দক্ষিণবঙ্গ

হাউস ফর অল প্রকল্পে মেলেনি পুরো টাকা, চেয়ারম্যানকে ঘিরে বিক্ষোভ

সংবাদদাতা, রঘুনাথপুর: হাউস ফর অল প্রকল্পে মেলেনি সম্পূর্ণ টাকা। ফলে বাড়ি ভেঙে বিপাকে পড়েছেন উপভোক্তারা। ত্রিপল টাঙিয়ে, ভাড়া বাড়িতে কষ্ট করে তাঁদের থাকতে হচ্ছে। গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে তাঁদের ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। তাই বাড়ি তৈরির জন্য প্রকল্পের সম্পূর্ণ টাকা চেয়ে সোমবার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের উপভোক্তারা রঘুনাথপুর পুরসভার চেয়ারম্যানকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। প্রায় ১৫০জন উপভোক্তা এদিন বিক্ষোভে শামিল হন। চেয়ারম্যানের তরফে দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হলে বিক্ষোভ ওঠে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬-’১৭ অর্থবর্ষে রঘুনাথপুর পুরসভায় হাউস ফর অল প্রকল্পের সূচনা হয়। ওই অর্থবর্ষে ৪৮৬ জনের বাড়ি অনুমোদন করা হয়। ২০১৭-’১৮ অর্থবর্ষে মোট ৪০০ জনের বাড়ি অনুমোদন করা হয়। এই দুই অর্থবর্ষের প্রায় সকলের বাড়ি তৈরি হয়ে গিয়েছে। শেষ কিস্তির কিছু টাকা বাকি রয়েছে। ২০১৮-’১৯ অর্থবর্ষে ৭৩৫ জন উপভোক্তাকে আবাস দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৫০০ জন দুই কিস্তির ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা পেয়েছেন। ২০২০-’২১ অর্থবর্ষে ৭০০ জন উপভোক্তা বাড়ি পেয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ২০০ জন উপভোক্তা দু’টি কিস্তির টাকা পেয়েছেন। ২০২১-’২২ অর্থবর্ষে ৯০৬ জনের হাউস ফর অল প্রকল্পে নাম ওঠে। তাঁদের মধ্যে ১৩০ জন উপভোক্তা প্রথম কিস্তির টাকা পেয়েছেন। ফলে দেখা যাচ্ছে ২০১৮-’১৯ অর্থবর্ষ থেকেই কারও বাড়ি সম্পূর্ণ হয়নি।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, হাউস ফর অল প্রকল্পে মোট ৩ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা দেওয়া হয়। এর মধ্যে রাজ্য সরকার ১ লক্ষ ৯৩ হাজার টাকা দেয়। কেন্দ্রীয় সরকার অনুমোদন করে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। এছাড়া উপভোক্তার যখন বাড়ি অনুমোদন হয়, তখন তাঁকে ২৫ হাজার টাকা পুরসভায় জমা করতে হয়। পরবর্তী সময়ে সেই টাকা বাড়ি তৈরির জন্য ফেরত দেওয়া হয়। বাড়ি তৈরির জন্য যাঁর নাম অনুমোদন হয়, তাঁর নিজস্ব জমি থাকতে হয়। অভিযোগকারী সানা বিবি, সরমা দাস বলেন, ২০১৮-’১৯ অর্থবর্ষে বাড়ি তৈরির অনুমোদন পাই। বাড়ি ভেঙে নতুন বাড়ি তৈরি করার কাজ শুরু করি। দুই কিস্তির মোট ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা পেয়েছি। এত বছর হয়ে গেলেও সম্পূর্ণ টাকা পাইনি। ফলে প্রচুর কষ্ট করে থাকতে হচ্ছে।
প্রভাকর মাজি বলেন, তিনটি কিস্তিতে মোট ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা পেয়েছি। এখনও সম্পূর্ণ বাড়ি তৈরি করতে পারিনি। আমার মতো অনেকেই ঘর ভেঙে বিপাকে পড়েছে। 
১১ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলার রবীন্দ্রনাথ চৌধুরী বলেন, যেসব মানুষের আবাসের টাকা আগে প্রয়োজন, তাঁদের তা দেওয়া হচ্ছে না। মুখ দেখে টাকা দেওয়া হচ্ছে। ফলে গরিব, সাধারণ মানুষ অসুবিধায় পড়ছে।
চেয়ারম্যান তরণী বাউরি বলেন, পুরসভায় ২৩০০ মানুষের আবাস যোজনার টাকা প্রয়োজন রয়েছে। যার জন্য কয়েক কোটি টাকা প্রয়োজন। কিন্তু, বর্তমানে ২ কোটি টাকা এসেছে। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আপাতত যাঁদের একান্ত প্রয়োজন, সেইরকম ২০০ জনকে টাকা দেওয়া হবে। পরবর্তী সময়ে টাকা এলে বাকিদের দেওয়া হবে।
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

সন্তানের ভবিষ্যৎ জীবন নিয়ে মানসিক চিন্তা। সব কাজকর্মে অগ্রগতি ও অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগ।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৮৭ টাকা৮৫.৩১ টাকা
পাউন্ড১০৭.৪৯ টাকা১১৪.২২ টাকা
ইউরো৯১.২৬ টাকা৯৫.৪৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা