বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
কেন আলিপুরদুয়ারে পুলিস এই দুষ্কৃতী কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না? এবিষয়ে বিরোধীদের সঙ্গে বাসিন্দাদের সাফ কথা, আসলে খুন, গুলি, মারধর ও হেনস্তা প্রতিটি ঘটনার সঙ্গেই তৃণমূলের লোকজনের নাম জড়িয়ে যাচ্ছে। তাই পুলিস খোলা মনে অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে নামতে পারছে না। পুলিসের এই অপারগতার জন্য লোকসভা ভোটে নির্ভয়ে ভোট দেওয়া নিয়েও সংশয় আছে।এবিষয়ে পুলিস সুপার সুনীল যাদবকে ফোন করা হলে তিনি কিছু বলতে চাননি।
পঞ্চায়েত ভোটে আলিপুরদুয়ার বিধানসভা এলাকাতেই প্রথম বিরোধীদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। বিরোধীদের অভিযোগ, মূলত শাসকদলের সন্ত্রাসের জেরেই তারা এই বিধানসভা কেন্দ্রের পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের বহু আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি। ধারাবাহিক খুন, গুলি ও সন্ত্রাস সহ নানা অপরাধমূলক ঘটনার সেই শুরু। পঞ্চায়েত ভোটের সময়ই তপসিখাতাতে সন্ধ্যায় সিপিএম পার্টি অফিস লক্ষ্য করে গুলি চলেছিল। সেই ঘটনাতেও নাম জড়িয়ে যায় শাসক দলের লোকজনের। ভোটের পরে সাহেবপোতায় এক প্রতিবাদী যুবককে মারধরেও নাম জড়িয়ে যায় তৃণমূলের। সম্প্রতি আলিপুরদুয়ার শহরে জমির সীমানা নিয়ে এক মহিলাকে প্রকাশ্যে গুলি করার হুমকির ঘটনাতেও নাম জড়িয়ে যায় এক তৃণমূল নেতার। ২২ জানুয়ারি তপসিখাতায় তৃণমূল কর্মী তুষার বর্মনকে গুলি করে খুনের ঘটনায় পরোরপাড় পঞ্চায়েতের দলীয় উপপ্রধান শম্ভু রায়, পঞ্চায়েত সদস্য সোনা রায় ওরফে বাপ্পা, দলের দুই কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছে। অভিযুক্তরা সবাই ধরা পড়লেও ঘটনায় ব্যবহৃত বন্দুকটি পুলিস এখনও উদ্ধার করতে পারেনি।
বিজেপি’র জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, আলিপুরদুয়ার বিধানসভা এলাকায় ধারাবাহিক অপরাধমূলক ঘটনায় শাসক দলের লোকজনই জড়িত। সেজন্য পুলিস অস্ত্র উদ্ধারে অপারগ। আরএসপি’র জেলা সম্পাদক সুনীল বণিক বলেন, আমরা ওই বিধানসভা এলাকায় তৃণমূলের লোকজনের ধারাবাহিক অপরাধের ঘটনায় উদ্বিগ্ন। আমাদের আশঙ্কা, লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূল তাদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চাপা দিতে বিরোধীদের মিথ্যা মামলায় আরও বেশি করে জড়াবে। সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও একই কথা বলেন। কংগ্রেসের জেলা সভাপতি গজেন বর্মন বলেন, আমাদের দাবি লোকসভা ভোটের আগে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এখনই পুলিস বেআইনি অস্ত্র উদ্ধারে নামুক। তৃণমূলের জেলা সভাপতি মোহন শর্মা অবশ্য বলেন, এসব বিরোধী ও মিডিয়ার অপপ্রচার। তপসিখাতায় দলীয় কর্মী খুনের ঘটনায় অভিযুক্তরা সবাই ধরা পড়েছে। এথেকেই প্রমাণ হয় দল দুষ্কৃতী কার্যকলাপ কখনই বরদাস্ত করে না।