বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে মালদহ উত্তর লোকসভা কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের প্রতীকে জেতেন মৌসম নুর। তিনি নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএমের খগেন মুর্মুকে ৬৫ হাজার ৭০৫ ভোটে পরাজিত করেন। লক্ষ্যণীয়ভাবে ওই কেন্দ্রে তৃণমূল তৃতীয় স্থানে থাকলেও চতুর্থ স্থানে থাকা বিজেপি’র সঙ্গে তাঁদের ভোট পার্থক্য ছিল মাত্র ১৮ হাজারের।
এদিকে দক্ষিণ মালদহ বিধানসভা কেন্দ্রে কংগ্রেসের প্রতীকে জেতেন আবু হাসেম খান চৌধুরী (ডালু)। তিনি প্রায় ১ লক্ষ ৬৪ হাজার ভোটের ব্যবধানে হারান বিজেপি প্রার্থী বিষ্ণুপদ রায়কে। সেখানে তৃতীয় স্থানে সিপিএমের আবুল হাসনাত খান ও চতুর্থ স্থানে তৃণমূলের মোয়াজ্জেম হোসেন ছিলেন।
এবার বিজেপি নেতৃত্বের ধারণা, মালদহে নিশ্চিতভাবে সাফল্য পাবে দল। তাই তারা গা ঝাড়া দিয়ে নেমে পড়েছে। ২০১৪ সালে যে আসনে চতুর্থ স্থানে ছিল বিজেপি সেই উত্তর মালদহ আসন এবার তারা জিতবে বলে দাবি করেছে জেলা নেতৃত্ব। দক্ষিণ মালদহ আসনকেও বাদ রাখছে না। জেলা বিজেপি’র এক প্রবীণ নেতা বলেন, ২০১৪ সাল বা ২০১৬ সাল ভুলে যান। উত্তর মালদহে এবার আমরাই জিতছি। দক্ষিণ মালদহেও জয়ের জন্য দল ঝাঁপাচ্ছে। ২০১৪ সালে এখানে আমরা দ্বিতীয় ছিলাম। এবার লক্ষ্য প্রথম স্থান। কোন অঙ্কে তিনি এই দাবি করছেন তার ব্যাখ্যা অবশ্য দিতে চাননি। উল্লেখ্য, গত বিধানসভা নির্বাচনে অনেককেই অবাক করে দক্ষিণ মালদহের বৈষ্ণবনগর বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি জিতে যায়।
বিজেপি জানিয়েছে, সম্প্রতি অমিত শাহের জনসভা মেগা হিট হয়েছে। ফেব্রুয়ারি থেকে পরপর মালদহে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক নেতারা আসতে শুরু করবেন। তালিকায় দলের সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক শিবপ্রকাশ, রাজ্যের সহকারী পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেননের পাশাপাশি কৈলাস বিজয়বর্গীয় রয়েছেন। মেনন ইতিমধ্যেই দু’বার জেলা ঘুরে গিয়েছেন। এরা কেউই প্রকাশ্য জনসভা করবেন না। জেলা থেকে পঞ্চায়েতস্তর পর্যন্ত দলীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গেই মূলত বৈঠক করবেন। বৈঠকের লক্ষ্য হল এলাকার রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে উত্তর ও দক্ষিণ মালদহে আলাদা রণনীতির পরিকল্পনা করা।
বিজেপি’র জেলা সভাপতি সঞ্জিত মিশ্র বলেন, আমরা লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছি। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে সমন্বয় রেখেই কাজ হচ্ছে। মালদহের দু’টি লোকসভা কেন্দ্রই এবার দখল করছি আমরা। বিজেপি’র এই দাবিকে ‘দিবাস্বপ্ন’ বলে পরিহাস করেছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি দুলাল (বাবলা) সরকার বলেন, স্বপ্নের পোলাওয়ে যত ইচ্ছে ঘি ঢালুক ওরা। মালদহের দুটি লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা। এদিকে বিজেপি ও তৃণমূলের দাবি উড়িয়ে মালদহ কংগ্রেসের নতুন সভাপতি মোস্তাক আলম বলেন, এই জেলা কংগ্রেসের। ১৯৮০ সাল থেকে মানুষ শুধু হাত প্রতীককেই চেনে। এবারও ব্যতিক্রম ঘটবে না।