বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
এদিন রতুয়ার আমবাগানের সভায় মৌসম বলেন, প্রয়াত গনিখান চৌধুরী শুধু তো একটি রাজনৈতিক আদর্শ নয়, সামাজিক আদর্শও। তিনি জেলাকে সমন্বয়ের আদর্শে বাঁচতে শিখিয়েছিলেন। কিন্তু তা নষ্ট হচ্ছিল। এই প্রেক্ষাপট বুঝেই বারবার আমরা বলেছি, বিজেপি’কে রুখতে গেলে তৃণমূল কংগ্রেসকে লাগবে। কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বুঝলেও রাজ্য নেতৃত্ব একথা শোনেনি। আর মালদহে আমি তৃণমূলে যাওয়ার পর থেকে শুধুই ব্যক্তি কুৎসা করছে শতাব্দী প্রাচীন দলের কিছু নেতা। আরে মূল সমস্যা বিজেপি। তাদের কীভাবে রোখা হবে সে নিয়ে কোনও কথা বলছে না কেন? এখানেই ব্যক্তিগত স্বার্থ আর জেলার স্বার্থের প্রসঙ্গ আসে। আমি বিজেপি’কে রুখতে চাই, জেলাকে বাঁচাতে চাই, তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করতে চেয়েছি। ব্যক্তিগত কোনও স্বার্থ নেই, তাই ব্যক্তিগত আক্রমণ কখনও করিনি।
এদিন কংগ্রেসে ভাঙন প্রসঙ্গে মৌসম বলেন, লড়াই কোনও দলের, মতের, পতাকার নয়। লড়াই মানুষে মানুষে বিভাজন রুখে দেওয়ার। যে সমস্ত কংগ্রেসী মানুষ বুঝছেন যে বিজেপি’কে রুখতে হলে তৃণমূলকে শক্তিশালী করতে হবে, তারা আমাদের সঙ্গে আসছেন। এই ঢল আগামী দিনে আরও বাড়বে। এদিন রতুয়া-১ ব্লকের সভায় মৌসমের সঙ্গে একইসঙ্গে দলত্যাগী হেমন্ত শর্মা আরও আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে কংগ্রেসের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, যে সমস্ত কংগ্রেস কর্মীরা দল ছেড়ে আসছেন তাঁরাও জেলার জন্য ভাবছেন, নিজ এলাকার জন্য ভাবছেন। আর কংগ্রেসের একাংশের নেতা কেবল কুৎসা করতে ব্যস্ত। এথেকেই কংগ্রেসের কর্মী ও কতিপয় নেতার মধ্যে তফাত মানুষ বুঝে নিতে পারবে।
গত কয়েক দিন ধরেই মালদহের হবিবপুর, বামনগোলা, রতুয়া সহ একাধিক এলাকায় দলের তরফে কর্মিসভা শুরু করেছে কংগ্রেস। আর সভাগুলির প্রত্যেকটিতে কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্বের একাংশ মৌসম নুরের তেড়ে সমালোচনা করতে শুরু করেছেন। এই ব্যক্তি সমালোচনার প্রেক্ষিতেই এদিন রতুয়ার দু’টি সভাতেই মুখ খোলেন মৌসম। গত প্রায় ১৪ দিনে মৌসম কংগ্রেসের কোনও নেতার বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত সমালোচনা করেননি। কেবল দলের কৌশলগত ত্রুটি নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। তিনি বারবার বলে এসেছেন সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রুখতে হবে। এই প্রয়োজনেই তাঁর দল বদল। এদিন তিনি কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক হওয়ায় জেলায় চর্চা শুরু হয়েছে।