নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কেন্দ্র রাজ্য সরকারের চারটি হাসপাতালের ল্যাবরেটরিকে এখনও পর্যন্ত ২৪৯৮টি করোনা পরীক্ষার কিট পাঠিয়েছে। যার মধ্যে রাজ্য ব্যবহার করেছে ১৯৯টি কিট। ২৩ মার্চ পর্যন্ত কিট সংক্রান্ত যাবতীয় হিসেব জানিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকারকে চিঠি দিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। রাজ্যপালকে দেওয়া রিপোর্টে তিনি বলেছেন, নাইসেডকে ১ হাজারটি কিট দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে তারা এখনও পর্যন্ত ১৫৭টি কিট ব্যবহার করেছে। আইপিজিএমইআর (এসএসকেএম)-কে দেওয়া হয়েছে ১০৯৮টি কিট। ব্যবহার হয়েছে মাত্র ৪০টি। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ-হাসপাতালকে দেওয়া হয়েছে ২০০টি কিট। ব্যবহার হয়েছে দু’টি। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ-হাসপাতালকে দেওয়া হয়েছে ২০০টি কিট। যার মধ্যে একটিও ব্যবহার হয়নি। অর্থাৎ সব মিলিয়ে ২৩ মার্চ পর্যন্ত রাজ্যের কাছে ২,২৯৯টি কিট রয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে রাজ্যপাল এই চিঠি এবং রিপোর্টটি প্রকাশ্যে আনেন। রাজ্যপাল বলেছেন, আমি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার সময়ে এই কিটের প্রসঙ্গ তাঁর কাছে তুলে ধরি। কিটের কী অবস্থা রয়েছে এবং কেন্দ্রের তরফে রাজ্য কতগুলি কিট পেয়েছে, তা নিয়ে বিস্তারিত জানতে চাই। সেই নিয়েই ২৪ মার্চ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আমাকে চিঠি দিয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন।
তবে রাজ্যপাল এও বলেন, এটা একে অপরকে দোষারোপের সময় নয়। বিশ্ব এখন কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। আমি উপলব্ধি করেছি, কেন্দ্র ও রাজ্য সমন্বয় রেখে কাজ করছে। আমাদের দেশের জনসংখ্যার নিরিখে করোনা সমস্যা পাহাড় প্রমাণ। তাই একে অপরের সঙ্গে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাই হচ্ছে করোনার থাবা থেকে মুক্তি পাওয়ার অন্যতম উপায়। আমি তাই প্রত্যেক রাজনৈতিক দলকে আবেদন করছি, তারা যেন অন্তত এই সময়ে নিজেদের রাজনৈতিক ভাবনাচিন্তা থেকে বেরিয়ে এসে একসঙ্গে মিলেমিশে কাজ করে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও সব মানুষের কাছে ‘ঘরে থাকতে’ বারবার আহ্বান করছেন। তাঁর ডাকা ‘জনতা কার্ফু’-তে মানুষ অভূতপূর্ব সাড়া দিয়েছে। তিনি ২১ দিন লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এসময়ে প্রয়োজন সতর্ক থাকার। এখন আমাদের কোনও রাজনৈতিক দোষারোপের মধ্যে না যাওয়াই উচিত। তিনি আহ্বান করেন, চলুন দেখিয়ে দেওয়া যাক, এই সঙ্কটের সময়ে আমাদের মেরুদণ্ডের শক্তি। আমাদের ১০০ শতাংশ একতা এই করোনাকে পরাজয় করবেই।