Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

চীন, কমিউনিজম, জীবাণু ও সভ্যতার সঙ্কট
জিষ্ণু বসু

মানবসভ্যতার ইতিহাসে এক-একটি রোগ মহামারী হিসাবে এসেছে। পবিত্র বাইবেলের দ্বিতীয় অধ্যায় এক্সোডাস বা গণপ্রস্থান। এখানে মিশরের সভ্যতা, ফারাওয়ের সাম্রাজ্য মহামারীতে ধ্বংসের কথা আছে। ১৩৪৭ সাল থেকে ১৩৫১ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে ইউরোপের জনসংখ্যার অন্তত ৫০ শতাংশ মানুষের প্রাণ নিয়েছিল এক ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগ—প্লেগ।
পৃথিবীর ইতিহাসে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে প্রাণঘাতী রোগটি হল ‘স্মলপক্স’। বহু পুরনো এই ভাইরাস বা জীবাণু ঘটিত রোগ। খ্রিস্টপূর্ব ১১৫৭ সালে মৃত্যু হয় ফারাও পঞ্চম র‌্যামসিসের। তাঁর মমি করা দেহের মুখমণ্ডল, চিবুক, গলাসহ সর্বত্র স্মলপক্সের দাগ স্পষ্ট। স্মলপক্স গত শতাব্দীতে আনুমানিক ৩০ থেকে ৫০ কোটি মানুষের প্রাণ নিয়েছিল। ১৯৬৭ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’ পৃথিবী থেকে স্মলপক্সের বিদায়ের কথা ঘোষণা করে।
গত কয়েক মাসে বিশ্ববাসীকে আবার ভাবিয়ে তুলেছে ‘উহান করোনা ভাইরাস।’ কেউ কেউ আগ বাড়িয়ে বলছেন, এই রোগ বিশ্বের সামনে ভয়ানক বিপদ নিয়ে আসবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত প্রাপ্ত খবরে রোগটি এতটা সাংঘাতিক নয়। ৫১,৩৩৪টি ‘ক্লোজড কেসের’ মধ্যে ৪৮,২১৫ জন রোগমুক্ত হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছেন।
নোভেল করোনা ভাইরাসে এখনও পর্যন্ত মৃত্যুর হার ৩ শতাংশ। তাই প্রাথমিকভাবে বলা যায় যে অনেক কঠিন অসুখের থেকে এই করোনা ভাইরাস বা কোভিড-১৯ সহজ উপশমযোগ্য ব্যাধি। এর একমাত্র ভয়ের বিষয় হল এর উৎপত্তিস্থল চীন। গত ফেব্রুয়ারির ১৬-২৪ তারিখ পর্যন্ত হু এবং চীনের যৌথ মিশনের পক্ষ থেকে পরিস্থিতির পর্যালোচনা চলে। সেই রিপোর্টেও দুশ্চিন্তার কারণ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। চীন সরকার অবশ্য এ বিষয়ে ভাইরাল জেনোমিক্স, অ্যান্টি ভাইরাল গবেষণার পরেই গুরুত্ব দিয়েছে ‘ট্র্যাডিশনাল চাইনিজ মেডিসিনের’। চীনে বিরোধী দলও নেই আর লেফট লিবারাল সংবাদ মাধ্যমও নেই। তাই ‘ট্রাডিশনাল মেডিসিনে’ গোমূত্র দিচ্ছে বলে কেউ চিৎকার চেঁচামেচিও করবেন না। ভয়টা অন্য জায়গায়। চীনে সিদ্ধান্ত বিজ্ঞানভিত্তিক হবে না। কেবলমাত্র রাজনৈতিক এবং একনায়কতান্ত্রিক হবে। এই মিশনে চীন, জার্মানি, জাপান, কোরিয়া, নাইজেরিয়া, রাশিয়া, সিঙ্গাপুর এবং আমেরিকার সর্বমোট ২৫ জন প্রতিনিধি থাকলেও তাইওয়ানকে জোর করে বাদ দেওয়া হয়েছে। অথচ তাইওয়ান থেকে বছরে ৬০ হাজার বিমানযাত্রায় প্রায় ১ কোটি মানুষ চীনে যাতায়াত করেন প্রতি বছরে। তাইওয়ান করোনার বিরুদ্ধে লড়াইতে যোগ দিতে চেয়েছিল।
চীনের চাপেই হু তাইওয়ানকে ফিরিয়ে দিয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল সিভিল অ্যাভিয়েশন অর্গানাইজেশন (আইসিএও) চীনের বিরোধিতার জন্য তাইওয়ানকে জরুরি সতর্কবার্তা, তথ্যাদি পাঠায় না। অথচ তাইওয়ান বিশ্ববাণিজ্য, প্রযুক্তিনির্ভর ব্যবসার এক অন্যতম স্থান হয়ে উঠেছে গত কয়েক দশকে। তাই বিপদ বাড়ছে সারা পৃথিবীর। তাইওয়ানের উপর চীন বহুদিন ধরে অমানবিক অত্যাচার করেছে। ১৯৪৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারিতে তাইওয়ানে গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষদের উপর নেমে এসেছিল চরম নিপীড়ন। রেড আর্মি চীনের ক্ষমতা পাওয়ার পরে সেটাই ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাস। তাইওয়ানের লোকে তাকে ২২৮ (ফেব্রুয়ারি ২৮) বা শ্বেতসন্ত্রাস বলে ঘৃণার সঙ্গে স্মরণ করে। অদ্ভুত বিষয় হল গাজা ভূখণ্ডে ইজরায়েলের অত্যাচার নিয়ে এরাজ্যে পাতাজোড়া উত্তরসম্পাদকীয় লেখা হয় বা ‘কাশ্মীর মাঙ্গে আজাদি’ বলে হাতে গোনা দু’চারজনের বিক্ষোভও গুরুত্বসহকারে একশ্রেণীর কাগজ ছাপিয়ে চলেছে। কিন্তু তিব্বত বা তাইওয়ানের মানুষের উপর অবর্ণনীয় অত্যাচারের প্রায় কোনও বিবরণই বাংলার মানুষকে এঁরা জানান না। করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তাইপেয়ির সঙ্গে আরও একবার নিষ্ঠুরতম আচরণ করল চীন।
করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি চীনে হওয়ায় দুটি প্রধান সমস্যা হয়েছে। প্রথম সমস্যা হল, আধুনিক পৃথিবীর এটি এমন একটি জায়গা যেখানে স্বাধীন সংবাদমাধ্যমের কোনও স্থান নেই। ইন্টারনেট এবং বাইরের সংবাদমাধ্যম অর্থনৈতিক সংস্কারের পরে অল্পবিস্তর প্রবেশ করলেও আদতে তাদের হাত-পা বাঁধা। সরকারি সংস্থা সিনহুয়া, সিসিটিভি আর পিপলস ডেইলির অনুমতি ছাড়া কিছুই প্রকাশ পায় না। তাই করোনা রোগের গতিপ্রকৃতি, প্রকৃত সংখ্যা, বিপদের মাত্রা প্রায় কোনও কিছুই ঠিকঠাক প্রকাশিত হচ্ছে না। আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা আর ইউরোপের মহাকাশ সংস্থাগুলি এক অদ্ভুত সঙ্কেত দিয়েছে। চীনে বায়ুদূষণ আশ্চর্যভাবে কমে গিয়েছে। পরিবেশদূষণ পরিমাপ করে যেসব মহাকাশযান, তারা দেখিয়েছে যে চীনে নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড (NO2) উল্লেখযোগ্য ভাবে কমে গিয়েছে। সেটা শিল্পবাণিজ্য সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেলেই সম্ভব। সিনহুয়ার পরিবেশিত করোনা প্রকোপের সঙ্গে এই পর্যবেক্ষণ মেলে না। এই ঘটনা সোভিয়েত রাশিয়ার চেরনোবিলের ১৯৮৬ সালের পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুর্ঘটনার কথা মনে করিয়ে দেয়। সেদিনও কমিউনিস্ট রাশিয়া বহুদিন সত্যি কথাটি বলেনি। তেজস্ক্রিয়তা দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে অন্যদেশে যখন পৌঁছে গিয়েছে তখন জানা গেল রাশিয়ার ঘেরাটোপে কী ভয়ানক ঘটনা ঘটে গিয়েছে।
আজও পৃথিবীর মধ্যে যেক’টি দেশ সবচেয়ে বিপজ্জনক সেগুলি এমনই ‘তথাকথিত সমাজবাদী’ ঘেরাটোপের মধ্যে আছে। উত্তর কোরিয়া, চীন প্রভৃতি সবার ক্ষেত্রেই সমস্যাটা একইরকম। একবিংশ শতকে দাঁড়িয়েও সেখানে মধ্যযুগীয় গোপনতা। ‘তথাকথিত সমাজবাদী’ বলার একটা কারণ আছে। সমাজবাদের যেসব গালভরা কথা শুনে বাঙালি বড় হয়েছে গত অর্ধ শতাব্দীতে তার কোনও কিছুই প্রায় এই দেশগুলিতে নেই। সমাজবাদী চীনে পৃথিবীর সবথেকে বড় স্পেশাল ইকনোমিক জোন (এসইজেড), কোথায় ‘বিশ্বজুড়ে যৌথ খামার?’ বিশ্বের সবচেয়ে বড় পুঁজিপতিরা চীনের হুনান প্রদেশের এসইজেডে শ্রমিকদের শোষণ করছেন। ওয়ার্কার্স পার্টি অফ কোরিয়ার শাসনে আজকের উত্তর কোরিয়া। সাধারণ মানুষের জীবনের দাম একটি পিঁপড়ের থেকেও কম। সবচেয়ে বড় কথা, সেখানে গণতন্ত্রও নেই, তাই গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ সংবাদ মাধ্যমও নেই। ১৯১১ সালে রবীন্দ্রনাথ যে ‘অচলায়তন’-এর ছবি বর্ণনা করেছিলেন, ২০২০ সালে টিকে থাকা কমিউনিস্ট দুনিয়াতে হুবহু সেই চিত্র। ২০২০ সালে আধুনিক মানবসভ্যতার সেটাই অন্যতম বড় সঙ্কট।
দ্বিতীয় আশঙ্কা হল, উহান করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি নিয়ে। এটি আদৌ বাদুড়ের স্যুপ খেয়ে হল, নাকি মানুষই এটিকে তৈরি করে ছড়িয়েছে? ১৭৮৯ সালে সম্ভবত ইংরেজরা অস্ট্রেলিয়াতে স্মলপক্সের জীবাণু নিয়ে গিয়েছিল, সেদিন সিডনিতে ইংরেজ উপনিবেশকে সেখানকার সংখ্যাগরিষ্ঠ আদিবাসীদের প্রতিরোধ থেকে বাঁচানোর আর কোনও উপায় ছিল না। কিন্তু ঔপনিবেশিকতার যুগে যে জঘন্য কাজ করে হাত ধুয়ে ফেলা যেত, আজকের পৃথিবীতে তা কেবল উত্তর কোরিয়ার মতো জায়গাতেই সম্ভব।
শাসকের মর্জিমাফিক লক্ষ লক্ষ মানুষকে হত্যার ঘটনা কমিউনিস্ট শাসিত রাষ্ট্রে বহুবার ঘটেছে। কখনও পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে হয়েছে নিষ্ঠুরতম কাজ। ১৯৩২-৩৩ সালে ইউক্রেনে হলোডোমোর অভিযান করেছিলেন কমরেড স্তালিন। অভিযোগ, এই পরিকল্পিত খাদ্যাভাবে ইউক্রেনের ৩৫ লক্ষের কিছু বেশি মূল বাসিন্দা মারা যান। এই মূল অধিবাসীরাই স্তালিনের শাসনের বিরোধিতা করেছিলেন।
‘দ্য রাশিয়ান স্লিপ এক্সপেরিমেন্ট’ নিয়ে কয়েক বছর আগে সারা পৃথিবীর সংবাদ মাধ্যম তোলপাড় হয়েছিল। তথ্যচিত্র, ফিচার ফিল্ম, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন সবকিছুতে উঠে এসেছিল এটি। ১৯৪০ সালে সোভিয়েত রাশিয়ায় সামরিক নিয়ন্ত্রণে এক ভয়ানক বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা হয়েছিল বলে মনে করা হয়। পাঁচজন রাজনৈতিক বন্দিকে টানা ১৫ দিন গ্যাস চেম্বারে ঘুমোতে না দিয়ে নিরীক্ষণের কাজ করেছিলেন কিছু ডাক্তার ও বিজ্ঞানী। সোভিয়েত সামরিক নির্দেশে ১৫ দিনের পরেও এই পরীক্ষা চালাতে না চাওয়ার জন্য একজন ডাক্তার আত্মহত্যা করেন।
মানবসভ্যতার ইতিহাসের আরেক ক্ষতচিহ্ন হল কম্বোডিয়ায় কমিউনিস্ট শাসন। মূলত কমিউনিস্ট পার্টি অফ চায়না (সিপিসি) দলের সক্রিয় সহযোগিতায় গড়ে উঠেছিল ‘খমের রুশ।’ কম্বোডিয়ার অধিবাসীরা স্থানীয় ভাষায় কমিউনিস্ট পার্টি অফ কাম্পুচিয়াকে খমের রুশ বলত।
সেই জমানায় কম্বোডিয়াতে এমন পরিকল্পিত নরহত্যা ছিল রোজকার ঘটনা। ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৯ সালের মধ্যে এই কমিউনিস্ট শাসকরা আনুমানিক ১৫ থেকে ২০ লক্ষ মানুষের প্রাণ নিয়েছিলেন। যাদের বিনা বিচারে মারা হচ্ছে, তাদের সন্তানরা বড় হয়ে প্রতিশোধ নিতে পারে—এই আশঙ্কায় শিশুদের গাছে আছড়ে মারা হতো! সৈন্যরা হাসিমুখে বাচ্চাগুলিকে আছড়ে মারছে কি না তা দেখার জন্য লোক ছিল। আজও এই বধ্যভূমিতে ‘চ্যানকিরি ট্রি’ পর্যটকদের দেখানো হয়।
ভারতেও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। সিনহুয়ার তথ্য যদি সঠিক হয় তবে রোগটি অতি ভয়ানক কিছু নয়। সঠিক সময়ে রোগ নির্ণয় ও আধুনিক চিকিৎসায় এ রোগের নিরাময় সম্ভব। তাই অর্ধসত্য বা মনগড়া গুজব না ছড়িয়ে সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে এই আগত সমস্যার মোকাবিলা করতে হবে।
ভারতের মতো দেশে সুবিধা অনেক। এটি পৃথিবীর বৃহত্তম গণতন্ত্র। সংবাদমাধ্যমের গতি অবাধ ও
স্বাধীন। তাই কোন রাজ্যে ঠিক কতজন আক্রান্ত মানুষ আছেন, তাঁদের চিকিৎসার ফলাফল কী, কোনও কিছুই গোপন নয়।
মানুষের কল্যাণের জন্য ভারতের ভাবনাটাও মৌলিকভাবে পৃথক। এদেশের তপোবনে উচ্চারিত হয়েছিল—‘সর্বে ভবন্তু সুখিনঃ/ সর্বে সন্তু নিরাময়া। সর্বে ভদ্রানি পশ্যন্তু/ মা কশ্চিৎ দুঃখ ভাগভবেৎ।।’ সকলে সুখে থাকুক, সবাই সুস্থ থাকুক, সবার উন্নতি হোক, কাউকেই যেন দুঃখ ভোগ করতে না হয়।
ভারতের পরম্পরায় এই সকলে মানে পৃথিবীর সমগ্র মানবসমাজ। সকল ভারতবাসী, সকল চীনবাসী, ইউরোপবাসী, আমেরিকাবাসী, আরব দেশবাসী, ইজরায়েলবাসী—সক্কলে—পৃথিবীর সব ধর্মমতের, সব পন্থ সম্প্রদায়ের মানুষ। ধনী, দরিদ্র, শ্বেতাঙ্গ বা কৃষ্ণাঙ্গ সবাই এই ভাবনাতে কেউ ‘শ্রেণীশত্রু’ নেই, কোনও ‘নেটিভ’ নেই, কোনও ‘অবিশ্বাসী’ নেই, কোনও ‘পাপী’ নেই। সমগ্র বিশ্ববাসী সুখে থাকুক, নীরোগ থাকুক। এই এক লক্ষ্যে বিজ্ঞান, সাহিত্য, দর্শন, ধর্ম তাদের কাজ করবে, বিকশিত হবে। কবিগুরুর ভাষায় বললে, ‘সেই হোক তোমার সভ্যতার শেষ পুণ্যবাণী।’
 লেখক কলকাতায় সাহা ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্স-এ কর্মরত (মতামত ব্যক্তিগত)
14th  March, 2020
পাহাড়প্রমাণ চ্যালেঞ্জ, অস্ত্র নাগরিক সচেতনতা
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ডাঃ সুশীলা কাটারিয়া। জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যাঁদের জন্য পাঁচটা মিনিট সময় বের করার আর্জি জানিয়েছিলেন, ডাঃ কাটারিয়া তাঁদেরই মধ্যে একজন। গুরুগ্রামে একটি হাসপাতালের ইন্টারনাল মেডিসিনের ডিরেক্টর তিনি। বয়স ৪২ বছর। গত ৪ মার্চ যখন তাঁকে বলা হয়েছিল, আপনার দায়িত্বে ১৪ জন ইতালীয় পর্যটককে ভর্তি করা হচ্ছে, তখনও তিনি রোগের নাড়িনক্ষত্র ভালোভাবে জানেন না। 
বিশদ

24th  March, 2020
মন্বন্তরে মরিনি আমরা, মারী নিয়ে ঘর করি
 সন্দীপন বিশ্বাস

পৃথিবীর গভীর গভীরতর অসুখ এখন। আর এই ‘অসুখ’ থেকে বারবার মানুষ লড়াই করে ফিরে এসেছে। প্রতিবার অস্তিত্বের সঙ্কটের মুখে দাঁড়িয়ে একযোগে লড়াই করে মানুষ এগিয়ে গিয়েছে উত্তরণের পথে। প্রকৃতির কোনও মারণ আক্রমণেই সে পিছিয়ে পড়েনি। তাই মানুষ বারবার ঋণী মানুষেরই কাছে।  
বিশদ

23rd  March, 2020
কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে লড়াই এবং তারপর
পি চিদম্বরম

আপনি এই লেখা যখন পড়ছেন, ততক্ষণে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) মোকাবিলায় ভারত এগতে পারল না কি পিছনে পড়ে গেল। সরকার ব্যস্ত ভিডিও কনফারেন্সে, আক্রান্ত দেশগুলি থেকে ভারতীয়দের দেশে ফিরিয়ে আনতে এবং করোনা থেকে বাঁচার জন্য নির্দেশিকা (হাত জীবাণুমুক্ত করা, নাক-মুখ ঢেকে রাখা এবং মাস্ক পরা) জারিতে।  
বিশদ

23rd  March, 2020
ভয় পাবেন না, গুজব ছড়াবেন না, জনতা কার্ফুতে ঘরে থাকুন, বিশ্বযুদ্ধে ভাইরাস পরাজিত হবেই
হিমাংশু সিংহ

 এক মারণ ভাইরাসের ভয়ঙ্কর সংক্রমণের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী মহাযুদ্ধ চলছে। এই যুদ্ধের একদিকে করোনা আর অন্যদিকে গোটা মানবজাতির অস্তিত্ব। প্রবীণ মানুষরা বহু স্মৃতি ঘেঁটেও এমন নজির মনে করতে পারছেন না যেখানে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া একটা রোগ ঘিরে এমন ত্রাস, আতঙ্ক দানা বেঁধেছে মানুষের মনে।
বিশদ

22nd  March, 2020
লড়াই
তন্ময় মল্লিক

 করোনা ভাইরাস। এই দু’টি শব্দই গোটা বিশ্বকে কাঁপিয়ে দিচ্ছে। করোনা আতঙ্কে থরহরি কম্প গোটা পৃথিবী। চীন, জার্মানি, ইতালি, আমেরিকা, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স সহ বিশ্বের প্রথম সারির দেশগুলিকে ক্ষতবিক্ষত করে করোনা এবার থাবা বসাতে শুরু করেছে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিতে।
বিশদ

21st  March, 2020
সময় এসেছে সিরিয়াস কিছু প্রশ্নের
সমৃদ্ধ দত্ত

তাহলে কিছুটা নিশ্চয়ই বোঝা গেল নিজের পাড়ায় দাঙ্গা এলে কী হবে? অতএব এটাও আশা করি আন্দাজ করা গেল যে, এনআরসি, সিএএ, এনপিআর, কংগ্রেস, বিজেপি, সিপিএম, হিন্দু মুসলমান সবই হল নেহাত সাধারণ টাইমপাস।  বিশদ

20th  March, 2020
যুদ্ধপরিস্থিতি
মেরুনীল দাশগুপ্ত

 এ সবকিছুর জন্য দায়ী ওই চীন, বুঝলেন। চীনেরাই ওই করোনা তৈরি করেছে। করে সামলাতে পারেনি। কোনওভাবে সেটা ফাঁক গলে বেরিয়ে পড়েছে। এখন নিজেরাও মরছে, আমাদেরও বিপদে ফেলে দিয়েছে। কাগজে পড়ছি ফ্রান্স, ইতালি, ইরান, ইরাক, আমেরিকা সব নাকি ওই ভাইরাসের দাপটে একেবারে নাজেহাল। বিশদ

19th  March, 2020
করোনায় আতঙ্কে অর্থনীতি
শান্তনু দত্তগুপ্ত

অমিতাভ রায় এখনও লন্ডনে। সঙ্গে স্ত্রী, আর সাড়ে পাঁচ বছরের ছেলে। নামজাদা তথ্য-প্রযুক্তি কোম্পানির কর্মী অমিতাভ। পেশার চাপে দেশে আগে দেশে ফিরতে পারেননি। এই দফায় আর হলও না...। একবুক আতঙ্ক নিয়ে বিদেশের মাটিতে কাটছে প্রত্যেকটা মুহূর্ত। কিন্তু সেটাও কতদিন! জানেন না তিনি। হাড়ে হাড়ে বুঝছেন, বাজারটা খালি হয়ে যাচ্ছে।
বিশদ

17th  March, 2020
একে একে শুখাইছে ফুল, নিবিছে দেউটি
সন্দীপন বিশ্বাস

কয়েকদিন আগে মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘মেঘনাদ বধ কাব্য’ আবার পড়ছিলাম। আমাদের আধুনিক মহাকাব্য। রেনেসাঁসের আলোয় নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে মাইকেল রামায়ণকে দেখেছিলেন। পড়তে পড়তে আমার দিব্যচক্ষু যেন খুলে গেল।   বিশদ

16th  March, 2020
ব্যাঙ্কিং নয়, বরং দস্যুবৃত্তি
পি চিদম্বরম

একটি ব্যাঙ্কের তহবিল গড়ে ওঠে কারেন্ট অ্যাকাউন্ট, সেভিংস অ্যাকাউন্ট এবং স্থায়ী আমানতে (ফিক্সড ডিপোজিট) অর্থ সংগ্রহের মাধ্যমে। এরপর তার উপর ব্যাঙ্ক সুদ দেয় । সংগৃহীত জমার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ‘রিজার্ভ’ হিসেবে রেখে দিতে হয়, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের শর্ত মেনে। 
বিশদ

16th  March, 2020
একের পর এক ব্যাঙ্ক বিপর্যয়ের দায়
মোদি সরকার এড়াতে পারে না
হিমাংশু সিংহ

একের পর এক ব্যাঙ্ক বিপর্যয়ের লম্বা তালিকায় নবতম সংযোজন ‘ইয়েস ব্যাঙ্ক’। এর আগে মহারাষ্ট্র বিধানসভা ভোটের ঠিক আগে লাটে উঠেছিল পাঞ্জাব ও মহারাষ্ট্র সমবায় ব্যাঙ্ক। তা নিয়ে উত্তেজনাও কম হয়নি। এরও আগে একাধিক দুর্বল লোকসানে চলা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সংযুক্তি নিয়েও কম প্রশ্ন ওঠেনি। মোদি জমানায় ব্যাঙ্ক-সংযুক্তির সবক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক হস্তক্ষেপ করতে হয় অনেক বিলম্ব করেছে কিংবা সব দেখেও কোনও এক রহস্যজনক কারণে না দেখার ভান করেছে। নিঃসন্দেহে রাজনৈতিক চাপও দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্কের উদাসীন থাকার আর একটা বড় কারণ।
বিশদ

15th  March, 2020
আর্থিক উদারীকরণনীতির বাস্তবায়নের জন্যই ভারতের অর্থনীতির বহর বিশ্বে এখন পঞ্চম
দেবনারায়ণ সরকার

 শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তাঁর ‘স্মৃতিকথা’য় লিখেছিলেন, ‘দীপের যে অংশটা শিখা হইয়া লোকের চোখে পড়ে, তাহার জ্বলার ব্যাপারে কেবল সেইটুকুই তাহার সমস্ত ইতিহাস নহে।’ ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে স্বনামধন্য মার্কিন ভিত্তিক স্বাধীন সংস্থা ‘ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ’ তার প্রকাশিত রিপোর্টে জানাল যে, ২০১৯ সালে ব্রিটেন ও ফ্রান্সকে পিছনে ফেলে ভারত পৃথিবীর মধ্যে সপ্তম থেকে পঞ্চম অর্থনৈতিকভাবে বৃহত্তম শক্তিশালী দেশ হিসেবে উঠে এসেছে। বিশদ

14th  March, 2020
একনজরে
উন্নাও, ২৫ মার্চ: মাথা, মুখ তোয়ালে দিয়ে মোড়া। দেখা যাচ্ছে শুধু চোখ দু’টো। পিঠে একটা ব্যাগ। তাতে কিছু বিস্কুটের প্যাকেট আর জলের বোতল। এটুকু সম্বল করেই চড়া রোদে শুনশান রাজপথ ধরে হেঁটে চলেছে ওরা। ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রাজ্য সরকারি কর্মীরা প্রতিবারই মার্চ মাসের বেতন এপ্রিলে পান। এটাই হয়ে এসেছে। লকডাউন হওয়ার আগে বিভিন্ন সরকারি দপ্তর থেকে স্থায়ী ও চুক্তিভিত্তিতে নিযুক্ত কর্মীদের এপ্রিল মাসের বেতনের বিল পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: করোনা ভাইরাসের জেরে দেশবাসী গৃহবন্দি। মঙ্গলবারই আরও ২১ দিনের জন্য গোটা দেশে লক ডাউন করে রাখার ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাই ...

 বিএনএ, বর্ধমান ও সংবাদদাতা: করোনার সংক্রমণ রুখতে সোমবার বিকেল ৫টা থেকে শুরু হয়েছে লকডাউন। বাজারে এবং মুদির দোকানে গিয়ে ভিড় এড়ানোর জন্য নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮১৪: গিলেটিনের আবিষ্কর্তা জোসেফ ইগনেস গিলেটিনের মৃত্যু
১৮২৭: জার্মান সুরকার এবং পিয়ানো বাদক লুডউইগ ভ্যান বেইটোভেনের মৃত্যু
১৯৯৩: চিত্র পরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৭১: স্বাধীনতা ঘোষণা করল বাংলাদেশ, শুরু হল মুক্তিযুদ্ধ
১৯৭৪: চিপকো আন্দোলনের সূচনা
১৯৯৯: সুরকার আনন্দশঙ্করের মৃত্যু
২০০৬: রাজনীতিবিদ অনিল বিশ্বাসের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৫.১৯ টাকা ৭৬.৯১ টাকা
পাউন্ড ৮৬.৮১ টাকা ৮৯.৯৫ টাকা
ইউরো ৮০.৬৪ টাকা ৮৩.৬৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
25th  March, 2020
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪১,৮৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৯,৭৩০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪০,৩৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৮,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৮,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
22nd  March, 2020

দিন পঞ্জিকা

১১ চৈত্র ১৪২৬, ২৫ মার্চ ২০২০, বুধবার, (চৈত্র শুক্লপক্ষ) প্রতিপদ ২৯/২৯ অপঃ ৫/২৭। রেবতী অহোরাত্র সূ উ ৫/৩৯/৪১, অ ৫/৪৫/৪৫, অমৃতযোগ দিবা ৭/১৬ মধ্যে পুনঃ ১/৪১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৪২ গতে ১০/১৩ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৩ গতে ১/১৩ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪২ গতে ৪/১১ মধ্যে।
১১ চৈত্র ১৪২৬, ২৫ মার্চ ২০২০, বুধবার, প্রতিপদ ২৬/১০/২১ অপরাহ্ন ৪/৯/৪৯। রেবতী ৬০/০/০ অহোরাত্র সূ উ ৫/৪১/৪১, অ ৫/৪৫/৪৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/১২ মধ্যে ও ৯/৩২ গতে ১১/১২ মধ্যে ও ৩/২২ গতে ৫/১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৭ গতে ৮/৫৫ গতে ১০/২৭ মধ্যে। কালবেলা ৮/৪২/৪৩ গতে ১০/১৩/১৪ মধ্যে।
২৯ রজব

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ:খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৮১৪: গিলোর্টিনের আবিষ্কর্তা জোসেফ ইগনেস গিলেটিনের মৃত্যু১৮২৭: জার্মান সুরকার এবং ...বিশদ

07:03:20 PM

তামিলনাড়ুতে আরও ৩ জনের শরীরে মিলল করোনা ভাইরাস 

11:52:00 PM

আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে প্রথম করোনা আক্রান্তের খোঁজ 

09:02:11 PM

দেশে একদিনে ৮৮ জনের শরীরে মিলল করোনা ভাইরাস, মোট আক্রান্ত ৬৯৪: কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক

08:55:45 PM

কৃষ্ণনগরে করোনা আতঙ্কে আত্মহত্যা! 
হোম আইসোলেশনে থাকার নির্দেশ পাওয়ার পর গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী ...বিশদ

08:34:13 PM