বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
এদিন পৌনে বারোটা নাগাদ কারখানার তিনতলা বিল্ডিংয়ের দোতলায় প্রথমে আগুন লাগে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, কারখানার ভিতরে শ্রমিকরা তখন কাজ করছিলেন। দোতলায় আগুন দাউ দাউ করে জ্বলতে শুরু করে। চোখের সামনে আগুন জ্বলতে দেখে অধিকাংশ শ্রমিক কাজ ছেড়ে ছুটে কারখানা থেকে বেরিয়ে আসেন। ম্যানেজার অতনু রায় বলেন, কারখানায় ১০০ জন কর্মী কাজ করেন। এদিন সকলেই কাজে যোগ দিতে এসেছেন। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে কর্মীরা নিজেদের মতো করে বাইরে বেরিয়ে যান। তিনতলায় কর্মীদের বের হওয়ার একটি দরজা বন্ধ থাকায় তিন-চার জন সেখানে আটকে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান চিত্তরঞ্জন মণ্ডল বলেন, আগুন লাগার কিছুক্ষণের মধ্যে আমি ঘটনাস্থলে যাই। সেই সময় সবে দুটি দমকলের ইঞ্জিন এসে কাজ শুরু করেছে। চোখের সামনে আগুন কারখানার চারিদিকে ছড়িয়ে পড়তে দেখি। তিনতলার একটি ঘরের ভিতর জানালা ভেঙে কেউ বের হওয়ার চেষ্টা করছিল। পরে, তাঁরা ফোন করে সহকর্মীদের জানান, তিনজন তিনতলার একটি ঘরে আটকে রয়েছে। কয়েকজন শ্রমিক আমাদের কাছে এসে বিষয়টি জানাই। স্থানীয় ক্লাবের ছেলেরা, দমকলের কর্মীরা মিলে তাঁদের নামানোর জন্য জানলার সঙ্গে আমরা মই লাগানোর ব্যবস্থা করেন। কিন্তু, ততক্ষণে আগুন নীচেরতলায় ছড়িয়ে পড়েছিল। দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে থাকায় মই দিয়ে তিনতলায় ওঠার অবস্থা ছিল না। ততক্ষণে তিনতলার ওই ঘরেও আগুন ধরে যায়। ফলে, বিকাল পর্যন্ত ওদের উদ্ধার করতে পারিনি। সঞ্জীব পাড়িয়া নামে কারখানার এক কর্মী আগুন লাগার পর থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। তাঁর বাবা নিমাই পাড়িয়া কারখানার সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। ছেলেকে উদ্ধার করার জন্য তিনি দমকল কর্মীদের কাছে আর্জি জানাচ্ছিলেন।
বিলকান্দা বোর্ডঘর এই শিল্পতালুকে কোনও পরিকাঠামো নেই বললেই চলে। রাস্তার অবস্থা অত্যন্ত বেহাল। ফলে, দমকল কর্মীদের আগুন নেভাতে গিয়ে চরম বেগ পেতে হয়। এমনিতেই শিল্পতালুকে যাওয়ার রাস্তাটি খুব বেশি চওড়া না হওয়ায় দমকলের গাড়ি ভিতরে ঢুকে কাজ করতে গিয়ে সমস্যা হচ্ছে। কারখানার আশপাশে লাইন দিয়ে একাধিক কারখানা থাকায় এদিন দুপুরের পর কারখানাগুলিতে কোনও উৎপাদন হয়নি। কারণ, অন্যান্য কারখানার কর্মীরা আতঙ্কে বেরিয়ে আসেন। আশপাশের জলের ব্যবস্থা না থাকায় দমকলের গাড়ি করে বারাসত, মধ্যমগ্রাম দফায় দফায় জল এনে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হয়। স্থানীয় লোকজনের বক্তব্য, শিল্পতালুকে কারখানার আশপাশের প্রচুর দাহ্য পদার্থ মজুত রয়েছে। ফলে, আগুন দ্রুত আশপাশের কারখানায় ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।