দক্ষিণবঙ্গ

বন্যার জেরে ওঠেনি চাঁদা অনুদানে বাঁচল পুজো

অগ্নিভ ভৌমিক, কৃষ্ণনগর: বন্যা পরিস্থিতির কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি। পুজোর চাঁদা ওঠেনি সেভাবে। আর্থিক অনটনের কারণে বন্ধ হতে বসেছিল গ্রামের পুজো। শেষ পর্যন্ত পুজো বন্ধ হয়নি। জাঁকজমক পূর্ণ ভাবেই  নাকাশিপাড়ার বিল্বগ্রামে পুজো হচ্ছে এবছর। সৌজন্যে রাজ্য সরকারের আর্থিক সাহায্য। 
এ বছর অনুদান প্রাপ্তির তালিকা অনেকটাই দীর্ঘায়িত করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সেই তালিকায় বহু নতুন পুজো কমিটি অন্তর্ভুক্ত হয়। তাতেই ঠাঁই পায় নাকাশিপাড়া ব্লকের বিল্বগ্রাম উত্তরপাড়া ছাত্র যুবসঙ্ঘ। তারা প্রতি বছর চাঁদা সংগ্রহ করে গ্রামবাসীদের আনন্দ দিয়ে আসছিল। কিন্তু এবার দুর্যোগের কারণে চাঁদা আদায়ের পরিস্থিতি নেই। অগত্যা পুজো বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া যুবসঙ্ঘের আর কোনও উপায় ছিল না।  সরকারের আর্থিক সাহায্য পেতেই নতুন উদ্যোগে পুজোর আয়োজন শুরু করে দিয়েছেন ক্লাবের সদস্যরা। বর্তমানে প্যান্ডেল বাঁধার কাজ চলছে। প্রতিমাও বায়নাও দেওয়া হয়ে গিয়েছে। সরকারের অনুদান পেয়ে বেজায় খুশি পুজো কমিটির সদস্য ও গ্রামবাসীরা। 
বিল্বগ্রাম উত্তরপাড়া ছাত্র যুবসঙ্ঘের পুজো কমিটির সম্পাদক অরবিন্দ রায় বলছিলেন, ‘এবছর আমরা প্রথমবার সরকারি অনুদান পেলাম। এতে আমাদের যে কতটা উপকার হয়েছে, তা বলে বোঝানো যাবে না। আমরা খুব খুশি। নানা সমস্যার কারণে বন্ধ হতে বসা আমাদের পুজো ফের নতুন করে প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে। আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ।’
নাকাশিপাড়ার ব্লকের প্রত্যন্ত এলাকা হল বিল্বগ্রাম। গ্রামের অধিকাংশ বাসিন্দা আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া। চাষবাস করেই জীবনযাপন করেন তাঁরা। সেখান থেকে যা উপার্জন হয় তাই দিয়েই গ্রামের লোকজন সকলে মিলে পুজোর আয়োজন করেন। ফসল বিক্রির টাকা থেকে বিল্বগ্রাম উত্তরপাড়া ছাত্র যুবসঙ্ঘের পুজোর জন্য চাঁদা দেন গ্রামবাসীরা। তা দিয়েই বিগত চার দশকেরও বেশি সময় ধরে পুজো হয়ে আসছে বিল্বগ্রামের উত্তরপাড়ায়। গ্রামের প্রায় দুশো পরিবার এই পুজোর সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। যদিও এখানে পুজোতে থিমের বহর থাকে না। সাদামাটা পুজোর মধ্যেই গ্রামের বাসিন্দারা উৎসবের আনন্দে মেতে ওঠেন। আট থেকে আশি সকলেই পুজোর আয়োজনে হাত লাগান। এতদিন সরকারি অনুদান পায়নি এই পুজো কমিটি। তাই পুজোর সবটাই নির্ভর করত চাষিদের ফসল বিক্রি করে পাওয়া টাকার উপর। 
সম্প্রতি অকাল বৃষ্টিতে বিল্বগ্রাম উত্তরপাড়ার সব্জি চাষের সিংহভাগ জমি ডুবে গিয়েছে। এখানকার চাষিরা এইসময় ফুলকপি ও বাঁধাকপির চাষ বেশি করে। জমিতে জল দাঁড়িয়ে যাওয়ার ফলে সেইসমস্ত ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। তার থেকে ঘুরে দাঁড়ানোই কঠিন হয়ে পড়েছে গ্রামবাসীদের। ফলে পুজোর চাঁদা দেওয়ার আর্থিক সামর্থ্য নেই কারও। চাঁদা আদায় করতে গিয়ে গ্রামবাসীদের কাছ থেকে তেমন কোনও সাড়া পাচ্ছিলেন না। উদ্বেগ বেড়েছিল পুজো কমিটির। পুজো এবছর আদৌ করা যাবে কিনা, তা নিয়েও সংশয় দেখা গিয়েছিল। সেই জায়গায় ত্রাতার ভূমিকা নিয়ে এগিয়ে রাজ্য সরকার। কারণ দ্বিতীয় দফায় কৃষ্ণনগর পুলিস জেলার অতিরিক্ত কিছু পুজো কমিটিকে আর্থিক সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাতেই নাম ওঠে বিল্বগ্রাম উত্তরপাড়া ছাত্র যুবসঙ্ঘের। শেষ মুহূর্তে আর্থিক সাহায্য পেয়ে পুজোর আয়োজনে ঝাঁপিয়ে পড়েন ক্লাবের সদস্যরা। 
 কালীগঞ্জে পুজোর প্রস্তুতি। নিজস্ব চিত্র
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

সন্তানের ভবিষ্যৎ জীবন নিয়ে মানসিক চিন্তা। সব কাজকর্মে অগ্রগতি ও অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগ।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৮৭ টাকা৮৫.৩১ টাকা
পাউন্ড১০৭.৪৯ টাকা১১৪.২২ টাকা
ইউরো৯১.২৬ টাকা৯৫.৪৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা