বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, দশটির বেশি ট্রলি রয়েছে। গুরুতর অসুস্থ রোগীকে জরুরি বিভাগ থেকে নির্দিষ্ট বিভাগে নিয়ে যেতে ট্রলিগুলি ব্যবহার হয়। সেই ওয়ার্ডগুলিতে চিকিৎসার প্রয়োজনে অন্য জায়গায় নিয়ে যেতে অ্যাম্বুল্যান্স পর্যন্ত রোগীকে আনতেও ট্রলি ব্যবহার করতে হয়। হাসপাতালে একটি ট্রলি বর্তমানে খারাপ হয়ে রয়েছে। বাকিগুলি ঠিক থাকলেও তা টেনে নিয়ে যাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কোনও কর্মচারী নেই। প্রসূতি বা দুঘর্টনার শিকার রোগীকে হাসপাতালের নির্দিষ্ট ওয়ার্ডে নিয়ে যেতে সমস্যায় পড়তে হয় রোগীর আত্মীয়স্বজনদের। প্রসূতিদের সঙ্গে বাড়ির মহিলারাই বেশি আসেন। তাই অসুস্থ প্রসূতিকে ট্রলি করে নিয়ে যেতে সমস্যায় পড়তে হয়। দুঘর্টনাগ্রস্থ কোনও রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে সমস্যায় বেশির ভাগ সময়ে সমস্যায় পড়তে হয়। রোগীর সঙ্গে একজন বাড়ির লোক থাকলে তাঁর পক্ষে ট্রলি টানা সম্ভব হয় না। ওয়ার্ডে ভর্তি হওয়ার পর রোগীর এক্স-রে সহ বিভিন্ন পরীক্ষানিরীক্ষা করাতে হাসপাতালের বাইরে নিয়ে যেতে হয়। সেক্ষেত্রে ট্রলির প্রয়োজন হয়। অথচ ট্রলি টানার জন্য হাসপাতালে সর্বক্ষণের দু’জন গ্রুপ ডি কর্মচারী থাকা প্রয়োজন। ট্রলি টানার লোক না পেয়ে অনেক আত্মীয় ক্ষোভপ্রকাশ করেন। এক হাতে স্যালাইন ধরে অন্য হাতে ট্রলি টানতে বেগ পেতে হয় রোগীর আত্মীয়দের। বর্তমানে হাসপাতালে ৩২ জন গ্রুপ ডি কর্মচারী রয়েছেন। এই সংখ্যাটি বরাদ্দ কর্মচারীর চেয়ে অর্ধেকের কম। একজন গ্রুপ ডি কর্মচারীর হাসাতালে বিভিন্ন কাজ করতে হয়। রেজিস্ট্রার বই পূরণ করা থেকে আরও অনেক কাজ করতে হয়। ট্রলি টানার জন্য নির্দিষ্ট কোনও কর্মচারী বরাদ্দ নেই। এই কারণে সমস্যা প্রকট হয়েছে।
হাসাপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রুপ ডি কর্মী ছাড়াও প্রচুর পরিমাণে চিকিৎসকের সংকট রয়েছে হাসপাতালে। হাসপাতালে অস্থি বিশেষজ্ঞ নেই। জেনারেল ডিউটি করার মতো মেডিক্যাল অফিসার হাসপাতালে একজনও নেই। ব্লাড ব্যাঙ্কের জন্য কোনও নির্দিষ্ট চিকিৎসক নেই। প্যাথোলজিস্টের সংখ্যাও মাত্র একজন। কর্মী সংকটের কারণে চিকিৎসা পরিষেবা ব্যহত হচ্ছে।