বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
নলহাটির এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘কমিউনিটি সার্ভিস’ প্রকল্পে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহে উদ্যোগী হয়। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ধরনের প্রকল্পের আনুমানিক খরচ হয় লক্ষাধিক টাকা। সেই মতো স্কুল চত্বরে তৈরি হয় রিজার্ভার। রিজার্ভারের চারিদিকে লাগানো হয় কল। তার গায়ে বসানো হয় টাইলস। ঠিক হয় বাইরে থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে পরিস্রুত পানীয় জল জমা করা হবে রিজার্ভারে। কিন্তু, বর্তমানে সেই রিজার্ভার কোনও কাজেই লাগে না। কারণ, নির্মাণের আড়াই বছর পরও সেখানে জল এসে পৌঁছয়নি।
কুরুমগ্রাম বালক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১২২ জন ছাত্র পড়াশোনা করে। জলের উৎস বলতে স্কুল চত্বরে থাকা একটি মাত্র টিউবওয়েল। সেই টিউবওয়েল স্কুলপাড়ার বাসিন্দারাও পানীয় জল সংগ্রহ করে থাকে। মিডডে মিল খাওয়ার আগে পরে সাবান দিয়ে হাত ধোওয়া ও থালা ধুতে টিউবওয়েল ব্যবহার করে ছাত্ররা। কিন্তু, ছাত্র সংখ্যা বেশি হওয়ায় সময় লাগে। অথচ ছাত্রদের জন্য পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছে দিতে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর থেকে রিজার্ভার তৈরি করে পাইপ লাইনের মাধ্যমে জল দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু, তা এখনও কার্যকর হয়নি। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে মিডডে মিল খাওয়া থেকে, শৌচালয় ব্যবহারে উপকৃত হবে ছাত্র ও শিক্ষকরা।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক সন্দীপকুমার রায় বলেন, রিজার্ভার চালু করার ব্যাপারে বেশ কয়েকবার জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরে জানানো হয়েছে। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত তা চালু হয়নি। ফলে স্কুল চত্বরের একমাত্র জলের উৎস টিউবওয়েলে লাইন দিয়ে পানীয় জল সংগ্রহ করতে হয় ছাত্রদের। রামপুরহাট মহকুমা পিএইচই’র অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার সুরজ চৌধুরী বলেন, ওই স্কুলে প্রকল্প চালু করতে গিয়ে দেখা গিয়েছে, পাইপ লাইনের মাধ্যমে জল রিজার্ভার পর্যন্ত এসে পৌঁছয় না। কারণ, যে পাড়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়টি আছে সেখানে জল কম যায়। এই কারণে স্কুলে পানীয় জলের সংযোগ করে দেওয়ার ক্ষেত্রেও সমস্যা হচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা ওই স্কুলে সাবমার্সিবল পাম্প বসাতে চেয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছি। সেই পাম্পের মাধ্যমে জল তুলে রির্জাভারে রাখা হবে। সেখান থেকে ট্যাপ কলের মাধ্যমে পানীয় জল সংগ্রহ করতে পারবে ছাত্ররা। অনুমোদন পেলেই সেই কাজ শুরু করব। গ্রামবাসীরা অবশ্য জানাচ্ছেন, পাইপলাইন থেকে অবৈধভাবে অধিকাংশ বাড়িতে জলের সংযোগ করে নেওয়া হয়েছে। সেই কারণে স্কুলের রিজার্ভার পর্যন্ত জল যাচ্ছে না।