দক্ষিণবঙ্গ

পোশাকের অর্ধেক দাম লটারির কুপনে বাইকও

নিজস্ব প্রতিনিধি, কেশপুর: কেশপুরে বন্যা পরিস্থিতিতে বদলে গিয়েছে বাজার ধরার কৌশলও। বাজারজুড়ে বস্ত্র ব্যবসায়ীরা পসরা সাজিয়ে বসেছেন। কিন্তু ক্রেতা তেমন কই? এই অবস্থায় শাড়ি, জামাকাপড় কিনলেই বাইক সহ রকমারি নানা গিফটের কুপন পাচ্ছেন ক্রেতারা। কারণ আর কিছুই নয়। এবার কেশপুর ব্লকের একাধিক গ্রামের মানুষ বন্যা পরিস্থিতির কারণে অর্থসঙ্কটে পড়েছেন। সেই কারণেই এই স্ট্র্যাটেজি। যদি বন্যার জেরে মুখ ফিরিয়ে থাকা ক্রেতারা একটু বাজারমুখো হন। তবে শুধু গিফটই নয়, গরিব ও বন্যায় সব হারানো মানুষের কথা ভেবে অনেকে ক্রেতা টানতে ৫০ শতাংশ ছাড়ও দিচ্ছেন। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের দলনেতা মহম্মদ রফিক বলেন, প্রশাসনের তরফে এলাকায় ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে। সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের যাতে সমস্যা না হয়, সেদিকে নজর দেওয়া হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা জানালেন, গত বছরের তুলনায় বিক্রি এবার তলানিতে। লক্ষ লক্ষ টাকার জামাকাপড় দোকানে তুলে তাঁরা বেকায়দায় পড়েছেন। মানুষের সমস্যার কথা ভেবে নামমাত্র লাভেই জামাকাপড় বিক্রি করা হচ্ছে। কথা হচ্ছিল কেশপুর বাজারের বস্ত্র ব্যবসায়ী সইফুরা বিবির সঙ্গে। তাঁর পরিবার প্রায় ৫০ বছর ধরে ব্যবসা করছেন। তিনি বলেন, এবছর বাজারের হাল খারাপ। বন্যা পরিস্থিতিতে গ্রামের অর্থনীতি একেবারে ভেঙে পড়েছে। অন্য সময় যে শাড়িটা ৫০০ টাকায় বিক্রি করি, এবার সেটাই ২০০টাকায় বিক্রি করছি। যাতে সাধারণ মানুষ কিনতে পারেন।
টানা বৃষ্টি ও বন্যা পরিস্থিতির জেরে কেশপুর ব্লকে চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে বহু পরিবার সর্বস্বান্ত হয়েছে। হাতে টাকা না থাকায় অনেকেই পুজোর পোশাক কিনতে যেতে সাহস পাচ্ছিলেন না। ব্যবসায়ীরা ছাড় দেওয়ায় তাঁদের কিছুটা সুবিধা হয়েছে। এদিন কেশপুর বাজারে পুজোর জামাকাপড় কিনতে এসেছিলেন বিশ্বনাথপুরের বাসিন্দা শ্যামল মণ্ডল। তিনি বলেন, চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। খুব সমস্যায় পড়েছি। তবে পুজো তো সারাবছরে একবারই আসে। এসময় নতুন জামাকাপড় কিনতে সবারই ইচ্ছে করে। বাজারে এসে দেখলাম, দাম অনেকটাই সাধ্যের মধ্যে। ব্যবসায়ীরা দাম কমানোয় আমাদের খুব সুবিধা হয়েছে। কিছু অন্তত কেনা যাচ্ছে। নইলে এবার পুজোটা মাটি হয়ে যেত। 
বন্যা পরিস্থিতির জেরে কেশপুর ব্লকের বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল। শতাধিক পরিবার বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছিল। কলাগ্রাম, ভীমপুর, কানপুর সহ নানা এলাকায় ফসলের প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। এনায়েতপুর পঞ্চায়েতের কাপাসটিকরি সহ বিস্তীর্ণ এলাকা জলের নীচে চলে গিয়েছিল। সেখানকার মানুষ বাঁধের উপর আশ্রয় নিয়েছিলেন। তাই কেশপুরের গ্রামীণ অর্থনীতি একেবারে ভেঙে পড়েছে। ব্যবসায়ীরা তাঁদের পণ্যের দাম কমানোয় মানুষ ধীরে ধীরে উৎসবের কেনাকাটায় ফিরেছেন।
ব্যবসায়ী মধুসূদন পাত্র বলেন, বাজারে মানুষ আসছেন না। দাম কমিয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে। ক্রেতা টানতে অনেকে জিনিস কিনলে গিফটও দিচ্ছেন। আশা করছি, শেষ সপ্তাহে ভিড় বাড়বে।  সোমবার কেশপুরে একটি দোকানে পুজোর কেনাকাটা চলছে।-নিজস্ব চিত্র
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

সন্তানের ভবিষ্যৎ জীবন নিয়ে মানসিক চিন্তা। সব কাজকর্মে অগ্রগতি ও অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগ।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৮৭ টাকা৮৫.৩১ টাকা
পাউন্ড১০৭.৪৯ টাকা১১৪.২২ টাকা
ইউরো৯১.২৬ টাকা৯৫.৪৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা