্তাহ ধীরে চলো নীতি নিলেও পরবর্তী সপ্তাহগুলিতে বিদ্যুৎবেগে ছড়ায় এই ভাইরাস। একেবারে মহামারীর মতো। সে পরিসংখ্যান সংবাদপত্র এবং সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে এখন সকলের জানা, তাই পুনরুল্লেখের প্রয়োজন দেখি না। কিন্তু, যেটা আবিশ্ব মানুষকে ভাবাচ্ছে তা হল—এই সংক্রমণ রোধের উপযুক্ত প্রতিষেধকের অভাব। কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা ছাড়া আপাতত বিশ্বের মানুষের হাতে করোনা ঠেকাবার আর কোনও অস্ত্রও নেই।
ভারতের আর পাঁচটা রাজ্যের মতো এই পশ্চিমবঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) ও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের অ্যাডভাইসারি মেনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক মাসের জন্য স্কুল-কলেজ-অফিস-আদালত সমেত প্রায় সব কর্মস্থান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন, মানুষজনকে খুব প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় বেরতে বা হোটেল-রেস্তোরাঁ ক্লাব জমায়েতে যেতেও বারণ করেছেন। ১৮৯৭ সালের মহামারী আইনও লাগু করেছেন। সেই সঙ্গে বারবার হাত ধোয়া, মাস্ক ব্যবহার, মুখে-চোখে হাত না দেওয়ার মতো কিছু অবশ্যকর্তব্যের কথাও জানিয়েছেন। নিঃসন্দেহে সময়োচিত যথার্থ সিদ্ধান্ত। তার চেয়েও বড় কথা, দেখে স্বস্তি লাগছে যে, মমতার কট্টর বিরোধীরাও অন্তত এক্ষেত্রে তাঁর সঙ্গে রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে পাশে দাঁড়িয়েছেন। পুরভোট পিছনোর ব্যাপারেও তার অন্যথা হচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা তো ঠিকই বলেছেন, আগে মানুষের প্রাণ তারপর ভোট ইত্যাদি সবকিছু।
কিন্তু কথা হল—মানব বিশ্বকে এতো বড় বিপদের মুখে ঠেলে দিল কোন দুষ্টচক্র? কেউ কেউ বলছেন, টিবি ক্যান্সার কি সার্স ইবোলাতে এর চেয়ে অনেক বেশি সংখ্যায় মানুষের মৃত্যু ঘটে প্রতি বছর। সেই পরিসংখ্যানকে ঢাল করে করোনা বিপদকে খাটো করে দেখানোর চেষ্টাও চলছে! কিন্তু, প্রতিষেধক প্রতিপক্ষহীন করোনা যে এই মুহূর্তে পৃথিবীর মানুষের সামনে যমরাজের দোসর হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে তা অস্বীকার করবেন কে? বেশ কিছুদিন যাবৎ সোশ্যাল মিডিয়ায় জোর চর্চা চলছে এই মারণ ভাইরাসের উৎপত্তি ও বিস্তার নিয়ে। তাতে যে সব ‘থিওরি’ ঘুরেফিরে আসছে—তার মধ্যে অন্যতম হল জৈবঅস্ত্র তত্ত্ব। মার্কিন বিশেষজ্ঞের মন্তব্য সামনে রেখে বলা হচ্ছে, জৈবঅস্ত্র হিসেবে চীন উহানের গবেষণাগারে এই করোনা তৈরি করেছিল এবং সেটি কোনওভাবে লিক হয়ে যায় এবং সংক্রমণ ঘটায়। প্রথমে তারা সংক্রমণের ব্যাপারটা চেপে গিয়েছিল। আর পরবর্তীতে তাতেই যত বিপত্তি বিশ্বজুড়ে! চীন সঙ্গত কারণেই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তা নিয়ে দুই মহাদেশে ঠান্ডা লড়াইও জারি হয়ে গেছে।
তবে, মহাশক্তিধরদের এইসব বাদবিসংবাদে আমাদের কী কাম? আমরা ভাবছি, কাল কী হবে? আমাদের সরকার প্রতিরোধমূলক সব ব্যবস্থা নিয়েছেন, গত রবিবার তার জেরে দেখলাম মহানগরীর রাস্তাঘাট, শপিংমল, পার্ক স্ট্রিটের রেস্টুরেন্ট পাড়া বনধের কলকাতার মতো শুনশান, গাড়ি-ঘোড়া মানুষজনে জমজমাট সপ্তাহ শেষের ছুটির দিনের শহরটা যেন কোনও অজানা সন্ত্রাসের আশঙ্কায় দুয়ার এঁটে লুকিয়ে পড়েছে! নিত্যদিনের ট্রেনেও ভিড় নেই, বেশ কিছু মেল এক্সপ্রেস ট্রেন যাত্রীর অভাবে আপাতত বন্ধ! দোকান-বাজারেও সেই হুড়োহুড়ি হইহল্লা যেন অনেকটাই ঝিমিয়ে পড়েছে। কেবল সুভাষচন্দ্রদের মতো যাদের দিন আনি দিন খাই—রুটি-রুজির তাগিদ তাঁদের দেখা মিলছে পথে। তাঁদের চোখেমুখে কথায় আচরণে বিশ্বাস-অবিশ্বাসে মেশা সেই কী হয় কী হয় ভাবটাও নজর এড়ায় না। সর্বত্র একটাই শঙ্কা একটাই আলোচনা উড়ে বেড়াচ্ছে—করোনা! সব মিলিয়ে প্রকৃত অর্থেই যুদ্ধপরিস্থিতি। আর সঙ্গত কারণেই তাতে উদ্বেগের মাত্রাও ক্রমবর্ধমান। তবে আমাদের বিশ্বাস, মানুষের প্রবল মেধাশক্তি ও বিজ্ঞানচেতনার সঙ্গে লড়াইতে করোনা-সেনা শেষপর্যন্ত পরাস্ত হবে, হবেই। এবং সেটা নিছকই সময়ের অপেক্ষা। তাই নয় কি?
19th  March, 2020
পাহাড়প্রমাণ চ্যালেঞ্জ, অস্ত্র নাগরিক সচেতনতা
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ডাঃ সুশীলা কাটারিয়া। জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যাঁদের জন্য পাঁচটা মিনিট সময় বের করার আর্জি জানিয়েছিলেন, ডাঃ কাটারিয়া তাঁদেরই মধ্যে একজন। গুরুগ্রামে একটি হাসপাতালের ইন্টারনাল মেডিসিনের ডিরেক্টর তিনি। বয়স ৪২ বছর। গত ৪ মার্চ যখন তাঁকে বলা হয়েছিল, আপনার দায়িত্বে ১৪ জন ইতালীয় পর্যটককে ভর্তি করা হচ্ছে, তখনও তিনি রোগের নাড়িনক্ষত্র ভালোভাবে জানেন না। 
বিশদ

24th  March, 2020
মন্বন্তরে মরিনি আমরা, মারী নিয়ে ঘর করি
 সন্দীপন বিশ্বাস

পৃথিবীর গভীর গভীরতর অসুখ এখন। আর এই ‘অসুখ’ থেকে বারবার মানুষ লড়াই করে ফিরে এসেছে। প্রতিবার অস্তিত্বের সঙ্কটের মুখে দাঁড়িয়ে একযোগে লড়াই করে মানুষ এগিয়ে গিয়েছে উত্তরণের পথে। প্রকৃতির কোনও মারণ আক্রমণেই সে পিছিয়ে পড়েনি। তাই মানুষ বারবার ঋণী মানুষেরই কাছে।  
বিশদ

23rd  March, 2020
কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে লড়াই এবং তারপর
পি চিদম্বরম

আপনি এই লেখা যখন পড়ছেন, ততক্ষণে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) মোকাবিলায় ভারত এগতে পারল না কি পিছনে পড়ে গেল। সরকার ব্যস্ত ভিডিও কনফারেন্সে, আক্রান্ত দেশগুলি থেকে ভারতীয়দের দেশে ফিরিয়ে আনতে এবং করোনা থেকে বাঁচার জন্য নির্দেশিকা (হাত জীবাণুমুক্ত করা, নাক-মুখ ঢেকে রাখা এবং মাস্ক পরা) জারিতে।  
বিশদ

23rd  March, 2020
ভয় পাবেন না, গুজব ছড়াবেন না, জনতা কার্ফুতে ঘরে থাকুন, বিশ্বযুদ্ধে ভাইরাস পরাজিত হবেই
হিমাংশু সিংহ

 এক মারণ ভাইরাসের ভয়ঙ্কর সংক্রমণের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী মহাযুদ্ধ চলছে। এই যুদ্ধের একদিকে করোনা আর অন্যদিকে গোটা মানবজাতির অস্তিত্ব। প্রবীণ মানুষরা বহু স্মৃতি ঘেঁটেও এমন নজির মনে করতে পারছেন না যেখানে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া একটা রোগ ঘিরে এমন ত্রাস, আতঙ্ক দানা বেঁধেছে মানুষের মনে।
বিশদ

22nd  March, 2020
লড়াই
তন্ময় মল্লিক

 করোনা ভাইরাস। এই দু’টি শব্দই গোটা বিশ্বকে কাঁপিয়ে দিচ্ছে। করোনা আতঙ্কে থরহরি কম্প গোটা পৃথিবী। চীন, জার্মানি, ইতালি, আমেরিকা, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স সহ বিশ্বের প্রথম সারির দেশগুলিকে ক্ষতবিক্ষত করে করোনা এবার থাবা বসাতে শুরু করেছে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিতে।
বিশদ

21st  March, 2020
সময় এসেছে সিরিয়াস কিছু প্রশ্নের
সমৃদ্ধ দত্ত

তাহলে কিছুটা নিশ্চয়ই বোঝা গেল নিজের পাড়ায় দাঙ্গা এলে কী হবে? অতএব এটাও আশা করি আন্দাজ করা গেল যে, এনআরসি, সিএএ, এনপিআর, কংগ্রেস, বিজেপি, সিপিএম, হিন্দু মুসলমান সবই হল নেহাত সাধারণ টাইমপাস।  বিশদ

20th  March, 2020
করোনায় আতঙ্কে অর্থনীতি
শান্তনু দত্তগুপ্ত

অমিতাভ রায় এখনও লন্ডনে। সঙ্গে স্ত্রী, আর সাড়ে পাঁচ বছরের ছেলে। নামজাদা তথ্য-প্রযুক্তি কোম্পানির কর্মী অমিতাভ। পেশার চাপে দেশে আগে দেশে ফিরতে পারেননি। এই দফায় আর হলও না...। একবুক আতঙ্ক নিয়ে বিদেশের মাটিতে কাটছে প্রত্যেকটা মুহূর্ত। কিন্তু সেটাও কতদিন! জানেন না তিনি। হাড়ে হাড়ে বুঝছেন, বাজারটা খালি হয়ে যাচ্ছে।
বিশদ

17th  March, 2020
একে একে শুখাইছে ফুল, নিবিছে দেউটি
সন্দীপন বিশ্বাস

কয়েকদিন আগে মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘মেঘনাদ বধ কাব্য’ আবার পড়ছিলাম। আমাদের আধুনিক মহাকাব্য। রেনেসাঁসের আলোয় নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে মাইকেল রামায়ণকে দেখেছিলেন। পড়তে পড়তে আমার দিব্যচক্ষু যেন খুলে গেল।   বিশদ

16th  March, 2020
ব্যাঙ্কিং নয়, বরং দস্যুবৃত্তি
পি চিদম্বরম

একটি ব্যাঙ্কের তহবিল গড়ে ওঠে কারেন্ট অ্যাকাউন্ট, সেভিংস অ্যাকাউন্ট এবং স্থায়ী আমানতে (ফিক্সড ডিপোজিট) অর্থ সংগ্রহের মাধ্যমে। এরপর তার উপর ব্যাঙ্ক সুদ দেয় । সংগৃহীত জমার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ‘রিজার্ভ’ হিসেবে রেখে দিতে হয়, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের শর্ত মেনে। 
বিশদ

16th  March, 2020
একের পর এক ব্যাঙ্ক বিপর্যয়ের দায়
মোদি সরকার এড়াতে পারে না
হিমাংশু সিংহ

একের পর এক ব্যাঙ্ক বিপর্যয়ের লম্বা তালিকায় নবতম সংযোজন ‘ইয়েস ব্যাঙ্ক’। এর আগে মহারাষ্ট্র বিধানসভা ভোটের ঠিক আগে লাটে উঠেছিল পাঞ্জাব ও মহারাষ্ট্র সমবায় ব্যাঙ্ক। তা নিয়ে উত্তেজনাও কম হয়নি। এরও আগে একাধিক দুর্বল লোকসানে চলা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সংযুক্তি নিয়েও কম প্রশ্ন ওঠেনি। মোদি জমানায় ব্যাঙ্ক-সংযুক্তির সবক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক হস্তক্ষেপ করতে হয় অনেক বিলম্ব করেছে কিংবা সব দেখেও কোনও এক রহস্যজনক কারণে না দেখার ভান করেছে। নিঃসন্দেহে রাজনৈতিক চাপও দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্কের উদাসীন থাকার আর একটা বড় কারণ।
বিশদ

15th  March, 2020
চীন, কমিউনিজম, জীবাণু ও সভ্যতার সঙ্কট
জিষ্ণু বসু

মানবসভ্যতার ইতিহাসে এক-একটি রোগ মহামারী হিসাবে এসেছে। পবিত্র বাইবেলের দ্বিতীয় অধ্যায় এক্সোডাস বা গণপ্রস্থান। এখানে মিশরের সভ্যতা, ফারাওয়ের সাম্রাজ্য মহামারীতে ধ্বংসের কথা আছে। ১৩৪৭ সাল থেকে ১৩৫১ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে ইউরোপের জনসংখ্যার অন্তত ৫০ শতাংশ মানুষের প্রাণ নিয়েছিল এক ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগ—প্লেগ।
বিশদ

14th  March, 2020
আর্থিক উদারীকরণনীতির বাস্তবায়নের জন্যই ভারতের অর্থনীতির বহর বিশ্বে এখন পঞ্চম
দেবনারায়ণ সরকার

 শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তাঁর ‘স্মৃতিকথা’য় লিখেছিলেন, ‘দীপের যে অংশটা শিখা হইয়া লোকের চোখে পড়ে, তাহার জ্বলার ব্যাপারে কেবল সেইটুকুই তাহার সমস্ত ইতিহাস নহে।’ ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে স্বনামধন্য মার্কিন ভিত্তিক স্বাধীন সংস্থা ‘ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ’ তার প্রকাশিত রিপোর্টে জানাল যে, ২০১৯ সালে ব্রিটেন ও ফ্রান্সকে পিছনে ফেলে ভারত পৃথিবীর মধ্যে সপ্তম থেকে পঞ্চম অর্থনৈতিকভাবে বৃহত্তম শক্তিশালী দেশ হিসেবে উঠে এসেছে। বিশদ

14th  March, 2020
একনজরে
ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে যেসব সংস্থার শেয়ার গতকাল লেনদেন হয়েছে শুধু সেগুলির বাজার বন্ধকালীন দরই নীচে দেওয়া হল। ...

উন্নাও, ২৫ মার্চ: মাথা, মুখ তোয়ালে দিয়ে মোড়া। দেখা যাচ্ছে শুধু চোখ দু’টো। পিঠে একটা ব্যাগ। তাতে কিছু বিস্কুটের প্যাকেট আর জলের বোতল। এটুকু সম্বল করেই চড়া রোদে শুনশান রাজপথ ধরে হেঁটে চলেছে ওরা। ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: লকডাউনের জেরে চরম সঙ্কটে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির গবেষণা। ক্যাম্পাস সম্পূর্ণ বন্ধ থাকার কারণে নষ্ট হয়েছে বেশ কিছু দামি রাসায়নিক পদার্থ। বেশ কিছু প্রাণী রয়েছে, যাদের ওপর গবেষণা করার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলেন অধ্যাপকরা, সেগুলিকে বাঁচিয়ে রাখা এখন চ্যালেঞ্জের মুখে। ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রাজ্য সরকারি কর্মীরা প্রতিবারই মার্চ মাসের বেতন এপ্রিলে পান। এটাই হয়ে এসেছে। লকডাউন হওয়ার আগে বিভিন্ন সরকারি দপ্তর থেকে স্থায়ী ও চুক্তিভিত্তিতে নিযুক্ত কর্মীদের এপ্রিল মাসের বেতনের বিল পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮১৪: গিলেটিনের আবিষ্কর্তা জোসেফ ইগনেস গিলেটিনের মৃত্যু
১৮২৭: জার্মান সুরকার এবং পিয়ানো বাদক লুডউইগ ভ্যান বেইটোভেনের মৃত্যু
১৯৯৩: চিত্র পরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৭১: স্বাধীনতা ঘোষণা করল বাংলাদেশ, শুরু হল মুক্তিযুদ্ধ
১৯৭৪: চিপকো আন্দোলনের সূচনা
১৯৯৯: সুরকার আনন্দশঙ্করের মৃত্যু
২০০৬: রাজনীতিবিদ অনিল বিশ্বাসের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৫.১৯ টাকা ৭৬.৯১ টাকা
পাউন্ড ৮৬.৮১ টাকা ৮৯.৯৫ টাকা
ইউরো ৮০.৬৪ টাকা ৮৩.৬৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
25th  March, 2020
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪১,৮৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৯,৭৩০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪০,৩৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৮,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৮,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
22nd  March, 2020

দিন পঞ্জিকা

১১ চৈত্র ১৪২৬, ২৫ মার্চ ২০২০, বুধবার, (চৈত্র শুক্লপক্ষ) প্রতিপদ ২৯/২৯ অপঃ ৫/২৭। রেবতী অহোরাত্র সূ উ ৫/৩৯/৪১, অ ৫/৪৫/৪৫, অমৃতযোগ দিবা ৭/১৬ মধ্যে পুনঃ ১/৪১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৪২ গতে ১০/১৩ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৩ গতে ১/১৩ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪২ গতে ৪/১১ মধ্যে।
১১ চৈত্র ১৪২৬, ২৫ মার্চ ২০২০, বুধবার, প্রতিপদ ২৬/১০/২১ অপরাহ্ন ৪/৯/৪৯। রেবতী ৬০/০/০ অহোরাত্র সূ উ ৫/৪১/৪১, অ ৫/৪৫/৪৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/১২ মধ্যে ও ৯/৩২ গতে ১১/১২ মধ্যে ও ৩/২২ গতে ৫/১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৭ গতে ৮/৫৫ গতে ১০/২৭ মধ্যে। কালবেলা ৮/৪২/৪৩ গতে ১০/১৩/১৪ মধ্যে।
২৯ রজব

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ:খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৮১৪: গিলোর্টিনের আবিষ্কর্তা জোসেফ ইগনেস গিলেটিনের মৃত্যু১৮২৭: জার্মান সুরকার এবং ...বিশদ

07:03:20 PM

তামিলনাড়ুতে আরও ৩ জনের শরীরে মিলল করোনা ভাইরাস 

11:52:00 PM

আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে প্রথম করোনা আক্রান্তের খোঁজ 

09:02:11 PM

দেশে একদিনে ৮৮ জনের শরীরে মিলল করোনা ভাইরাস, মোট আক্রান্ত ৬৯৪: কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক

08:55:45 PM

কৃষ্ণনগরে করোনা আতঙ্কে আত্মহত্যা! 
হোম আইসোলেশনে থাকার নির্দেশ পাওয়ার পর গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী ...বিশদ

08:34:13 PM