বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
শনিবার রাতে নিজের বাড়ির সামনের মাঠে সরস্বতী পুজোর মণ্ডপের কাছে খুন হন কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস। এদিন নিহত বিধায়কের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে সংসদ সদস্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আসছেন বলে খবর আগে থেকেই চাউর হয়েছিল এলাকায়। তাই হাজার হাজার মানুষ রাস্তার দু’ধারে জড়ো হয়েছিলেন। ফুলবাড়ির সরস্বতী পুজোর মাঠ থিকথিক করছিল ভিড়ে। অনেকে পোস্টার হাতে দাঁড়িয়ে পড়েন। পোস্টারে লেখা, ‘মূল অভিযুক্ত অভিজিৎ পুণ্ডারীকে গ্রেপ্তার করতে হবে। সত্যজিৎ বিশ্বাসের খুনিদের শাস্তি চাই।’
নিহত বিধায়কের বাড়িতে সকাল থেকেই হাজির হন তৃণমূলের জেলা নেতারা। রাজ্যের কারামন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস থেকে জেলা পরিষদের সভাধিপতি রিক্তা কুণ্ডু, জেলার কার্যকরী সভাপতি অজয় দে সহ অন্যান্য নেতানেত্রীরা। হাজির হন জেলার পুলিস সুপার রূপেশ কুমার, জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা সহ অন্যান্য প্রশাসনিক কর্তারাও। নিহত বিধায়কের বাড়ি নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়। দুপুর ১টা ২২মিনিটে বিধায়কের বাড়িতে পৌঁছন অভিষেক। তাঁর গাড়িতেই আসেন দলের জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত। বাড়িতে ঢুকেই সত্যজিৎ বিশ্বাসের ছবিতে মাল্যদান করেন অভিষেক। এরপর জেলা নেতাদের নিয়ে বাড়ির অন্দরে যান তিনি। নিহত বিধায়কের স্ত্রী, মা ও অন্যান্য আত্মীয়দের সঙ্গে কথা বলেন অভিষেক। ৪২মিনিট বাড়ির মধ্যে ছিলেন তিনি। নিহতের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে বের হন।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিষেক বলেন, অত্যন্ত মর্মান্তিক এবং বেদনাদায়ক ঘটনা ঘটেছে। যারা এই কাজ করেছে, তারা আইনের চোখে দোষী। তারা এইটুকু দেখল না বিধায়কের একটি ছোট্ট সন্তান রয়েছে! তিনি মানুষের পাশে দাঁড়াতেন, তিনি গ্রাসরুট থেকে উঠে এসেছিলেন। প্রধান থেকে পঞ্চায়েত সমিতি, তারপর বিধায়ক, তাঁর একটা আলাদা জনপ্রিয়তা ছিল। রাজনৈতিক রোষের কারণে প্রতিপক্ষরা এই কাজ করেছে।
এফআইআরে মুকুল রায়ের নাম থাকা প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, সত্যজিতের সর্বক্ষণের ছায়াসঙ্গী মিলনরা, তাঁরা মনে করেন মদত রয়েছে, সেজন্য এফআইআর করেছেন। পুলিস এফআইআরের ভিত্তিতে তদন্ত চালাচ্ছে। এটা তদন্ত সাপেক্ষ বিষয়। আমার মনে হয়, যত কম বলা হয়, তত ভালো। নইলে বলবে তদন্তকে প্রভাবিত করছে।প্রশাসনের উপর আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। অভিযুক্ত অভিজিৎ পুণ্ডারী আরএসএসের লোক। ওর মা বলেছে, আমার ছেলে বিজেপি করে। এরপরেও বলছে সত্যজিৎ গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের শিকার। এদের লজ্জা লাগে না? দিলীপবাবু ৩ মাস আগে উত্তর ২৪ পরগনায় ও মেদিনীপুরে ভাষণ দিয়েছেন, অনাথ করে দেব। আজকে সেই অনাথ করার বক্তব্যের প্রতিফলন। আমাদের দলে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই।
সত্যজিৎ খুনের ঘটনায় দলের তরফে দায়িত্ব নিয়েছেন অভিষেক। তিনি বলেন, আমি দলের তরফে দায়িত্ব নিয়েছি। প্রশাসনকে তদন্ত করতে বলা হয়েছে। আমি নিজে এর পিছনে লেগে আছি। এই ঘটনায় কেউ ছাড়া পাবে না। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার পর ফুলবাড়ি মাঠে যান অভিষেক।
এদিকে, রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী সোমবার এক বিবৃতিতে বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের খুনের ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন। নিহতের পরিবারের প্রতি তিনি সমবেদনা জানিয়েছেন।