খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ
এদিন বীরভূম জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় দোকানের সামনে চক দিয়ে গোল দাগ কেটে ক্রেতাদের দাঁড়াতে বলা হয়। বোলপুরে হাটতলায় এদিন সব্জি বাজারে ভিড় ছিল। বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য সুনীল ভকত বলেন, ভিড় হওয়ায় শুক্রবার থেকে হাট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিন নানুরের পাপুড়ি গ্রামে নিত্যপ্রয়োজনীয় মালপত্র বিলি করেন তৃণমূল নেতা কাজল শেখ। অন্যদিকে, রামপুরহাটের এসডিও শ্বেতা আগরওয়ালের নেতৃত্বে অফিসাররা কালোবাজারি রুখতে অভিযানে নামেন। মহাজনপট্টিতে পাইকারি মুদিখানা ব্যবসায়ীর দোকান সিল করা হয়। রামপুরহাট স্টেশনে থাকা ভবঘুরেদের খাবারের ব্যবস্থা করেন এসডিপিও সৌম্যজিৎ বড়ুয়া। বীরভূমের পুলিস সুপার শ্যাম সিং বলেন, মানুষকে সতর্ক করা হচ্ছে। তাঁদের বাড়িতে থাকার জন্য বারবার বলা হচ্ছে।
এদিন বহরমপুরের খাগড়ার সোনাপট্টি এলাকায় বেশ কিছু যুবক জটলা করে। তাদের পুলিস কিছুক্ষণ কান ধরিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখে। কান্দি বাসস্ট্যান্ড, নতুন বাজার, খাগড়ায় কিছু স্টেশনারি দোকানও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জটলা ছত্রভঙ্গ করতে বহরমপুর ছাড়াও বেলডাঙা, ডোমকল, হরিহরপাড়া, মুর্শিদাবাদ সহ বিভিন্ন জায়গাতেই পুলিস ছিল সক্রিয়। পুলিস সুপার অজিত সিং যাদব বলেন, কিছু জমায়েতকারীকে আটক করা হয়েছে। আগামী দিনে আরও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এদিকে জিয়াগঞ্জ শহরের লন্ডন মিশন হাসপাতালকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসেবে গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে। পুরসভার চেয়ারম্যান প্রসেনজিৎ ঘোষ বলেন, এখানে ৫০০ মানুষকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা যাবে।
এদিন আরামবাগে টহল দেয় পুলিস। সকাল থেকেই আরামবাগ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে বিশেষ জ্বর কেন্দ্রে বহু মানুষ স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান। এদিন সকালের দিকে নদীয়া জেলার প্রায় সর্বত্রই লকডাউন উপেক্ষা করে বহু মানুষ রাস্তায় নামে। পুলিস সক্রিয় হতেই পরিস্থিতি বদলে যায়। জেলাশাসক বিভু গোয়েলের নির্দেশে দোকানের সামনে নির্দিষ্ট দূরত্ব রেখে ক্রেতাদের জায়গা চিহ্নিত করা হয়।
নদীয়া জেলার উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অসিতকুমার দেওয়ান এবং জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক বিশ্বজিৎ ঢ্যাং সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, তেহট্ট-২ ব্লকের বার্নিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি পরিবারকে তেহট্ট হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। পরিবারের এক সদস্য দিল্লিতে থাকেন। তিনি এর আগে লন্ডনে গিয়েছিলেন। মোট ১৩জনের নমুনা কলকাতায় পাঠানো হবে। কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে ১০০জন ভর্তি ছিলেন। তার মধ্যে ৪১জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৪০৫০ জন।
এদিন বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর, সোনামুখ, বড়জোড়া, মেজিয়া, খাতড়া সহ জেলার বিভিন্ন ব্লক শহর থেকে গ্রাম এলাকায় পুলিস ছিল সক্রিয়। রাস্তায় বের হওয়া মানুষকে ঘরমুখী করতে ছিল তৎপর। বাঁকুড়ার পুলিস সুপার কোটেশ্বর রাও বলেন, সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে বিভিন্ন জায়গায় পুলিস অভিযান চলছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শ্যামল সোরেন বলেন, নতুন করে জেলায় কোনও সন্দেহভাজন রোগী ভর্তি হয়নি। প্রায় দু’হাজারের কাছাকাছি মানুষকে বাড়িতে কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে।
পুরুলিয়া জেলায় বুধবার পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইনের থাকা বাসিন্দার সংখ্যা ৫৪০৫। জরুরি কাজ ছাড়া রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো যুবকদের লাঠিচার্জ করে সরিয়ে দেয় পুলিস। কালোবাজারি রুখতে পুরুলিয়া শহরের বড়হাটে হানা দেয় জেলা পুলিসের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ।