বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রি আড়ি বলেন, চিকিৎসকের ঘাটতি রয়েছে। তাই প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রে চিকিৎসক পাঠানো সম্ভব না হলেও বিশেষ মেডিক্যাল টিম থাকছে।
কন্যাশ্রী, রূপশ্রী প্রকল্প মেয়েদের আলাদা সামাজিক মর্যাদা এনে দিয়েছে। পড়াশোনার প্রতি তাদের ঝোঁক বেড়েছে। তার প্রমাণ, জেলায় মাধ্যমিক পরীক্ষায় ছাত্রীদের সংখ্যা বৃদ্ধি। বীরভূমের মতো পিছিয়ে পড়া জেলাতেও ছাত্রীদের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। কয়েক বছর আগেও জেলায় মাধ্যমিক পরীক্ষায় ছাত্রীদের সংখ্যা বেশ কম ছিল। এখন সেখানে ছাত্রদের তুলনায় বেশি সংখ্যায় ছাত্রীরা পরীক্ষা দিচ্ছে। জেলায় পুরুষ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৯৮৪৮ জন। সেখানে ছাত্রীর সংখ্যা ২৬৮৭৬ জন। মোট পরীক্ষার্থীর বিচারে যা ৫৭.৫ শতাংশ।
জেলায় শিক্ষার হার বাড়ছে ঠিকই তবে টুকলি করা নিয়ে এই জেলার যথেষ্ট বদনাম রয়েছে। বিশেষ করে রামপুরহাট মহকুমার একাধিক স্কুলে কখনও মোবাইল উদ্ধার তো কখনও সিভিক ভলান্টিয়ারদেরও টুকলি সরবরাহ করতে দেখা গিয়েছে। এবার সেদিকে কড়া নজরদারি রাখা হচ্ছে। এবারই প্রথম প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রে একজন করে প্রশাসনিক আধিকারিক ভেনু ইনচার্জের দায়িত্ব সামলাবেন। তিনি ছাড়াও প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে অফিসার্স ইনচার্জ থাকবেন, যিনি এসআই বা এআই পদমর্যাদার হবেন। এছাড়াও সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক বা টিআইসি সেন্টার সেক্রেটারি বা ভেনু সুপার ভাইজারের দায়িত্ব সামলাবেন। সেই সঙ্গে থাকবেন অ্যাডিশনাল ভেনু সুপার ভাইজার। এই চারজন ছাড়া কেউ মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন না।
অন্যদিকে, রামপুরহাট মহকুমার ৮টি, বোলপুরের ৩টি ও সিউড়ির ৬টি পরীক্ষাকেন্দ্র স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। সেখানে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকছে। বেশ কিছু স্কুলের জানলায় নেট লাগানো হয়েছে। এদিকে পর্ষদের দাবি, এবারই প্রথম দূরের পরীক্ষাকেন্দ্রগুলির জন্য বিশেষ গাড়ির ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়াও সরকারি ও বেসরকারি বাসগুলি সঠিক সময়ে চালানো এবং পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনে স্টপেজ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বেশকিছু ক্ষেত্রে মানবিক মুখের পরিচয় দিয়েছে পর্ষদ। মুরারইয়ের নুর আলম শেখের দুর্ঘটনায় হাত ও পায়ের আঙুল কেটে দিয়েছে। শেষ মুহূর্তে তার জন্য রাইটারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বোলপুরের সুদীপা দাস ডাউন সিনড্রমে আক্রান্ত। তার জন্য একটি বিশেষ রুমের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। লাভপুরের যাদবলাল হাইস্কুলের মাধাই মেটে চিকেন পক্সে আক্রান্ত। তার আলাদা রুমে পরীক্ষা নেওয়া হবে। এছাড়াও রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে একজন ও সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে একজনের পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মাধ্যমিক পরীক্ষার জেলা কনভেনার প্রলয় নায়েক বলেন, আমরা সব রকম ব্যবস্থা করেছি। আশাকরি পরীক্ষার্থীদের কোনও সমস্যা হবে না। এসবিএসটিসির সিউড়ি ডিপোর ইনচার্জ তাপস মুখোপাধ্যায় বলেন, মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় মতো বাস চলাচলের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার্থীরা যেখানে উঠতে বা নামতে চাইবে সেখানে স্টপেজ না থাকলেও বাস থামবে।