বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
মালিকদের অভিযোগ, এখানে কোনও স্থায়ী বাসস্ট্যান্ড না থাকার কারণে রাস্তার ধারে বাস দাঁড় করিয়ে চালক ও খালাসিরা খেতে বা টয়লেটে যান। কিন্তু, এই সময় বাস দাঁড় করিয়ে রাখায় পুলিস বাসগুলির বিরুদ্ধে কেস দেয়। এদিন এদিন সকালে বঙ্কিম সেতুর উপর একটি বাস পার্কিং করে টয়লেটে গিয়েছিলেন চালক সঞ্জয় রাজবংশী। এর জন্য ট্রাফিক পুলিস কেস দিতে গেলে চালকের সঙ্গে বচসা বাধে। তখন এক ট্রাফিক পুলিস ওই চালককে মারধর করেন বলে অভিযোগ। ওই চালককে হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরপরই হাওড়া ময়দান থেকে সমস্ত রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেন মালিকরা। তাঁদের অভিযোগ, নিয়মিত এইভাবে জুলমবাজি চলে।
যদিও পুলিস এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাঁদের অভিযোগ, বঙ্কিম সেতুর উপর কোনও বাস রাখা যাবে না বলে আগেই নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছিল। এমনিতেই এখন মেট্রো রেলের কাজের জন্য ময়দান এলাকায় রাস্তা খুবই অপরিসর হয়ে গিয়েছে। তার জন্য যানজট হচ্ছে। তার উপর বাসগুলি খেয়ালখুশি মতো রাস্তার ধারে রেখে দেওয়া হচ্ছে। এতে লোকজনের চলাচলে খুবই অসুবিধা হচ্ছে। এর আগেও জিটি রোডে বাসগুলি যেখানে সেখানে দাঁড়ানো নিয়ে সাধারণ মানুষ প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত ছিলেন। এছাড়াও ময়দানে বঙ্কিম সেতুর ওঠার মুখেও বাসগুলি দীর্ঘক্ষণ দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। তার ফলে সেখানে যানজট হয়। এই নিয়ে পুলিস মাঝেমধ্যেই অভিযান চালায়। কিন্তু, এদিন হঠাৎ করে ময়দান থেকে সমস্ত রুটের বাস বন্ধ করে দেওয়ায় যাত্রীরা চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, বাসগুলি কোনও নিয়মের তোয়াক্কা করে না। অথচ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গেলেই তারা সাধারণ মানুষকে ভোগান্তির মধ্যে ফেলে পালটা আন্দোলনে যাবে। এবার বাসগুলির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন যাত্রীরা।