নয়াদিল্লি, ২৫ মার্চ: লকডাউন চলছে সারা দেশে। যদিও ছাড় পেয়েছে মুদি, ওষুধ এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার। আর তা নিয়েই উদ্বেগ বাড়ছে পুলিস-প্রশাসনের। লকডাউনের পাশাপাশি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে সোশ্যাল ডিসট্যান্স অর্থাৎ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু কে শোনে কার কথা! কার্ফু বা লকডাউনের জেরে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী সংগ্রহের হিড়িক পড়েছে গোটা দেশে। সকাল হতেই থলে হাতে ক্রেতারা ভিড় করছেন মুদির দোকান বা বাজারে। ফলে একজনের সঙ্গে অন্যজনের দেড় মিটারের দূরত্ব রাখার সরকারি আবেদন মানছেন না কেউ। বারংবার ঘোষণা সত্ত্বেও কোনও কাজ হয়নি। এই সমস্যার সমাধানে অভিনব উপায় বের করল গুজরাত, পাঞ্জাব এবং পুদুচেরি। ওই রাজ্যের বিভিন্ন দোকানের ছবি বর্তমানে সোশ্যাল সাইটে ভাইরাল। সম্পূর্ণ লকডাউনের জন্য রাস্তাঘাট ফাঁকা। শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকান খোলা। আর সেই সব দোকানের সামনে রাস্তায় সাদা চুন দিয়ে আঁকা বৃত্তের (সেফটি সার্কেল) মধ্যে শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে ধৈর্য ধরে ক্রেতারা দাঁড়িয়ে। একজন মালপত্র কিনে চলে গেলে অন্যজন এগিয়ে যাচ্ছেন।
এই ব্যবস্থার ফলে ক্রেতাদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকছে। করোনার মতো মারণ ভাইরাসের দ্বারা সংক্রমিত হওয়ার ভয় থাকছে না। পুদুচেরির লেফটেন্যান্ট গভর্নর কিরণ বেদি একটি দুধের দোকানের ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘মিল্ক বুথের সামনে সামাজিক দূরত্ব।’ ছবিতে দেখা যাচ্ছে, পাঁচজন ক্রেতা নির্দিষ্ট বৃত্তের মধ্যে পরপর দাঁড়িয়ে। গুজরাতের পাটান জেলার একটি ছবিও তিনি সোশ্যাল সাইটে শেয়ার করেছেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে একই পদক্ষেপ করেছে পাঞ্জাব সরকারও। ট্যুইটারে পাঞ্জাবের বিভিন্ন দোকানের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাই করোনা ভাইরাসের মোকাবিলার একমাত্র পথ। পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যেও দূরত্ব বজায় রাখার আহ্বান করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু বাজার-দোকান বা ব্যাঙ্ক— এখন প্রধান সমস্যা। সেইসব জায়গায় এখন লক্ষ্মণরেখা আঁকা হচ্ছে।