Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

একের পর এক ব্যাঙ্ক বিপর্যয়ের দায়
মোদি সরকার এড়াতে পারে না
হিমাংশু সিংহ

একদিকে সুদের হার কমতে কমতে তলানিতে আর অন্যদিকে একের পর এক ব্যাঙ্ক মুখ থুবড়ে পড়ছে। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর। দিন আনা দিন খাওয়া সাধারণ গরিব মানুষ তো বটেই, প্রবীণদের অবস্থা আরও করুণ। কারণ ওই সুদটুকু ছাড়া তাঁদের তো আয়ের আর কোনও পথ নেই। মানুষ যাবে কোথায়। বাড়িতে টাকা রাখলে নোট বাতিলের ভয়, আর ব্যাঙ্কে রাখলে লাটে ওঠার আতঙ্ক! মানুষের সামান্য সম্বলটুকুও বিপন্ন। বর্তমান অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ইয়েস ব্যাঙ্ক কাণ্ডের গোটা দায় চাপিয়েছেন পূর্বতন ইউপিএ সরকারের উপর। আবার প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী চিদম্বরম কড়া আক্রমণ করেছেন মোদি জমানার অর্থনৈতিক বিশৃঙ্খলা তথা চরম গাফিলতিকে। প্রাক্তন ও বর্তমানের এই চাপান-উতোরের মাঝে পড়ে জনগণের চূড়ান্ত প্রাণান্তকর অবস্থা। এর উপর দেশের অন্যতম বৃহত্তম ও নির্ভরযোগ্য ব্যাঙ্ক স্টেট ব্যাঙ্ক সুদের হার গত ১০ মার্চ থেকে আরও বেশকিছুটা কমানোয় অবস্থা আরও খারাপ হতে বাধ্য। বিশেষ করে যখন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামই কমার কোনও লক্ষণ নেই। সুদ কমার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে টাকা রাখার নিরাপদ জায়গা কমছে, এটাই সবচেয়ে উদ্বেগের মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে। এর দায় মোদি সরকার কোনওভাবেই এড়াতে পারে না।
একের পর এক ব্যাঙ্ক বিপর্যয়ের লম্বা তালিকায় নবতম সংযোজন ‘ইয়েস ব্যাঙ্ক’। এর আগে মহারাষ্ট্র বিধানসভা ভোটের ঠিক আগে লাটে উঠেছিল পাঞ্জাব ও মহারাষ্ট্র সমবায় ব্যাঙ্ক। তা নিয়ে উত্তেজনাও কম হয়নি। এরও আগে একাধিক দুর্বল লোকসানে চলা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সংযুক্তি নিয়েও কম প্রশ্ন ওঠেনি। মোদি জমানায় ব্যাঙ্ক-সংযুক্তির সবক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক হস্তক্ষেপ করতে হয় অনেক বিলম্ব করেছে কিংবা সব দেখেও কোনও এক রহস্যজনক কারণে না দেখার ভান করেছে। নিঃসন্দেহে রাজনৈতিক চাপও দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্কের উদাসীন থাকার আর একটা বড় কারণ। আর সেই কারণেই রঘুরাম রাজন, উর্জিত প্যাটেলদের মতো ব্যাঙ্ক কর্তাদের ক্ষমতা চিরকাল অত্যন্ত সীমাবদ্ধই থেকে যায়। দিল্লির শাসককুল কোনও জমানাতেই রিজার্ভ ব্যাঙ্কে খুব স্বাধীনচেতা সাহসী মেরুদণ্ড সোজা গভর্নর পছন্দ করে না। তাই সবক্ষেত্রেই অনুগত বশংবদ অফিসারদের জয়জয়কার। যখন একটা ব্যাঙ্ক তার আমানতের বৃদ্ধির চেয়ে দ্রুত গতিতে ঋণ দিতে উদ্যোগী হয়, তখন বুঝতে হবে ডাল মে কুচ কালা হ্যায়। ইয়েস ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রেও ঠিক তাই হয়েছে। মোদি জমানার শুরু থেকেই লাফিয়ে বেড়েছে অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ।
রানা কাপুর ও অশোক কাপুর মিলে বিতর্কিত ব্যাঙ্কটির প্রতিষ্ঠা করেন গত ২০০৪ সালে। অর্থাৎ ১৬ বছর আগে। অত্যন্ত দ্রুত ব্যাঙ্কটি জনপ্রিয়ও হয়। কিন্তু কোনও অজ্ঞাত কারণে ২০১৩-১৪ সাল থেকেই ব্যাঙ্কটি ঝুঁকিপূর্ণ বিপজ্জনক ঋণ দিতে শুরু করে। যেসব সংস্থা ঋণের টাকা ফেরত দিতে পারবে না তাদেরকেই জেনেশুনে সজ্ঞানে বেশি বেশি করে ঋণ দেন ইয়েস ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠাতা রানা কাপুর। ২০১৪ সালে মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর পরই যেখানে ব্যাঙ্কের বকেয়া ঋণের পরিমাণ ছিল ৫৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা, এই মুহূর্তে তা বেড়ে প্রায় আড়াই লক্ষ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। নোট বাতিলের পর পরই একটি মাঝারি মাপের বেসরকারি ব্যাঙ্কের এমন বিরাট অঙ্কের বকেয়া ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধির কারণটা কী? সিবিআই জানাচ্ছে, বহু ক্ষেত্রেই ঋণ দেওয়া হয়েছে স্রেফ ঘুষের বিনিময়ে। সেই ঘুষের টাকা ঘুরপথে ঢুকেছে ব্যাঙ্কের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা রানা কাপুরের বিভিন্ন পারিবারিক সংস্থার অ্যাকাউন্টে। বর্তমানে সেই ঘটনারই তদন্ত করছে সিবিআই ও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
প্রায় লাটে ওঠা আর্থিক সংস্থা ডিএইচএফএলকে ইয়েস ব্যাঙ্ক ৩ হাজার ৭০০ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছিল। সেই ঋণ শোধ হয়নি। হওয়ার কথাও ছিল না। উল্টে প্রায় চার হাজার কোটি টাকার ঋণের বিনিময়ে ডিএইচএফএল সংস্থাটি ইয়েস ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠাতা রানা কাপুরের পরিবারকে ৬০০ কোটি টাকা ঘুষ দেয় বলে অভিযোগ। সেই টাকা রানা কাপুরেরই পারিবারিক সংস্থায় ঢোকে। অর্থাৎ এই অসৎ, কায়েমি স্বার্থে ঋণদানের প্রক্রিয়ার মধ্যেই নিহিত রয়েছে তিলে তিলে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের অন্ধকারে তলিয়ে যাওয়ার আসল কারণ। একটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক ফোঁপরা হল আর রানা কাপুর ঘুষের টাকায় ফুলেফেঁপে উঠলেন। ক্ষমতার অলিন্দে তাঁর ও তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের প্রভাব প্রতিপত্তি বাড়ল, কিন্তু রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আগাগোড়া চোখ বুঝে থাকল কীভাবে? কোনও উত্তর মেলে না। তাহলে এদেশে যাবতীয় আইন, কড়াকড়ি কি শুধু সাধারণের জন্য? ভারতীয় অর্থনীতি ও ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার এটাই সবচেয়ে করুণ চিত্র। যেকোনও ব্যবসাই চলে পারস্পরিক বিশ্বাসের উপর। সেই বিশ্বাসে ঘাটতি হলে কেউ আর কষ্টার্জিত টাকা সেই ব্যাঙ্কে রাখতে উৎসাহী হন না। যদি কোনও বেসরকারি ব্যাঙ্ককে কিছু প্রভাবশালী ব্যবসায়ী নিজের আখের গোছানোর জন্য ব্যবহার করেন, আমানতকারীদের অর্থ ঘুরপথে নয়ছয় করেন, তাহলে মাঝপথে ওই আর্থিক সংস্থার এরকম বিপর্যয় মোটেই অস্বাভাবিক কিছু নয়। ব্যাঙ্ক লাটে উঠলে ছিবড়ে করে ফেলে চলে যান সকলে। ইয়েস ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রেও ঠিক এমনটাই হয়েছে।
একটি হিসেবে দেখা যাচ্ছে, এই ব্যাঙ্কের মোট আমানতের চেয়ে ঋণের পরিমাণ বেশি। তাজ্জব ব্যাপার! মাত্র হাতে গোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকেই ৩৪ হাজার কোটি টাকারও বেশি ঋণ দিয়েছে ব্যাঙ্কটি! এরমধ্যে অনিল আম্বানি গোষ্ঠীকে দেওয়া হয়েছে ১২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা, সুভাষচন্দ্রের এসেল গোষ্ঠীকে ৮ হাজার ৪০০ কোটি টাকার ঋণ পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। আর ডিএইচএফএল গোষ্ঠীকে পাইয়ে দেওয়া হয়েছে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। সিবিআই এই মুহূর্তে তদন্ত করছে মূলত ডিএইচএফএলকে ৪ হাজার কোটি টাকার বিরাট ঋণ দেওয়া নিয়েই। শুধু ওই কয়েকটি সংস্থাই নয়। আইএল অ্যান্ড এফএস নামক এক সংস্থাকেও দেওয়া হয়েছে আড়াই হাজার কোটি টাকা। এখানেই শেষ নয়। রুগ্ন হয়ে পড়া জেট এয়ারওয়েজকে দেওয়া হয়েছে ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা। কক্স অ্যান্ড কিং ও গো ট্রাভেলসকে দেওয়া হয়েছে হাজার কোটি টাকা। এভাবেই ব্যাঙ্কের টাকার মনের সুখে হরির লুট করেছেন রানা কাপুর এবং তাঁর পরিবার। আজ যখন আর কোনও বিকল্প রাস্তা নেই, ব্যাঙ্কের গণেশ চিরতরে উল্টে যাওয়ার অবস্থায় তখন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের টনক নড়েছে। অথচ গত দু’বছর ধরেই ইয়েস ব্যাঙ্কে যে টানাটানি চলছে তা কারও অজানা নয়। রিজার্ভ ব্যাঙ্কও তা বিলক্ষণ জানত। কিন্তু সবাই ছিল নীরব দর্শক। যেখানে সামান্য কিছু টাকা ঋণ নিলেও মধ্যবিত্তকে হাজারো প্রশ্নের মুখোমুখি
হতে হয়, সেখানে এত হাজার কোটি টাকা ঋণের কথা দেশের সর্বোচ্চ ব্যাঙ্ক জানত না একথা মেনে
নেওয়া মোটেই সম্ভব নয়। স্বভাবতই প্রশ্ন
ওঠে, এক্ষেত্রে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কোন অজ্ঞাত শক্তির চাপে ‘ মাস্টার মশাই আপনি কিছুই দেখেন নি’ নীতি অবলম্বন করেছে?
সবচেয়ে বড় কথা, মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পরেই ব্যাঙ্কের অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ কয়েক গুণ বেড়ে গেল কীভাবে? তা নিয়ে অবিলম্বে তদন্ত হওয়া দরকার। কিছুদিন আগে রিজার্ভ ব্যাঙ্কেরই চাপে ব্যাঙ্কটির সিইও বদল হলেও পরিস্থিতি কিন্তু বদলায়নি। এমনকী, ব্যালান্সশিটে প্রায় এক বছর আগে বড় মাপের লোকসান ঘোষণা করার পরেও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সতর্কতা অবলম্বন করেনি। অথচ মজার ব্যাপার এই ব্যাঙ্কে একাধিক রাজ্য সরকার, সমবায়, বিভিন্ন মন্দির ট্রাস্টের শ’য়ে শ’য়ে কোটি টাকা স্থায়ী আমানত হিসেবে রাখা ছিল। কিন্তু রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে
সম্প্রতি আংশিক নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার আগেই আশ্চর্যজনকভাবে তিরুপতি মন্দির ট্রাস্ট ১৩০০ কোটি টাকা তুলে নিয়েছে। গুজরাতের ভদোদরার
একটি সমবায়ও ২৬৫ কোটি টাকা তুলে নিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সতর্ক হওয়ার আগে। এর থেকেই বোঝা যায়
ভারতের শীর্ষ ব্যাঙ্ক যে একটা ব্যবস্থা নিতে চলেছে তা আগে থেকেই ফাঁস হয়ে গিয়েছিল। নোট বাতিলের আগে যেমন বহু কর্পোরেট সংস্থা আগাম জানতে পেরে তাদের পুরনো নোট সরিয়ে ফেলেছিল। তেমনি ইয়েস ব্যাঙ্ক থেকেও কিছু
বড় মাপের আমানতকারী জমানো
টাকা তুলে নিতে সমর্থ হয়েছে।
পুরীর মন্দির কর্তৃপক্ষেরও প্রায় ৫৪৫ কোটি টাকা গচ্ছিত আছে ইয়েস ব্যাঙ্কে।
কোনও ব্যাঙ্ক লাটে উঠলেই বিতর্ক থামাতে ও জনরোষ মোকাবিলায় সরকার ঘুরপথে টাকা ঢালে। এটাই নিয়ম। এভাবেই সাধারণ মানুষের কষ্টার্জিত টাকার লুটপাট সামাল দিতে স্টেট ব্যাঙ্ক, এলআইসির মতো সংস্থাকে কাজে লাগানো হয়। এ জিনিস মোটেই দেশের অর্থনীতির পক্ষে সুখকর নয়। এর আগে আইডিবিআই ব্যাঙ্কের রুগ্ন স্বাস্থ্য মোকাবিলায় এলআইসিকে নামানো হয়েছিল। আর এবার শোনা যাচ্ছে, ইয়েস ব্যাঙ্কের লাটে ওঠা সামলাতে স্টেট ব্যাঙ্ককে দিয়ে ৪৯ শতাংশ শেয়ার কেনা হবে। গত শুক্রবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকেই ইয়েস ব্যাঙ্কের পুনরুজ্জীবনের একটা রূপরেখা চূড়ান্ত হয়েছে সেই স্টেট ব্যাঙ্ককে মধ্যিখানে রেখেই। স্বভাবতই প্রশ্ন ওঠে, যেসব অসাধু ব্যবসায়ী কোটি কোটি টাকা ঋণ নিয়ে এই বেসরকারি ব্যাঙ্কটিকে ধনেপ্রাণে শেষ
করল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে কেন সাধারণ গরিব মানুষের ব্যাঙ্কে গচ্ছিত টাকা ঢালা হচ্ছে রুগ্ন ইয়েস ব্যাঙ্কের জন্য। এভাবে কী ব্যাঙ্কের টাকা মারা বন্ধ করা যাবে? যাবে না। উল্টে এতে বেসরকারি ব্যাঙ্ক লুটের ঘটনা আরও প্রশ্রয় পেতে বাধ্য। অন্যান্য বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলির লাটে ওঠা রুখতে তাই রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে আগেভাগেই সতর্ক থাকতে হবে। কড়া হতে হবে। এই নজরদারিতে গাফিলতি কোনওভাবেই বরদাস্ত করা যাবে না।
এই মুহূর্তে দেশের অর্থনীতি গভীর সঙ্কটের
মধ্যে দিয়ে চলেছে। কোনও জিনিসের চাহিদা বাড়ছে না। জিডিপি কমছে। কর্মসংস্থান হচ্ছে না। তার
উপর গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো করোনা ভাইরাস বিশ্ব অর্থনীতিকে এক নজিরবিহীন
মন্দার মুখোমুখি এনে দাঁড় করিয়েছে। এই অবস্থায় যদি একের পর এক বেসরকারি ব্যাঙ্কের টাকা নিয়ে
দেশের কিছু ধনকুবের অসাধু ব্যবসায়ী নোংরা খেলা খেলে তাহলে অর্থনীতির সর্বনাশ অনিবার্য। নোট বাতিলের পর ক্রমাগত সেই সর্বনাশের দিকেই মোদি সরকার আমাদের টেনে নিয়ে চলেছে।
15th  March, 2020
পাহাড়প্রমাণ চ্যালেঞ্জ, অস্ত্র নাগরিক সচেতনতা
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ডাঃ সুশীলা কাটারিয়া। জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যাঁদের জন্য পাঁচটা মিনিট সময় বের করার আর্জি জানিয়েছিলেন, ডাঃ কাটারিয়া তাঁদেরই মধ্যে একজন। গুরুগ্রামে একটি হাসপাতালের ইন্টারনাল মেডিসিনের ডিরেক্টর তিনি। বয়স ৪২ বছর। গত ৪ মার্চ যখন তাঁকে বলা হয়েছিল, আপনার দায়িত্বে ১৪ জন ইতালীয় পর্যটককে ভর্তি করা হচ্ছে, তখনও তিনি রোগের নাড়িনক্ষত্র ভালোভাবে জানেন না। 
বিশদ

24th  March, 2020
মন্বন্তরে মরিনি আমরা, মারী নিয়ে ঘর করি
 সন্দীপন বিশ্বাস

পৃথিবীর গভীর গভীরতর অসুখ এখন। আর এই ‘অসুখ’ থেকে বারবার মানুষ লড়াই করে ফিরে এসেছে। প্রতিবার অস্তিত্বের সঙ্কটের মুখে দাঁড়িয়ে একযোগে লড়াই করে মানুষ এগিয়ে গিয়েছে উত্তরণের পথে। প্রকৃতির কোনও মারণ আক্রমণেই সে পিছিয়ে পড়েনি। তাই মানুষ বারবার ঋণী মানুষেরই কাছে।  
বিশদ

23rd  March, 2020
কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে লড়াই এবং তারপর
পি চিদম্বরম

আপনি এই লেখা যখন পড়ছেন, ততক্ষণে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) মোকাবিলায় ভারত এগতে পারল না কি পিছনে পড়ে গেল। সরকার ব্যস্ত ভিডিও কনফারেন্সে, আক্রান্ত দেশগুলি থেকে ভারতীয়দের দেশে ফিরিয়ে আনতে এবং করোনা থেকে বাঁচার জন্য নির্দেশিকা (হাত জীবাণুমুক্ত করা, নাক-মুখ ঢেকে রাখা এবং মাস্ক পরা) জারিতে।  
বিশদ

23rd  March, 2020
ভয় পাবেন না, গুজব ছড়াবেন না, জনতা কার্ফুতে ঘরে থাকুন, বিশ্বযুদ্ধে ভাইরাস পরাজিত হবেই
হিমাংশু সিংহ

 এক মারণ ভাইরাসের ভয়ঙ্কর সংক্রমণের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী মহাযুদ্ধ চলছে। এই যুদ্ধের একদিকে করোনা আর অন্যদিকে গোটা মানবজাতির অস্তিত্ব। প্রবীণ মানুষরা বহু স্মৃতি ঘেঁটেও এমন নজির মনে করতে পারছেন না যেখানে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া একটা রোগ ঘিরে এমন ত্রাস, আতঙ্ক দানা বেঁধেছে মানুষের মনে।
বিশদ

22nd  March, 2020
লড়াই
তন্ময় মল্লিক

 করোনা ভাইরাস। এই দু’টি শব্দই গোটা বিশ্বকে কাঁপিয়ে দিচ্ছে। করোনা আতঙ্কে থরহরি কম্প গোটা পৃথিবী। চীন, জার্মানি, ইতালি, আমেরিকা, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স সহ বিশ্বের প্রথম সারির দেশগুলিকে ক্ষতবিক্ষত করে করোনা এবার থাবা বসাতে শুরু করেছে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিতে।
বিশদ

21st  March, 2020
সময় এসেছে সিরিয়াস কিছু প্রশ্নের
সমৃদ্ধ দত্ত

তাহলে কিছুটা নিশ্চয়ই বোঝা গেল নিজের পাড়ায় দাঙ্গা এলে কী হবে? অতএব এটাও আশা করি আন্দাজ করা গেল যে, এনআরসি, সিএএ, এনপিআর, কংগ্রেস, বিজেপি, সিপিএম, হিন্দু মুসলমান সবই হল নেহাত সাধারণ টাইমপাস।  বিশদ

20th  March, 2020
যুদ্ধপরিস্থিতি
মেরুনীল দাশগুপ্ত

 এ সবকিছুর জন্য দায়ী ওই চীন, বুঝলেন। চীনেরাই ওই করোনা তৈরি করেছে। করে সামলাতে পারেনি। কোনওভাবে সেটা ফাঁক গলে বেরিয়ে পড়েছে। এখন নিজেরাও মরছে, আমাদেরও বিপদে ফেলে দিয়েছে। কাগজে পড়ছি ফ্রান্স, ইতালি, ইরান, ইরাক, আমেরিকা সব নাকি ওই ভাইরাসের দাপটে একেবারে নাজেহাল। বিশদ

19th  March, 2020
করোনায় আতঙ্কে অর্থনীতি
শান্তনু দত্তগুপ্ত

অমিতাভ রায় এখনও লন্ডনে। সঙ্গে স্ত্রী, আর সাড়ে পাঁচ বছরের ছেলে। নামজাদা তথ্য-প্রযুক্তি কোম্পানির কর্মী অমিতাভ। পেশার চাপে দেশে আগে দেশে ফিরতে পারেননি। এই দফায় আর হলও না...। একবুক আতঙ্ক নিয়ে বিদেশের মাটিতে কাটছে প্রত্যেকটা মুহূর্ত। কিন্তু সেটাও কতদিন! জানেন না তিনি। হাড়ে হাড়ে বুঝছেন, বাজারটা খালি হয়ে যাচ্ছে।
বিশদ

17th  March, 2020
একে একে শুখাইছে ফুল, নিবিছে দেউটি
সন্দীপন বিশ্বাস

কয়েকদিন আগে মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘মেঘনাদ বধ কাব্য’ আবার পড়ছিলাম। আমাদের আধুনিক মহাকাব্য। রেনেসাঁসের আলোয় নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে মাইকেল রামায়ণকে দেখেছিলেন। পড়তে পড়তে আমার দিব্যচক্ষু যেন খুলে গেল।   বিশদ

16th  March, 2020
ব্যাঙ্কিং নয়, বরং দস্যুবৃত্তি
পি চিদম্বরম

একটি ব্যাঙ্কের তহবিল গড়ে ওঠে কারেন্ট অ্যাকাউন্ট, সেভিংস অ্যাকাউন্ট এবং স্থায়ী আমানতে (ফিক্সড ডিপোজিট) অর্থ সংগ্রহের মাধ্যমে। এরপর তার উপর ব্যাঙ্ক সুদ দেয় । সংগৃহীত জমার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ‘রিজার্ভ’ হিসেবে রেখে দিতে হয়, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের শর্ত মেনে। 
বিশদ

16th  March, 2020
চীন, কমিউনিজম, জীবাণু ও সভ্যতার সঙ্কট
জিষ্ণু বসু

মানবসভ্যতার ইতিহাসে এক-একটি রোগ মহামারী হিসাবে এসেছে। পবিত্র বাইবেলের দ্বিতীয় অধ্যায় এক্সোডাস বা গণপ্রস্থান। এখানে মিশরের সভ্যতা, ফারাওয়ের সাম্রাজ্য মহামারীতে ধ্বংসের কথা আছে। ১৩৪৭ সাল থেকে ১৩৫১ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে ইউরোপের জনসংখ্যার অন্তত ৫০ শতাংশ মানুষের প্রাণ নিয়েছিল এক ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগ—প্লেগ।
বিশদ

14th  March, 2020
আর্থিক উদারীকরণনীতির বাস্তবায়নের জন্যই ভারতের অর্থনীতির বহর বিশ্বে এখন পঞ্চম
দেবনারায়ণ সরকার

 শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তাঁর ‘স্মৃতিকথা’য় লিখেছিলেন, ‘দীপের যে অংশটা শিখা হইয়া লোকের চোখে পড়ে, তাহার জ্বলার ব্যাপারে কেবল সেইটুকুই তাহার সমস্ত ইতিহাস নহে।’ ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে স্বনামধন্য মার্কিন ভিত্তিক স্বাধীন সংস্থা ‘ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ’ তার প্রকাশিত রিপোর্টে জানাল যে, ২০১৯ সালে ব্রিটেন ও ফ্রান্সকে পিছনে ফেলে ভারত পৃথিবীর মধ্যে সপ্তম থেকে পঞ্চম অর্থনৈতিকভাবে বৃহত্তম শক্তিশালী দেশ হিসেবে উঠে এসেছে। বিশদ

14th  March, 2020
একনজরে
 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রাজ্য সরকারি কর্মীরা প্রতিবারই মার্চ মাসের বেতন এপ্রিলে পান। এটাই হয়ে এসেছে। লকডাউন হওয়ার আগে বিভিন্ন সরকারি দপ্তর থেকে স্থায়ী ও চুক্তিভিত্তিতে নিযুক্ত কর্মীদের এপ্রিল মাসের বেতনের বিল পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ...

সংবাদদাতা, পতিরাম: মঙ্গলবার টিভির পর্দায় প্রধানমন্ত্রী আগামী ২১ দিন লকডাউনের কথা ঘোষণা করা মাত্র রাতেই ভিড় শুরু হয়ে যায় পাড়ার মুদির দোকান ও ওষুধের দোকানগুলিতে। ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: লকডাউনের জেরে চরম সঙ্কটে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির গবেষণা। ক্যাম্পাস সম্পূর্ণ বন্ধ থাকার কারণে নষ্ট হয়েছে বেশ কিছু দামি রাসায়নিক পদার্থ। বেশ কিছু প্রাণী রয়েছে, যাদের ওপর গবেষণা করার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলেন অধ্যাপকরা, সেগুলিকে বাঁচিয়ে রাখা এখন চ্যালেঞ্জের মুখে। ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: করোনা ভাইরাসের জেরে দেশবাসী গৃহবন্দি। মঙ্গলবারই আরও ২১ দিনের জন্য গোটা দেশে লক ডাউন করে রাখার ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাই ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮১৪: গিলেটিনের আবিষ্কর্তা জোসেফ ইগনেস গিলেটিনের মৃত্যু
১৮২৭: জার্মান সুরকার এবং পিয়ানো বাদক লুডউইগ ভ্যান বেইটোভেনের মৃত্যু
১৯৯৩: চিত্র পরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৭১: স্বাধীনতা ঘোষণা করল বাংলাদেশ, শুরু হল মুক্তিযুদ্ধ
১৯৭৪: চিপকো আন্দোলনের সূচনা
১৯৯৯: সুরকার আনন্দশঙ্করের মৃত্যু
২০০৬: রাজনীতিবিদ অনিল বিশ্বাসের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৫.১৯ টাকা ৭৬.৯১ টাকা
পাউন্ড ৮৬.৮১ টাকা ৮৯.৯৫ টাকা
ইউরো ৮০.৬৪ টাকা ৮৩.৬৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
25th  March, 2020
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪১,৮৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৯,৭৩০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪০,৩৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৮,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৮,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
22nd  March, 2020

দিন পঞ্জিকা

১১ চৈত্র ১৪২৬, ২৫ মার্চ ২০২০, বুধবার, (চৈত্র শুক্লপক্ষ) প্রতিপদ ২৯/২৯ অপঃ ৫/২৭। রেবতী অহোরাত্র সূ উ ৫/৩৯/৪১, অ ৫/৪৫/৪৫, অমৃতযোগ দিবা ৭/১৬ মধ্যে পুনঃ ১/৪১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৪২ গতে ১০/১৩ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৩ গতে ১/১৩ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪২ গতে ৪/১১ মধ্যে।
১১ চৈত্র ১৪২৬, ২৫ মার্চ ২০২০, বুধবার, প্রতিপদ ২৬/১০/২১ অপরাহ্ন ৪/৯/৪৯। রেবতী ৬০/০/০ অহোরাত্র সূ উ ৫/৪১/৪১, অ ৫/৪৫/৪৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/১২ মধ্যে ও ৯/৩২ গতে ১১/১২ মধ্যে ও ৩/২২ গতে ৫/১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৭ গতে ৮/৫৫ গতে ১০/২৭ মধ্যে। কালবেলা ৮/৪২/৪৩ গতে ১০/১৩/১৪ মধ্যে।
২৯ রজব

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ:খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৮১৪: গিলোর্টিনের আবিষ্কর্তা জোসেফ ইগনেস গিলেটিনের মৃত্যু১৮২৭: জার্মান সুরকার এবং ...বিশদ

07:03:20 PM

তামিলনাড়ুতে আরও ৩ জনের শরীরে মিলল করোনা ভাইরাস 

11:52:00 PM

আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে প্রথম করোনা আক্রান্তের খোঁজ 

09:02:11 PM

দেশে একদিনে ৮৮ জনের শরীরে মিলল করোনা ভাইরাস, মোট আক্রান্ত ৬৯৪: কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক

08:55:45 PM

কৃষ্ণনগরে করোনা আতঙ্কে আত্মহত্যা! 
হোম আইসোলেশনে থাকার নির্দেশ পাওয়ার পর গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী ...বিশদ

08:34:13 PM