বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
জাতীয় নীতি অনুযায়ী, শিক্ষার্থীদের দক্ষতা লিপিবদ্ধ করে রাখতে হবে। দেখতে হবে, একজন পড়ুয়া পড়াশোনায় বেশি ভালো না খেলাধুলোয়। শারীরিক গঠন অনুযায়ী, কোন খেলায় একজন ছাত্র বা ছাত্রীকে তৈরি করা যেতে পারে, তাও চিহ্নিত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শিক্ষকদের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে পড়ুয়ার পেশি শক্তি ভালো, তাকে সেরকম খেলার জন্য তৈরি করা হবে। আবার যে পড়ুয়া স্বল্প দূরত্বের দৌড়ে দক্ষ, তাদের স্প্রিন্ট-এ ট্রেনিং দেওয়া হবে। আর যাদের সহনশীলতা বেশি, তাদেরকে দূর পাল্লার দৌড়ের জন্য তৈরি করা হবে।
রাজ্যে শারীরশিক্ষার বিষয়টি প্রায় সব ক্লাসেই আছে। শুধু নবম এবং দশম শ্রেণীতে তা নেই। পড়ুয়াদের এমন রেকর্ড তৈরি রাখা হলে, আগামীদিনে সুবিধা হবে বলেই মনে করছেন শিক্ষকরা। কয়েকদিন আগে রাজ্যের ১২০ জন শারীরশিক্ষার শিক্ষককে পাঁচদিন ধরে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। কী করে ব্লাড প্রেশার মাপা যায়, বডি-মাস ইন্ডেক্স (বিএমআই) মাপে কী ভাবে, হার্ট রেট মাপা ইত্যাদি প্রক্রিয়াগুলি হাতে কলমে শেখানো হয়েছে তাঁদের। কয়েকটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়েও যাওয়া হয়েছিল ওই শিক্ষকদের। সেখানে প্রথমে চিকিৎসকরা ক্লাস নেন তাঁদের। শিক্ষকরা ঠিক মতো ক্লাস করলেন কি না, তাঁদের শেখাটা পূর্ণ হল কি না, তার পরীক্ষাও অবশ্য দিতে হয়েছে। রোগীরদের উপরও সেইসব যন্ত্র পরীক্ষা করা হয়েছে। তাঁরা সেসব ঠিক মতো করতে পারছেন কি না, তা দেখার জন্য সেখানে বিভিন্ন ডাক্তারও হাজির ছিলেন।
এবার এই শিক্ষকরা তাঁদের স্কুলে গিয়ে বাকি শারীরশিক্ষার শিক্ষকদেরও প্রশিক্ষণ দেবেন। প্রশিক্ষণে উপস্থিত বেশ কয়েকজন শিক্ষক বলেন, বাচ্চাদের সক্ষমতার পরিমাপ করার জন্য এই ট্রেনিং দরকার ছিল। এবার স্কুলে গিয়ে বাচ্চাদের সেই পরীক্ষা করতে সমস্যা হবে না। ছোট বয়স থেকেই যদি তাদের ট্যালেন্ট বের করা যায়, তাহলে আগামী দিনে যেমন ওই শিশুর ভালো হবে, তেমনই কোনও খেলায় প্রতিভাবান খেলোয়াড়ও পাওয়া যাবে। স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষা বিভাগের বিশেষজ্ঞ কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত এক সদস্য বলেন, শারীরশিক্ষা এখন আর শুধু বিনোদনমূলক খেলাধুলোতে আটকে নেই। এর এক বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সেই বৈজ্ঞানিক ভিত্তিকে কাজে লাগিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্রীড়া দক্ষতায় চিহ্নিতকরণ ও তার দুর্বলতা দূরীকরণ এবং তার সর্বোচ্চ ক্রীড়া দক্ষতার মানে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষেই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।