খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ
মঙ্গলবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর ওই ঘোষণার পর খাবার মজুতের হিড়িক পড়েছে বিভিন্ন এলাকায়। এমনকী ওষুধের দোকানেও গাদাগাদি ভিড়। সব্জি কিনতে বাজারগুলিতে সকাল-সন্ধ্যায় ভালোই ভিড় হয়েছে। এক মিটারের ন্যূনতম দূরত্ব কেউই মানছেন না। বলা হচ্ছে, খুব প্রয়োজনে বেরতে বলেও ওই দূরত্ব মেনে চলতে। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই সেই য়িমের তোয়াক্কা করছেন না। এমনকী বিনা কারণে ঘোরাঘুরিও করছেন। ফলে বিপদের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
কলকাতা পুলিসের কমিশনার অনুজ শর্মা ট্যুইটে বলেছেন, দয়া করে ঘরে থাকুন, নিরাপদে থাকুন। তবে তিনি থানাগুলিকে নির্দেশ দিয়েছেন, প্রতিটি ক্ষেত্রে কড়া পদক্ষেপ নিতে। সূত্রের খবর, এদিন রাজ্য পুলিসকে কঠোর পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছে নবান্নও। স্বরাষ্ট্র দপ্তরের তরফে রাজ্যের সবক’টি থানা এবং জেলার পুলিস সুপারদের বলা হয়েছে, কেউ কোথাও জমায়েত করলে কঠোর পদক্ষেপ করতে হবে। জমায়েত বরদাস্ত করা যাবে না।
এদিন দেখা যায়, শহরের বিভিন্ন বড় বড় মুদির দোকানে যাঁরা জিনিসপত্র কিনতে এসেছেন, তাঁদের মধ্যে দূরত্ব বজায় রাখতে দোকানের সামনে চক দিয়ে গোল চিহ্ন করে দেওয়া হয়। ওই গোল চিহ্নের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকছেন ক্রেতারা। একটি বৃত্ত ফাঁকা হলেই পরের জন এগিয়ে যাচ্ছেন। এভাবেই এক এক করে দোকানে ঢুকছেন সকলে। উল্টোডাঙা, নারকেলডাঙা, যাদবপুর, ভবানীপুর, বেহালা, শ্যামবাজার, পাটুলি, বাঁশদ্রোণী সহ বিভিন্ন এলাকায় এই ছবি ধরে পড়েছে। সেখানে মানুষ অবশ্য দূরত্ব বজায় রেখেই জিনিসপত্র কিনেছেন। চক ছাড়াও কোথাও কোথাও চুন দিয়েও টানা হচ্ছে ‘সুরক্ষা-রেখা’। কিছু কিছু রেশন দোকানেও এমন বন্দোবস্ত করা হয়েছে। গোবিন্দ খটিক রোডে একটি রেশন দোকানের বাইরে বৃত্ত এঁকে দেওয়ার বিষয়টি নজরে এসেছে। শহরে এমন উদ্যোগে খুশি ক্রেতারাও।
তবে বুধবারও শহরের বিভিন্ন জায়গায় সকাল থেকে দেখা গিয়েছে বিক্ষিপ্ত জমায়েত। বাজারে গুজবের কানাকানি। ফাঁকা রাস্তায় প্রাইভেট গাড়ি, বাইকের অবাধ চলাচল। এখনও মানুষের একাংশের মধ্যে সচেতনতার অভাব স্পষ্ট। অনেক জায়গাতেই এই লকডাউনকে গ্রীষ্মাবকাশ বলে মনে করছেন দায়িত্বজ্ঞানহীন কিছু মানুষ। প্রশাসনের তরফ থেকে সতর্কতা ও সচেতনতার বার্তাকে দেওয়া হলেও তাকে কার্যত উড়িয়ে দিয়ে রাস্তায় নেমেছেন কেউ কেউ। বিশেষ করে অলিগলিতে চলছে জমিয়ে আড্ডা। তবে পুলিসও বসে নেই। এমন আড্ডা বা জমায়েত কিংবা অকারণে পথে নামা লোককে সমঝে দিতে কোথাও লাঠি, কোথাও আবার কান ধরে ওঠবোস করিয়েছে উর্দিধারীরা। বিশেষ করে কৌতূহলী বাইক বাহিনীকে কোথাও কোথাও পুলিসের লাঠির আঘাতও সহ্য করতে হয়েছে।