দক্ষিণবঙ্গ

বিপদসীমা পেরল গঙ্গা-পদ্মা ৮টি ব্লকে বন্যা পরিস্থিতি

নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: সোমবার সন্ধ্যা থেকেই গঙ্গা ও পদ্মায় জল বাড়ছে। বিপদ সীমা টপকে জেলার ৮টি ব্লক প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।  সেইমতো প্রস্তুত রয়েছে প্রশাসন। দুই নদীর তীরবর্তী ফরাক্কা, সামশেরগঞ্জ, সূতি-২, রানিনগর-২, লালগোলা, ভগবানগোলা-১ ও জলঙ্গি ব্লকের বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়েছে। প্লাবনের শঙ্কায় আটটি ব্লকে ২৫টি ফ্লাড শেল্টার প্রস্তুত করা হয়েছে। নদী তীরবর্তী এলাকার প্রায় ১০ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়েছে প্রশাসন। 
বন্যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলাতেও রবিবার শোনা গিয়েছিল আশঙ্কা। তিনি ওইদিন বলেন, নেপাল কোশি নদীর জল ছেড়ে দিয়েছে। সেটা বিহার হয়ে আমাদের কাছে আসছে। এর ফলে মালদহ ও মুর্শিদাবাদে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। মুর্শিদাবাদ লোকসভার তৃণমূল সাংসদ আবু তাহের খান বলেন, আমাদের জেলার আটটি ব্লক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সন্ধ্যা থেকেই জলের পরিমাণ বাড়ছে। মুখ্যমন্ত্রী আমাদের সবাইকে নিয়ে একটি ভিডিও কনফারেন্স করেছেন। তিনি পরিস্থিমি মোকাবিলার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা প্রশাসনিকভাবে এবং দলগতভাবে প্রস্তুত আছি। গত কয়েক দিনের বৃষ্টি এবং নদীর জলস্ফীতির কারণে চর এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বহু কৃষিজমি জলের তলায়। এবার ফরাক্কা ব্যারেজের জলে বহু বাড়ি, ঘর ডুবতে পারে। নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সরানো হয়েছে। স্থানীয় স্কুল ও ফ্লাড শেল্টারগুলিতে তাদের থাকার ও খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দলগতভাবে শুকনো খাবার, ত্রিপল ও অন্যান্য ত্রাণ সামগ্রী আমরা প্রস্তুত রাখছি। প্রশাসনের লোকজনও সতর্ক আছে। সমস্ত দলীয় কর্মী সমর্থকদের অসহায় মানুষের পাশে থেকে  কাজ করার জন্য আমরা অনুরোধ করছি। 
জেলা বিপর্যয় ব্যবস্থাপন দপ্তরের আধিকারিক কমল চক্রবর্তী বলেন, দুপুর পর্যন্ত গঙ্গা ও পদ্মার জলস্তর স্থিতিশীল ছিল। তবে বিকেলের পর থেকেই জল বাড়তে থাকে। ২০১৯ সালে যে পরিমাণ জল এসেছিল, এবার তার থেকে বেশি ১৯.৯ লক্ষ কিউসেক জল আসছে। ভাগীরথীতে খুব একটা প্রভাব না পড়লেও পদ্মা ও গঙ্গা তীরবর্তী এলাকা প্লাবিত হবে। জেলার মোট আটটি ব্লকের প্রায় ১০ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে। সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নদী তীরবর্তী মানুষজনকে সতর্ক করা হয়েছে। আটটি ব্লকের বিডিও ও লাইন ডিপার্টমেন্টের সমস্ত আধিকারিক সর্বদা নদীর জলস্তর বৃদ্ধির দিকে খেয়াল রাখছেন। 
জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, বহু জায়গায় মানুষকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যেতে চাইলেও তাঁরা বাড়ি ছাড়তে চাইছেন না। ফ্লাড শেল্টারের আশেপাশে তাঁদের বাড়ি হওয়ায় অনেকেই বাড়িতে রয়েছেন। বিপদের আঁচ পেলেই তাঁরা দ্রুত সেখানে উঠে যাবেন বলে জানিয়েছেন। -নিজস্ব চিত্র
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

সন্তানের ভবিষ্যৎ জীবন নিয়ে মানসিক চিন্তা। সব কাজকর্মে অগ্রগতি ও অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগ।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৮৭ টাকা৮৫.৩১ টাকা
পাউন্ড১০৭.৪৯ টাকা১১৪.২২ টাকা
ইউরো৯১.২৬ টাকা৯৫.৪৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা