বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
এদিন মালদহের ইংলিশবাজার ব্লকের নঘরিয়া এলাকায় কালিন্দ্রী নদীর উপরে ১১১.০৪ মিটার সেতুর শিলান্যাস করেন মন্ত্রী। অনুষ্ঠানে মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল, জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য সহ দুই প্রাক্তন মন্ত্রী এবং ইংলিশবাজারের বিধায়ক হাজির ছিলেন।
মন্ত্রী জানান, এই সেতুটি নির্মাণ করতে প্রায় ১০ কোটি টাকা খরচ হবে। তিনি বলেন, নরহাট্টা, নঘরিয়া, ফুলবাড়িয়া প্রভৃতি এলাকার হাজার হাজার বাসিন্দাদের জন্য এই সেতুটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ছিল। শিলান্যাস অনুষ্ঠানে সাধারণ মানুষের বিপুল উপস্থিতি দেখে আপ্লুত হয়ে পড়েন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী। তিনি বলেন, এর আগেও আমি একাধিকবার এই এলাকাটি পরিদর্শন করতে এসেছিলাম। সাধারণ মানুষ অসুবিধার মধ্যে ছিলেন তা অনুভব করেছি। এই সেতুটি অন্তত ৩০ বছর আগে তৈরি হওয়া উচিৎ ছিল।
মন্ত্রী জানান, দু’বছর আগে গ্রামীণ এলাকা পরিকাঠামো উন্নয়ন তহবিল থেকে এই সেতুটি তৈরির জন্য আট কোটি টাকা মঞ্জুর হয়েছিল। কিন্তু পরে দেখা যায় এর নির্মাণে অতিরিক্ত অর্থ প্রয়োজন। সেই কারণে দপ্তর এগিয়ে এসেছে। আমরা চাই দ্রুত এই সেতুর কাজ শেষ হোক। ইংলিশবাজারের বিধায়ক নীহার ঘোষ বলেন, এই সেতু তৈরি হলে দু’প্রান্তের ৩০-৪০ হাজার মানুষ উপকৃত হবে। গ্রামীণ এলাকাগুলি থেকে জেলা সদর ইংলিশবাজারে পৌঁছনোর ক্ষেত্রেও সময় অনেকটা কম লাগবে।
নঘরিয়া সেতু ছাড়াও সোমবার গাজোল ব্লকের সালাইডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের ইমামনগরে আরেকটি সেতুর শিলান্যাস করেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে উত্তর মালদহের সাংসদ মৌসম নুর, সভাধিপতি এবং গাজোলের বিধায়ক দিপালী বিশ্বাস সহ অন্যান্যরা হাজির ছিলেন। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, মরা টাঙ্গন নদীর উপরে এই সেতুটি নির্মাণ করতে খরচ হবে প্রায় সাড়ে ২৯ লক্ষ টাকা।
গাজোলের বিধায়ক বলেন, এই সেতুটির নির্মাণ সম্পূর্ণ হলে অন্তত ৩০ হাজার মানুষ উপকৃত হবেন। এই ব্রিজের উপর দিয়ে সালাইডাঙা, চাকনগর এবং রানিনগর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের একাংশ বাসিন্দারা নিয়মিত যাতায়াত করতে পারবেন। উল্লেখ্য, প্রায় দু’মাস আগে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর থেকে এই সেতু নির্মাণের অনুমোদন মিলেছিল।
একই সঙ্গে এদিন হরিশ্চন্দ্রপুর ১ এবং ২ ব্লকের মধ্যে ফতেপুর থেকে তালবাংরুয়া, হরদমনগর হয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর হাইস্কুল পর্যন্ত পাকা রাস্তার নির্মাণ কাজেরও সূচনা করেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই রাস্তাটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১৬ কিলোমিটার। রাস্তাটি চওড়ায় হবে ৩.৭৫ মিটার। এই রাস্তা নির্মাণের ফলে দু’টি ব্লকের বেশ কয়েক হাজার মানুষ দ্রুত যাতায়াত করতে পারবেন।
চাঁচল ২ এবং হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের মাঝের পরাণপুরে বারোমাসিয়া খালের উপর আরেকটি ব্রিজেরও শিলান্যাস করেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। ৮৪ মিটার লম্বা এই সেতুটির নির্মাণের জন্য তিন কোটি ৭১ লক্ষ টাকারও বেশি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর থেকে। মন্ত্রী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন, উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে গ্রামীণ এলাকাগুলির মধ্যে সংযোগ সাধন এবং যোগাযোগের সুবিধার জন্য প্রয়োজনীয় সব রাস্তা ও সেতু নির্মাণ করা হবে। তাঁর এই ঘোষণাকে বাস্তবায়িত করতে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর বদ্ধপরিকর।