বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
সংস্কারের কাজ হলেও এখনই শিলিগুড়ি টাউন স্টেশনের ঐতিহাসিক স্মৃতি নিয়ে কোনও মিউজিয়াম তৈরির ভাবনা নেই রেলের। ঐতিহ্য ও আকর্ষণ ফিরিয়ে আনার জন্য এই স্টেশনকে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করার কথাও এই মুহূর্তে ভাবছে না রেল। ফলে স্টেশন সংস্কারের কাজ হলেও তাতে শিলিগুড়ি টাউন স্টেশনের হেরিটেজ বিল্ডিং চত্বরে ভবঘুরে ও দুষ্কৃতীদের আড্ডা বন্ধ হবে কি না তা বলতে পারছেন না রেল আধিকারিকরা। স্থানীয়দের মতে, দীর্ঘ অবহেলায় ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়ে থাকা এই হেরিটেজ স্টেশনকে বাঁচাতে হলে ভবঘুরে ও দুষ্কৃতীদের দখল থেকে এই স্টেশনকে পুরোপুরি মুক্ত করতে হবে।
কারণ শতাব্দী প্রাচীন শিলিগুড়ি টাউন স্টেশন বিখ্যাত মনীষী, বিপ্লবী ও দেশবরেণ্য বিশিষ্টজনদের পদধূলিতে ধন্য হয়েছে। সেই সঙ্গে নানা ঐতিহাসিক মূল্যবান স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে এই টাউন স্টেশনের বিশ্রামাগার, হুইলার ও রেস্তরাঁর সঙ্গে। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ২১ বছর বয়সে শিলিগুড়ি টাউন স্টেশন থেকে দার্জিলিং গিয়েছিলেন টয়ট্রেনে চেপে। এরপর একাধিকবার বিশ্বকবি শিলিগুড়ি টাউন স্টেশনে পা রেখেছেন। টয়ট্রেনে চেপে দার্জিলিং যাতায়াতের পথে শুধু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরই নন, এসেছেন আরও অনেক দেশবরেণ্য ব্যক্তি। সেই তালিকায় রয়েছেন বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসু, প্রশান্তচন্দ্র মহলানবীশ, ভগিনী নিবেদিতা, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন, মহাত্মা গান্ধী, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এরকম আরও অনেক স্মরণীয় ব্যক্তি।
এই স্মৃতিকে অবলম্বন করে শিলিগুড়ি টাউন স্টেশনে একটি মিউজিয়াম তৈরির দীর্ঘদিনের দাবি রয়েছে শহরের নাগরিকদের। এই মনীষীদের ছবি দিয়ে স্টেশন চত্বর সাজিয়ে তোলার পাশাপাশি ঐতিহাসিক স্মৃতি বিজড়িত এই স্টেশনের রেস্তরাঁটি বাণিজ্যিক দৃষ্টিভঙ্গিতে চালু করার প্রস্তাবও বিভিন্ন সময়ে দিয়েছেন ট্যুর অপারেটররা। তাঁদের কথায়, মিউজিয়াম বানিয়ে গোটা স্টেশনকে সুন্দর করে সাজিয়ে এবং সাবেকিয়ানা বজায় রেখে এই রেস্তরাঁ চালু করা হলে তা শহরের একটি দ্রষ্টব্য জিনিস হবে। যা স্থানীয়দের পাশাপাশি পর্যটকদেরও টানবে।
এডিআরএম বলেন, খুবই ভালো প্রস্তাব। রেলেরও অনেক কিছু ভাবনা রয়েছে। কিন্তু আমাদের ধাক্কা খেতে হচ্ছে জবরদখলের কাছে। কেননা এই প্রস্তাব মতো সাজিয়ে তোলার পর মানুষকে এখানে আসার রাস্তাই যদি না দিতে পারি তাহলে কেউ আসবে না এখানে। কেননা গোটা স্টেশনটি চারপাশ দিয়ে জবরদখল হয়ে রয়েছে। তাতে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হয়েছে। আর জেলা প্রশাসন এখানে এই জবরদখল উচ্ছেদের জন্য রেলের সঙ্গে কোনও সহযোগিতা করছে না। সহযোগিতার জন্য চিঠির পর চিঠি দিয়েও জেলা প্রশাসনের থেকে কোনও সাড়া পাওয়া যায় না। তাই রেল তার সাধ্যের মধ্যে যেটুকু করার করে দেবে।