বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
মাধ্যমিকে ভৌতবিজ্ঞানে বেশি নম্বর পাওয়ার জন্য যে যে বিষয়গুলি খুঁটিয়ে পড়বে পরামর্শ দিচ্ছেন কল্যাণনগর বিদ্যাপীঠ, রহড়ার ভৌতবিজ্ঞানের শিক্ষক তন্ময় চট্টোপাধ্যায়।
(১) MCQ (Multiple Choise Questions)
(২) SAQ (Short Answer Type Questions)
(3) বর্ণনামূলক ২ Marks/ ৩ Marks
MCQ এবং SAQ-এর জন্য, ১ নম্বরের নির্ধারিত থাকবে।
প্রথমেই বলব পদার্থ ও রসায়নের সাধারণ বিষয় হিসাবে থাকা পদার্থবিদ্যার অংশের কথা। যেখানে গ্যাসের ধর্ম চ্যাপ্টারটিতে বয়েলের সূত্র, চার্লসের সূত্র, পরমশূন্য উষ্ণতার ধারণা প্রভৃতি বিষয়গুলি খুঁটিয়ে পড়তে হবে। কোনও সূত্র উল্লেখ করার সময় অবশ্যই সূত্রের বিবৃতির সঙ্গে তার গাণিতিক রূপ এবং ব্যবহৃত চিহ্নগুলির তাত্পর্য ব্যাখ্যা করতে হবে। সম্ভব হলে প্রশ্নের মানের উপর নির্ভর করে লেখচিত্রও উল্লেখ করো। যেমন বয়েলের সূত্র PV= ধ্রুবক লেখার পর
P= গ্যাসের চাপ, V= গ্যাসের আয়তন উল্লেখ করো, অবশ্যই উল্লেখ করো গ্যাসের ভর (M)= ধ্রুবক এবং গ্যাসের উষ্ণতা (T)= ধ্রুবক
প্রতিটি ব্যবহৃত ভৌতরাশির একক ও মাত্রা ভালোভাবে পড়বে। CGS এবং SI দুটি পদ্ধতিতেই এককগুলি ভালোভাবে অভ্যাস করবে। লেখচিত্র আঁকার ক্ষেত্রে সর্বদা পেনসিল ব্যবহার করবে এবং নির্দিষ্ট চলরাশিগুলিকে অক্ষ বরাবর সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে। পরমশূন্য উষ্ণতার মান চাওয়া হলে সেলসিয়াস এবং কেলভিন উভয় স্কেলেই উল্লেখ করবে। এই অধ্যায়টিতে গাণিতিক সমস্যার সমাধান করার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত সূত্রটির অবশ্যই সাংকেতিক রূপ উল্লেখ করবে। যে রাশির মান নির্ণয় করবে উত্তরে অবশ্যই তার একক সহ মান লিখবে। ব্যবহৃত রাশিগুলির একক ভিন্ন থাকলে তাদের একই এককে CGS অথবা SI একক ব্যবহার করবে।
সূত্রের গাণিতিক রূপকে Box করবে এবং অন্য কালি ব্যবহার করবে।
যেমন PV= nRT
যেখানে P= গ্যাসের চাপ
n= গ্যাসের মোল সংখ্যা
R= সার্বজনীন গ্যাস ধ্রুবক
T= গ্যাসের পরম স্কেলে প্রকাশিত উষ্ণতা
অপর একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হল আলোকবিজ্ঞান।
এই চ্যাপ্টারের বিভিন্ন সূত্র যেমন স্নেলের সূত্র, অভ্যন্তরীণ পূর্ণ প্রতিফলন, প্রিজমের ক্ষেত্রে আলোকরশ্মির প্রতিসরণের ক্ষেত্রে বিচ্যুতি এবং বিচ্যুতি এবং প্রিজমের প্রথম প্রতিসারক তলে আপতন কোণের পরিবর্তনের লেখচিত্র ভালোভাবে অভ্যাস করতে হবে। পরম প্রতিসরাঙ্ক, আপেক্ষিক প্রতিসরাঙ্ক প্রভৃতি রাশির সংজ্ঞা এবং তাদের গাণিতিক সম্পর্ক ভালোভাবে পড়তে হবে। যেমন amg = বায়ু সাপেক্ষে কাচ মাধ্যমের আপেক্ষিক প্রতিসরাঙ্ক এরূপ উল্লেখ করতে হবে। দর্পণের দ্বারা যেমন অবতল বা উত্তল দর্পণের ক্ষেত্রে প্রতিবিম্ব গঠনের ক্ষেত্রে রশ্মিচিত্র আঁকার জন্য অবশ্যই পেনসিল ব্যবহার করবে। Light ray বা আলোকরশ্মি দেখানোর জন্য অবশ্যই তিরচিহ্ন বা arrowhead দেবে। গঠিত প্রতিবিম্বের অবস্থান প্রকৃতি রৈখিক বিবর্ধন প্রভৃতি বিষয় উত্তরে অবশ্যই উল্লেখ করবে। শুদ্ধ বর্ণালি, অশুদ্ধ বর্ণালি, তাদের পার্থক্য ও গঠন প্রক্রিয়া সুনির্দিষ্ট শর্ত সহ অবশ্যই প্রশ্নের উত্তরে উল্লেখ করতে হবে।
‘কাচের স্ল্যাব কেন বর্ণালি সৃষ্টি করতে পারে না’— এর ব্যাখ্যামূলক প্রশ্নের উত্তরে অবশ্যই রশ্মিচিত্র সহযোগে সঠিক ব্যাখ্যা দিতে হবে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যাপ্টার হল প্রবাহী তড়িত্বিজ্ঞান। এই অধ্যায়ে অনেকগুলি গুরুত্বপূর্ণ সূত্র আছে, যেমন (১) ওহমের সূত্র, (২) জুলের সূত্র, ফ্লেমিং-এর বামহস্ত ও ডানহস্ত নিয়ম প্রভৃতি। তুল্যরোধ নির্ণয়ের বর্তনীচিত্র ভালোভাবে অভ্যাস করতে হবে। তুল্যরোধ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে বর্তনীচিত্র পরিষ্কারভাবে পেনসিল ব্যবহার করে আঁকবে। তুল্যরোধ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে কোন সূত্র (শ্রেণী/ সমান্তরাল/ মিশ্র সমবায়) ব্যবহার করছ তার উল্লেখ করবে।
ডায়নামো বা মোটরের কার্যনীতি ভালোভাবে পড়তে হবে। পার্থক্য চাওয়া হলে মূলনীতির উপর নির্ভর করে পার্থক্য উল্লেখ করা বাঞ্ছনীয়। কার্যনীতি চাওয়া হলে অবশ্যই বর্তনীচিত্র সহ উল্লেখ করতে হবে। তড়িত্প্রবাহমাত্রা, চৌম্বকপ্রবাহ সম্পর্কিত ফ্যারাডে-লেজের (Faraday Lenz’s law) সূত্র ও এই সম্পর্কিত SI এবং emu (electro magnetic unit) এককগুলি ও তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক ভালোভাবে পড়তে হবে।
আধুনিক পদার্থবিদ্যা অধ্যায়ের ক্ষেত্রে পরমাণুর নিউক্লিয়াসের গঠন, নিউক্লীয় বলের প্রকৃতি উত্পত্তির কারণ তেজস্ক্রিয়তার (Radioactivity) সংজ্ঞা ফলাফল নিউক্লীয় বিক্রিয়া ও তাদের প্রকারভেদ প্রভৃতি বিষয়গুলি যত্ন করে পড়তে হবে। নিউক্লীয় রিয়্যাক্টার (Nuclear Reactor) বিষয়ে লিখতে বলা হলে ব্যবহৃত শৃঙ্খল বিক্রিয়ার প্রকৃতি (Nature of chain Reaction) মন্দক (Moderator)-এর ভূমিকা কোন নির্দিষ্ট নিউক্লীয় বিভাজন বা সংযোজন বিক্রিয়ায় উত্পন্ন শক্তির বা Q value-এর মান প্রভৃতি বিষয়ে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে। বন্ধনশক্তির (Binding Energy) ব্যাখ্যা চাওয়া হলে E=(Dm)c2 সূত্র অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে। যেখানে Dm= ভরত্রুটি, c= শূন্য মাধ্যমে আলোর বেগ A.M.U বা Atomic mass unit একক কাকে বলে এবং এই এককের সঙ্গে শক্তির প্রচলিত একক যেমন আর্গ, জুল প্রভৃতি এককের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়গুলি ভালোভাবে অভ্যাস করতে হবে।