বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
প্রযোজক দেবের রূপকথার ছবি ‘হবুচন্দ্র রাজা গবুচন্দ্র মন্ত্রী’ নিয়ে খবর বর্তমানে আগেই প্রকাশিত হয়েছে। দেবের পুজোর ছবি ‘পাসওয়ার্ড’ও চর্চিত। যেটি পরিচালনা করছেন কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়।
ফ্যান্টাসির দুনিয়ায় নিজেকে কিছুতেই ‘দেখতে পাননি’ দেব। তাই রাজার শিরোস্ত্রাণ ও মন্ত্রীর পাদুকা দুটোই বিলিয়ে দিয়েছেন যথাক্রমে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় ও খরাজ মুখোপাধ্যায়কে। বোম্বাগড়ের রানির রত্নখচিত সিংহাসনকে অবহেলায় প্রত্যাখ্যান করেছেন দেবের গার্লফ্রেন্ড রুক্মিণীও। নতুন নায়িকার খোঁজে এখনও হন্যে প্রযোজক দেব ও পরিচালক অনিকেত চট্টোপাধ্যায়। তাঁর আশ্বাসেই কবীর সুমনের মতো ‘মেজাজি’ সুরকারকে ‘হবুচন্দ্র...’র মিউজিকের দায়িত্ব দেওয়ার ‘সাহস’ দেখিয়েছেন দেব। সেক্টর ফাইভের ব্যাঙ্কোয়েটে জোড়া ছবির ঘোষণা লগ্নে সঙ্গীত পরিচালক তাই কসুর করলেন না কৃতজ্ঞতা প্রকাশে। জানালেন, তিনি খেয়াল অঙ্গেই সাজাচ্ছেন হবুচন্দ্র রাজা গবুচন্দ্র মন্ত্রীর সঙ্গীত। রাঘব চট্টোপাধ্যায় ছাড়া নিজেও গাইছেন। ছবির শ্যুটিং হবে হায়দরাবাদে, ‘বাহুবলী’র সেটে। সব শুনে হবুচন্দ্র শাশ্বত বলেন, ‘একটু টেনশনে আছি। তবে পারব বলেই ধারণা।’
‘পাসওয়ার্ড’ ছবি নিয়ে উত্তর দিলেন কমলেশ্বর। ছবির বিষয় সাইবার ক্রাইম। সাধারণ সাইবার সমাজ যে ইন্টারনেট ব্যবহার করে, তাকে বলা হয় সারফেস ইন্টারনেট। তা ব্যবহার করে মাত্র পনেরো শতাংশ মানুষ। আর বাকি পঁচাশি শতাংশ ব্যবহৃত হয় অপরাধমূলক কাজে। সেই ‘ডার্ক ইন্টারনেট’ নিয়েই দেবের ‘পাসওয়ার্ড’। কেন একজন সাইবার শয়তান হয়ে ওঠে, অদৃশ্য অপরাধীদের চিহ্নিত করার চুলচেরা তত্ত্বতালাশই উঠে আসবে রাণা মুখোপাধ্যায়ের চিত্রনাট্যে।
টলিউডের হুজ-হুরা দেব-কমলেশ্বরের সাইবার সঙ্গী। দেবের দাবি, ‘পাসওয়ার্ড বাংলায় প্রথম সায়েন্স ফিকশন ফিল্ম।’ সেক্ষেত্রে ছবির পাত্র-পাত্রী নির্বাচনে কোনও সমঝোতা করতে চাননি প্রযোজক। পরমব্রত, পাওলি, আদৃত এবং দেব-রুক্মিণী’র মতো হেভিওয়েট মুখগুলোকে নিয়ে সেলুলয়েডের সাইবার সংসার সাজাতে চলেছেন তিনি। সুরে আছেন স্যাভি।
ছবির গল্প নিয়ে কেউ মুখ না খুললেও আভাস পাওয়া গেল পরমব্রতর কথায়, যখন তিনি বলেন, ‘বর্তমানে রাজনীতি কিন্তু আসলে ইন্টারনেট। এই অন্তর্জাল কিন্তু একটা দেশের শাসনতন্ত্রকে প্রভাবিত করতে পারে।’ ছবির ‘মারিয়াম মুক্তিয়ার’ পাওলি দাম তার সঙ্গে যোগ করলেন ‘আন্ডারকভার এজেন্ট’, ‘হ্যাকিং’-এর প্রসঙ্গ। এগুলি তাঁর কাছে ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’ ও ‘প্রাসঙ্গিক’ বিষয়। রুক্মিণী মৈত্র এই ছবিতে ‘রিয়া’। পাওলি-পরমব্রতর পাশে অভিনয় করার ব্যাপারে খুব টেনশনে। আর আদৃত (অ্যাডি) আপ্লুত গোটা বিষয় ও টিম নিয়ে।
‘অন্যরকম চরিত্র, অন্য রকম গল্প, যা এর আগে বাংলা ছবিতে করার কেউ সাহস দেখাননি। ঝুঁকি নিচ্ছি।’ আত্মবিশ্বাসী শোনায় ‘পাসওয়ার্ড’-এর রোহিত তথা দেবের গলা। যে কণ্ঠস্বরে আবার একজন বেপরোয়া প্রযোজকেরই প্রতিধ্বনি। সেই জোশেই সদ্য বইমেলায় প্রকাশিত ‘কেবিসি’ বইটি নিয়ে সিনেমা তৈরির পরিকল্পনার কথাও জানালেন দেব। ‘বইটা এখনও পড়িনি। বই এক জিনিস, সিনেমা অন্যরকম। এখনও সিদ্ধান্ত নিইনি। তবে বিষয়টা মন্দ নয়। সিনেমা হতেই পারে।’