বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
সম্প্রতি ‘দ্য হিন্দু’ সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছিল স্বয়ং প্রতিরক্ষা সচিবই ২০১৫ সালে রাফাল চুক্তি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের অতি সক্রিয়তায় আপত্তি জানিয়ে গোপন নোট লিখেছিলেন। ওই তথ্য ফাঁসের পর প্রবল শোরগোল শুরু হয়েছে। ওই বিতর্কের মধ্যেই আজ আবার ওই একই সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে আর এক বিস্ফোরক তথ্য। যেখানে বলা হচ্ছে, রাফাল চুক্তির চূড়ান্ত স্বাক্ষরের ঠিক প্রাক্কালে তার অন্তর্গত দুর্নীতি বিরোধী যেসব শর্তাবলী ছিল সেগুলিকে সম্পূর্ণ বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। যার মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ধারা ছিল স্ট্যাণ্ডার্ড ডিফেন্স প্রকিওরমেন্ট প্রসিডিওরের (ডিপিপি) অন্তর্গত একটি বিশেষ ধারা। যেখানে বলা থাকে এই চুক্তির মধ্যে কোনও অবৈধ কমিশন কিংবা দালালি রুখতে জরিমানার ব্যবস্থা থাকবে। ওই ধারাটিকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সুরক্ষা সংক্রান্ত কমিটি। যে কমিটির প্রধান স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। দ্য হিন্দু সংবাদপত্রে প্রকাশিত ওই মারাত্মক তথ্যকে হাতিয়ার করে আজ বিরোধীরা আবার মোদি সরকারকে চেপে ধরেছে। সংসদে তা নিয়ে তুমুল শোরগোল হয়। দফায় দফায় হট্টগোলের জেরে সংসদ অচল হয়ে পড়ে। আজ সন্ধ্যায় যখন অর্থমন্ত্রী পীযুষ গোয়েল বাজেট নিয়ে আলোচনার পর জবাবি ভাষণ দিয়েছেন তখনও লাগাতার বিরোধীরা রাফাল নিয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটির দাবিতে সরব হয়ে স্লোগান দিতে থাকেন ওয়েলে এসে। রাফাল নিয়ে যখন দুর্নীতির অভিযোগে সরব বিরোধীরা সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে টার্গেট করছে তখন প্রধানমন্ত্রী আজ লোকসভায় উপস্থিত ছিলেন। আজ সংসদের বাইরেও ছিল মোদি সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণের ঝড়। তেলুগু দেশম নেতা অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর ধর্নামঞ্চে একের পর এক বিরোধী নেতা এসে বিরোধী জোটের বার্তা দিয়ে গিয়েছেন। রাহুল গান্ধী সেখান থেকে লখনউ গিয়েও লাগাতার একটাই কথা বলে গিয়েছেন আজও। সাধারণ মানুষের পকেট থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকা নিয়ে মোদিজি অনিল আম্বানির পকেটে দিয়েছেন। বস্তুত আজ সরকারকে বিরোধীরা চেপে ধরে জানতে চেয়েছে দুর্নীতি বিরোধী ধারা কেন সরানো হয়েছে এবং তাহলে কমিশন আর দালালির টাকা কে কে পেয়েছে সেটাও এবার জানানো হোক। সংসদের মধ্যে পাল্টা বিজেপি এমপিরা বলেছেন যারা ডিফেন্স ডিল মানেই শুধু কমিশন বোঝেন তাঁরাই রাফালে কমিশন খুঁজছেন। রাফাল সম্পূর্ণ স্বচ্ছ একটি চুক্তি। বিরোধীদের দাবি, তাহলে জেপিসি তদন্ত করতে এত ভয় কিসের?