বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
২০১৪ সালে প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত ‘বিশেষ মর্যাদা’ পায়নি অন্ধ্রপ্রদেশ। রাজ্যকে এভাবে বঞ্চিত করে নরেন্দ্র মোদি ‘রাজধর্ম’ পালন করছে না বলে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তোপ দাগেন চন্দ্রবাবু। অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রীর সুরে সুর মিলিয়ে সমালোচনায় সরব হন কংগ্রেস সভাপতিও। ফ্রান্সের সঙ্গে রাফাল চুক্তির প্রসঙ্গ টেনে রাহুল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী অন্ধ্রপ্রদেশের মানুষদের থেকে টাকা চুরি করছেন। আর সেই টাকাই দিচ্ছেন অনিল আম্বানিকে। এটাই বাস্তব। তিনি অন্ধ্রপ্রদেশকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া নিয়ে মিথ্যাচার করেছেন। উত্তর-পূর্বে গিয়ে মিথ্যা বলেছেন। মহারাষ্ট্রেও তাই। এই মুহূর্তে মোদির কোনও বিশ্বাসযোগ্যতা নেই।’ প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে দেশের মানুষের কী মনোভাব, তা আগামী কয়েক মাসের মধ্যে স্পষ্ট হয়ে যাবে বলেও জানান কংগ্রেস সভাপতি। রাহুল গান্ধী বলেন, ‘একটা বিষয় সকলকে স্পষ্টভাবে জানাতে চাই যে, আমরা একজোট হয়েই বিজেপিকে পরাস্ত করব।’
কংগ্রেস সভাপতির পাশাপাশি অন্ধ্রপ্রদেশের ‘বিশেষ মর্যাদা’র দাবিতে চন্দ্রবাবু নাইড়ুর অনশনকে সমর্থন জানান প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংও। তিনি জানান, বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট না করে কেন্দ্রের উচিত অন্ধ্রপ্রদেশের দাবি পূরণ করা। ইউপিএ আমলে যখন বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়, তখন প্রতিটি রাজনৈতিক দলই এনিয়ে সহমত পোষণ করে। এই দাবি পূরণের লড়াইয়ে চন্দ্রবাবু নাইড়ুর পাশে থাকার আশ্বাসও দেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।
‘বিশেষ মর্যাদা’র প্রতিশ্রুতি দিয়েও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যেভাবে অন্ধ্রপ্রদেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন, তারপর আর এই সরকারের কাছে কিছু প্রত্যাশা করা উচিত নয় বলে জানান কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেল। কেন্দ্রকে ‘চোরদের জোট’ বলে মন্তব্য করে অন্ধ্রের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। নরেন্দ্র মোদির সমালোচনায় সরব হন কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মাও। গতকাল গুন্টুরে এক র্যা লিতে তিনি বলেন, ‘চন্দ্রবাবু নাইড়ুর বিরুদ্ধে মোদি যে ভাষা ব্যবহার করেছেন, তা কখনই প্রধানমন্ত্রীর পদে আসীন কোনও ব্যক্তির মুখে মানায় না। রাজনৈতিক তরজাকে তিনি খুব নীচে নামিয়ে এনেছেন। সেই কারণেই আমরা মোদির বিরুদ্ধে একজোট হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ, এই সময়ে একজোট হওয়াটা অত্যন্ত প্রয়োজন।’