বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
তনুশ্রী কোটাসুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দিত। তার সিট পড়েছিল লোকপাড়া হাইস্কুলে। এদিন বিকেলে সে মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য বাড়ি থেকে সাইকেল চালিয়ে কোটাসুর বাজারে ব্যাগ কিনতে এসেছিল। ফেরার সময় কোটাসুর মোড়ের কাছে একটি ডাম্পারকে পাশ দিতে গিয়ে রাস্তার ধারে পড়ে থাকা বালিতে সাইকেলের চাকা গড়িয়ে গেলে সে পড়ে যায়। সেই সময় পিছন দিক থেকে আসা একটি বালি বোঝাই ডাম্পার তার মাথার উপর দিয়ে চলে যায়। ঘটনাস্থলেই ওই ছাত্রীর মৃত্যু হয়। স্থানীয় মানুষ দৌড়ে এলে বেগতিক বুঝে রাস্তার উপর ডাম্পার দাঁড় করিয়ে চম্পট দেয় চালক ও খালাসি। উত্তেজিত জনতা ডাম্পারটিতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। পরে পথ অবরোধ করে।
খবর পেয়ে প্রায় আধঘণ্টা পর পুলিস অবরোধ তুলতে গেলে উত্তেজিত জনতার বিক্ষোভের মুখে পড়ে। মৃতদেহ তুলতে পুলিসকে বাধা দেওয়া হয়। ক্ষিপ্ত মানুষজন তাড়া করলে পিছু হটতে বাধ্য হয় পুলিস। পরে বিশাল পুলিস বাহিনী গিয়ে জনতাকে লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায়। পরে লাঠিচার্জও করে বলে অভিযোগ। এরপরই জনতা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তারাও পুলিসকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছোঁড়ে বলে অভিযোগ। এরপর পুলিস বেশ কয়েকটি কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায় বলে পাল্টা অভিযোগ গ্রামবাসীদের। বেশ কিছুক্ষণ ধরে পুলিস ও জনতার মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ চলে।
এদিকে কন্যাসন্তানকে হারিয়ে দিশেহারা অবস্থা বাবা দীনবন্ধু দাসের। তিনি অঝোরে কেঁদে চলেছেন। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মানিকলাল দাস বলেন, দুঃস্থ পরিবারের কন্যা ছিল তনুশ্রী। খবরটা শোনার পর থেকে মন খারাপ হয়ে গিয়েছে। আজ, মঙ্গলবার জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় বসত। তার আগে ব্যাগ কিনতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে প্রাণ হারাল। খুবই দুঃখজনক ঘটনা।